এই কি আমাদের নোবেল বিজয়ী ইউনূস!

ইখতিয়ার ফাহিম শোয়াইব
Published : 16 Feb 2011, 04:41 PM
Updated : 16 Feb 2011, 04:41 PM

পাবনায় গ্রামীণ ব্যাংকের 'পল্লীফোন'-এর বিল নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মুহম্মদ ইউনূসসহ 'পল্লীফোন' ও গ্রামীণব্যাংকের চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনার কগনাইজিং আদালত-৩-এ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন পাবনা পৌর এলাকার উত্তর শালগাড়ীয়া মহল্লার বাসিন্দা মো. আব্দুল মাজেদ।

জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম লায়লা শারমিন ৪২০ ধারায় মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের আগামী ১৮ মে আদালতে সশরীরে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হচ্ছেন গ্রামীণফোনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মুহম্মদ ইউনূস, গ্রামীণব্যাংক পাবনা শাখার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান, একই শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাসুদ রানা ও গ্রামীণব্যাংক পাবনার আতাইকুলা শাখার ব্যবস্থাপক মো. হাবিবুর রহমান।

বাদীপরে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আশরাফুল আলম রুবেল। এ সময় বাদীপে তার সঙ্গে ছিলেন পাবনা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম পটল, অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ বাবু, অ্যাডভোকেট মুরশাদ সুবহানী বাবুসহ ১০ জন আইনজীবী।

মামলার বিবরণে জানা যায়, জেলার আতাইকুলা থানার গাংগোহাটি গ্রামের মকবুল হোসেনের স্ত্রী হাফিজা বেগম ২০০৪ সালে গ্রামীণব্যাংকের আতাইকুলা শাখার মাধ্যমে একটি আইএসডি পল্লীফোন সংযোগ নেন। এ জন্য জামানত বাবদ তিনি ৩০ হাজার টাকা জমা দেন। বাদী আব্দুল মাজেদ ওই সময় ব্যাংকের ওই শাখার কর্মচারী ছিলেন। একই সঙ্গে হাফিজা বেগমের পল্লীফোন সংযোগের শনাক্তকারী ছিলেন তিনি।

সংযোগ নেওয়ার কিছুদিন পর হাফিজা বেগম তার মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকেন। ২০০৪ সালের নভেম্বর মাসে হাফিজা বেগমের নামে ৭৬ হাজার ৫৮৯ টাকার একটি ভুতুরে বিল আসে। গ্রামীণব্যাংক কর্তৃপ হাফিজা বেগমের জামানতের ৩০ হাজার টাকা এবং বাদী আব্দুল মাজেদের বেতন থেকে ভূতুড়ে বিলটি সমন্বয় করে নেন।

পরবর্তী সময়ে সংযোগগ্রহীতা হাফিজা বেগম ও বাদী (সংযোগের শনাক্তকারী) আব্দুল মাজেদ গ্রামীণব্যাংকের আতাইকুলা শাখায় যোগাযোগ করলে বিলটি ভুল ছিল বলে তাদের জানানো হয়। ব্যাংক কর্তৃপ ওই বিলটি সংশোধন করে অবশিষ্ট টাকা ফেরৎ দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিলেও দীর্ঘদিন ধরে তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। এ পরিস্থিতিতে হাফিজা বেগম ও আব্দুল মাজেদ আদালতের শরণাপন্ন হন।

মামলার আরজিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গ্রামীণফান থেকে যে বিলটি পাঠানো হয়েছে, ওই বিলে একটানা ৪৮ ঘণ্টা ও ২২ ঘণ্টা কথা বলা হয়েছে বলে উল্লেখ ছিল।

মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশরাফুল আলম রুবেল বলেন, 'একজন মানুষের পে কখনও একটানা ৪৮ ঘণ্টা বা ২২ ঘণ্টা কথা বলা সম্ভব নয়। এ বিষয়টি বিবেচনা করে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে অভিযুক্তদের সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।'

—————————————————————————————–
প্রতারণার অভিযোগে পাবনায় ড. ইউনূসসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
জেলা প্রতিনিধি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম