মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। সেরা করেই সৃষ্টি করেছেন বিধাতা। আমাদের বিবেক দিয়েছেন ভাল–মন্দের পার্থক্য করার জন্য। আমরা পার্থক্যটা ঠিকই বুঝি, কিন্তু মন্দটাকে ছেঁটে ফেলে ভালটাকে গ্রহণ করি না, বরং তার উল্টোটা করি। এর মাত্রা যে আসলে কত বেশি তা আমাদের নিত্যদিনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলোই প্রমাণ।
ধর্ষণ! শব্দটা যেন অত্যান্ত স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। মাঝেমধ্যেই ধর্ষণ শব্দটা তোলপাড় করে দিচ্ছে গোটা দেশকে। ধর্ষণ থেকে নিস্তার নেই যেন কারও। আট মাসের শিশু থেকে শুরু করে ৮০ বছরের বৃদ্ধা, কারো মুক্তি নেই। আমাদের এ কেমন মানসিকতা? সভ্য সমাজে বাস করে দিনকেদিন আমরা অসভ্যতার তলানিতে যাচ্ছি। নারী রক্ষা পাচ্ছেনা দেশের সবথেকে নিরাপদ স্থানেও, হোটেল, মোটেল ভার্সিটি তো অনেক পড়ে। গোটা দেশ যেন আজ ধর্ষণপুরী!
মানুষ যে কতটা নির্লজ্জ আর লম্পট হতে পারে তার বড় উদাহরণ সাফাত, সাদমান, নাঈমরা। জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে বান্ধবীকে ধর্ষণ করে। যে দিন সে তার মায়ের জরায়ু থেকে বের হয়ে এসেছে, সেই দিনই সে রক্তাক্ত করে দিল অন্য কারো জরায়ু। এ কোন মানসিকতা! এটা কোন সভ্যতা? আমরা মানুষ হব কবে? আমরা এই পৈচাশিকতার শাস্তি চাই, সর্বোচ্চ শাস্তি। যেন ভবিষ্যতে অন্য কেউ ধর্ষণ করার সাহস না দেখায়।