হরতালে ওরা দু’পক্ষই ফুরফুরে মেজাজে, জনগনের নাভিশ্বাস!

মওলা ই কুদ্রত
Published : 24 April 2012, 12:41 PM
Updated : 24 April 2012, 12:41 PM

দিনের পর দিন হরতাল দিয়ে চলেছে বিরোধী দল, অথচ তারা ঠিকই জানেন যে এ হরতালে সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর ওয়ার্ম-আপ ছাড়া আর কিছু হচ্ছে না, তার পরও কেন তারা এই হরতাল দিচ্ছেন? আমরা যারা সাধারন মানুষ, আমরা জানি হরতাল আসলে মোক্ষম আঘাত করে বৃহত্তর খেটে খাওয়া জনগোষ্ঠিকে, সরকার তার থোড়াই কেয়ার করে! তার পরেও কিন্তু তারা বিরোধী দল হরতাল দিয়েই চলেছেন! তারা কি এখনকার এই হরতাল শুধু ইলিয়াস আলীর জন্যে দিচ্ছেন?

আর তার চাইতেও আশ্চর্য হই সরকারী মহলের ভাবসাবে! তারা যেন ক্যামন ধারা গোল্লাছুট জাতীয় স্ট্রাটেজি নিয়েছেন বিরোধী দলের এই হরতালের ব্যাপারে! যে খানে সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক দলসমূহ উপযুক্ত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেবেন যাতে সমস্যার সমাধান হয় এবং এই গরীব বাংলাদেশের "বেচারা" জাতীয় বৃহত্তর কিন্তু দরিদ্র খেটে খাওয়া জনগোষ্ঠিকে কি করে এক ঘন্টা কম করে হলেও হরতাল নামক "হ্যামলক" বিষ খাওয়া কমানো যায় সেই ব্যাবস্থা নিতে উন্মুখ হয়ে থাকার কথা, সেখানে তাদের ভেতর এক বৈরাগী ভাব আর রাজনৈতিক অ্যাটিচিউড কাজ করছে বলে মনে হচ্ছে! তারা কে কখন কোথায় দিব্যি ফুরফুরে মেজাজে কি বলছেন তা মাঝে মধ্যে মিডিয়াতে আসছে! ভাবখানা যেন এই, পুলিশ আর র‍্যাব তো আছেই, জনগনের আর কি চাই?

আমরা সাধারন মানুষ, ভুগছি আর ভুগবো আমরাই, এর যেন আর কোন সমাধানই নেই!

আদি যুগে একটি পদ্ধতি ছিল, হলিউডি সিনেমার বদৌলতে তা এখন অনেকেই দেখেছেন, যে খানে যুদ্ধ শুরু হবার আগে অনেক ক্ষেত্রে রক্তপাত এড়াতে বীর ও শক্তিধর যোদ্ধারা বলতেন: " সেন্ড ইয়োর চ্যাম্পিয়ন্স টু ফাইট!" আমার আকুল আবেদন, সরকার ও বিরোধী দলের শক্তিধররা সেই রকম কিছু নিয়ে নিজেরা লড়াই করুন, হরতাল আর আগুনে পুড়িয়ে গ্রীল হওয়া থেকে মুক্তি দিন আমাদের, এই গো-বেচারা সাধারন জনগন কে!