চট্টগ্রামে বেতন-ভাতা না পেয়ে পোশাক শ্রমিকদের উৎকণ্ঠা বেড়েই চলেছে

এম. নাজমুল ইসলাম
Published : 21 August 2011, 01:01 PM
Updated : 21 August 2011, 01:01 PM

পবিত্র ঈদুল ফিতর যতই ঘনিয়ে আসছে, পোশাক শিল্পের শ্রমিকরা বেতন-ভাতা না পাওয়ায় উৎকণ্ঠা ততই বেড়েই চলেছে। ঈদ বোনাস, বেতন ও বকেয়া বেতনের ব্যাপারে কয়েক দফা বৈঠকের পর সর্বশেষ ঈদের আগে ২৮ আগষ্ট তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার জন্য মালিক পক্ষকে তাগিদ দেয়ার বার বার তারিখ ঘোষনা করেও বাসত্মবায়ন করতে পারেনি গার্মেন্টস মালিকরা। এ নিয়ে পোশাক শ্রমিকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তবে বেতন-ভাতা নিয়ে ঝামেলার হতে পারে এ আশঙ্কায় আগ থেকেই চট্টগ্রামে ১৯টি গার্মেন্টস কারখানাকে নজরদারিতে রেখেছে বিজিএমইএ। বিজিএমইএর সদস্য নয় এমন ৪৬টি প্রতিষ্ঠানেও ঝামেলার আশঙ্কায় সতর্ক অবস্থায় আছে প্রশাসন। ২৮ আগস্টের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও ঈদ বোনাস পরিশোধ করার জন্য গার্মেন্টস মালিকদের প্রতি অনুরোধ করেছেন বিজিএমইএ।

বিজিএমইএ সূত্র জানায়, প্রতি বছরই নির্দিষ্ট না করে মালিক-শ্রমিক সমঝোতার তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ঠরা। প্রতি বছর ঈদের আগে পোশাক কারখানায় বিশৃঙ্খলার জন্য মধ্যম পর্যায়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগ অনেকাংশে দায়ী। তারা অনেক সময় শ্রমিক ও মালিকের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করে। এজন্য এ পর্যায়ের কর্মচারীদের ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে মালিকদের প্রতি আহ্বান করা হয়।

এদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে শ্রমিকদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। এ কারণে কম মূল্যে শিগগিরই রেশনিং পদ্ধতি চালু করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, পোশাক শ্রমিকরা যে পরিবেশে থাকে, তা খুবই কষ্টকর এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। কোন ভাবে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করেও শ্রমিকরা নিয়মিত শ্রম দিয়ে যাচ্ছে। তাদের তৈরি পোশাক বিদেশে রপ্তানী করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হচ্ছে। পোশাক শ্রমিকদের কথাটি বিচেনা করে বেতন-ভাতা ও ঈদ বোনাস পরিশোধের অনুরোধ করেন তারা।

বিজিএমইএ'র প্রথম সহ-সভাপতি মো: নাসির উদ্দিন চৌধুরী ১৯টি কারখানাকে চিহ্নিত করার কথা স্বীকার করেছেন। ঈদ উপলক্ষ্যে অন্তত আগষ্ট মাসের অর্ধেক বেতন-ভাতা ও বোনাস পরিশোধের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, চাল অধিকাংশ ফ্যাক্টরিতে কাজ চলছে, পুরো বেতন ভাতা পরিশোধ করার মতো ড়্গমতাও রয়েছে। গার্মেন্টস মালিকরা একটু আন্তরিক ও সতর্ক হলে ঝামেলা হবে না বলে আশা করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, প্রতি বছর ঈদের আগে পোশাক কারখানায় যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় তা রোধ করতে শ্রমিক নেতাদের অনেক কিছু করার আছে। মূল ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে তাদের কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে মালিকদেরও আরো সচেতন হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।

###
রিপোর্ট: এম. নাজমুল ইসলাম, চট্টগ্রাম, ২১ আগষ্ট ১১
01673270919