ভোলার চরসামাইয়া ইউনিয়নে গ্যাসের সন্ধান লাভঃ টিউবওয়েলের মুখ থেকে অবিরাম উঠছে গ্যাস

ইখতিয়ার ফাহিম শোয়াইব
Published : 1 June 2011, 04:27 AM
Updated : 1 June 2011, 04:27 AM

ভোলা, ৩১ মে (অচিন্ত্য মজুমদার/আমাদের বরিশাল ডটকম):

ভোলা সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের পশ্চিম চরকালী গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডের মিতা ব্রিক ফিল্ডের ভিতর গভীর নলকূপ খনন করার সময় গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। গত শনিবার সকালে নলকূপের কাজ শুরু করার পর সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে দিকে সর্বপ্রথম এই গ্যাসের উৎসের সন্ধান পাওয়া যায়। সরজমিনে ঘটনাস্থল ‍গিয়ে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া গিয়েছে।

মিতা ব্রিক ফিল্ডে টিউবওয়েল বসানোর প্রধান মিস্ত্রী কালাম মুন্সী জানান, বোরিং এর কাজ আরম্ভ করে ৬টি পাইপ ১২০ ফুট গভীরে মাটির নিচে প্রবেশ করানোর পরই লেবাররা মাটির নিচে পাইপ আর বোরিং করতে পারছিল না। এ অবস্থা দেখে আমি লেবারদের বোরিং করা পাইপগুলোকে উঠিয়ে ফেলতে বলি। একটি পাইপ উঠানোর সাথে সাথেই শব্দ করে মাটির নিচ থেকে কাদামাটি সহ গ্যাস ২০ থেকে ২৫ ফুট উপরে উঠে আসে। তখন পাশে থাকা জলন্ত কপি থেকে সেখানে আগুন ধরে যায়। প্রথমে আমরা ভয় পেয়ে যাই। পরে বুঝতে পারি সম্ভবত গ্যাসের কারনে এ ঘটনা ঘটেছে।

মিতা ব্রিক ফিল্ডের ম্যানেজার বজলু রহমান মন্টু (৫০) জানান, আমি একটু দুরে বসেছিলাম। হঠাৎ এরকম একটি কান্ড দেখে আমি অবাক হয়ে যাই। তখন তারাহুরো করে লেবারদের সাথে নিয়ে মাটি ও বালি দিয়ে গর্তটির মুখ চাপা দেই। সাথে সাথে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রনে চলে আসে।

গ্যাসের খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে শতশত লোক একটিবার দেখার জন্য মিতা ব্রিক ফিল্ডে ভীড় করতে থাকে। এ ব্যাপারে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চরসামাইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মাতাব্বরকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, আমি লোক মুখে শুনেছি কিন্তু এখনো সেখানে যাওয়া হয়নি।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিসে আলাপকালে উপ-সহকারী প্রকৌশলী গাজী গোলাম কবীর বলেন, আমাদের অফিস থেকেই সেখানে টিউবওয়েল বসানোর কাজ চলছে। আমিও খবর পেয়েছি, তবে যাইনি, যাবো।

স্থানীয় বাপেক্স অফিসে যোগাযোগ করা হলে বাপেক্স এর ভোলা'র ফিল্ড ইনচার্জ শামসুল আলম বলেন, ভোলার অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে গ্যাসের এরকম স্ট্রাকচার দেখা যায়। তবে তা স্থায়ী নয়। তবে এ ঘটনা আমি বাপেক্সের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। উক্ত স্থানটি পরীক্ষা করে দেখা হবে, তা অস্থায়ী না কি স্থায়ী স্ট্রাকচার।

এলাকাবাসী বাপেক্সের নিকট যথাসম্ভব শীঘ্র স্থানটি পরীক্ষা করে দেখার দাবী জানিয়েছেন, যেন খনিজ সম্পদগুলো এভাবে মাটির নিচে অব্যবহৃত থেকে না যায়।