শিবির এর কূটচালের তারিফ করতেই হয়। এক ঢিলে দুই পাখি মারার এই রাজনীতি জামাত-শিবিরের রক্তের মধ্যেই আছে। আন্দোলনকারীদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টির যে চেষ্টা তারা করে যাচ্ছে তাতে আপাত সফল হলেও আশা করি এ প্রজন্মের আধুনিক তরুণরা জামাত এর নোংরা রাজনীতির কাছে পরাজিত হবে না। একটু চিন্তা করে দেখলেই যে কোন ধর্মপ্রাণ মানুষ বুঝতে পারবে ইসলামে মুনাফিকদেরকে বলা হয়েছে কাফিরদের চেয়েও ভয়ানক শত্রু কারণ প্রকাশ্য শত্রুর চেয়ে ছদ্মবেশি শত্রু শতগুণ বেশি ক্ষতিকর। যারা আজ নাস্তিক মরেছে, নাস্তিক মরেছে বলে আন্দোলন নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দে ভুগছেন তাদের মনে রাখা উচিত আজকের এই গণজাগরণ কোন ধর্মের বিরুদ্ধে না, কোন জাতির বিরুদ্ধে না, কোন রাজনৈতিক মতাদর্শের বিরুদ্ধে না, এটা একদল স্বার্থান্বেষী মুনাফিকের বিরুদ্ধে যারা বিভিন্ন সময়ে এদেশের জনসাধারণের ধর্মভীরুতাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে। সচেতন হবার সময় এখনই যাতে আমরা আমাদের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে না যাই। এই প্রজন্ম চত্ত্বরে এমন অনেকেই আছেন যাদের আমি ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করিনা তাদের ইসলাম-বিরোধী আগ্রাসী মনোভাবের জন্য। তারা আমার বন্ধু নয়, কিন্তু ধর্ম-ব্যবসায়ীদের লেবাস উন্মোচন করে ইসলামের সার্বজনীন রূপ প্রতিষ্ঠা করতেই আমার এই আন্দোলন। জয় আমাদের হবেই, ইনশাল্লাহ।