শায়লা সিমি নূর: হৃদয়ের সমাপ্তি হলো

শায়লা সিমি নূর
Published : 24 Feb 2021, 02:48 AM
Updated : 24 Feb 2021, 02:48 AM


হলুদ পাখির গান

ভাবনাকে থামিয়ে দেয়া
প্রেম পদ্য তুমি,
তার সাথে মিশে যাওয়া
সহজ ছিল কি!

নূরের আলো রাত জেগে
বাসর সাজাবে
কুশায়ার আমন্ত্রণে
হলুদ পাখিরা গাইবে!

তোমাদের শুভ দিনক্ষণ
সময়ের গাছের
পাতায়-পাতায় লেখা
বিবি জুলেখা ঝরে যাবার সময়
শেষ হলে, নতুন পল্লবে
তুমি জেগে ওঠো!

স্বপ্ন নিয়ে শয়ন আসে,
হৃদয় যায় না কোথাও
নুয়ে পড়ে থাকে
তার হৃদয়ের পায়ে।

সময় শুধু'ই ফুরিয়ে যায় না
নবীজির হাসির রোদ্দুরে
সে সোনা ঝরা ক্ষণ,
আসে অনন্ত ভালোবাসা বয়ে

শান্ত নদী হয়ে গেলে
সব ঠিক হয়ে যাবে


হাওয়াই মিষ্টির ভাষা

প্রেমপুর, সেখানে সকাল ও সন্ধ্যা অপরূপ সময় নিয়ে উপস্থিত হয়! সূর্যের আলো একই মাত্রায় থাকে, এখানে কেউ শুনিবে না কোনো অসার কথা, এখানে বসন্ত- গ্রীষ্ম যেন মিশে একাকার হয়ে আছে! আর সর্বত্র বিকেলের শান্ত আলোর ছটা, আতরের সুঘ্রাণ! গাছের সঙ্গে হেলান দিয়ে বসে অনুভব করছি অনন্তের জাগ্রত নিদ্রাবস্থা। ভেসে এলো পবিত্র কোরানের একটি বাণী, কথাগুলো ধীরে ভিতরে প্রবেশ করেছে– সমস্ত সত্তা দিয়ে শুনতে পাচ্ছি – " হে মুসা, নিশ্চয় আমি তোমার রব, তোমার পাদুকাদ্বয় খুলে ফেলো, নিশ্চয় তুমি তুয়া নামক পবিত্র উপত্যকায় রয়েছ"।

আতরের সুঘ্রানের মিশে গেছে কিছু শব্দ যা মিষ্টির মতো শুনতে আবার। তাতে কোনো ভারিক্কি নাই, যেন হাওয়াই মিষ্টির ভাষা, অন্য জগৎ! এক শিল্পীর প্রকাশ-শিল্পের মাধুর্য মিশে আছে, আল্লাহর ভালোবাসা ও তার আভিজাত্য মিশ্রিত কিছু অনুভবে আবদ্ধ এই ক্ষণ! আমি… আমার কবরের সামনে দাঁড়িয়ে।

আপনার মনে আপন বাসা
কোথায় আমার যাওয়া আসা?
আপনের চেয়ে
আপন'তে অপার
এমন পর,
কেমন পর?

আপন চেয়ে
আপনাকে চাই
আপনাকে পেয়ে
নিজেকেই পাই
একই আয়নায়

পাখি তুমি কে?
আপন সুরে
গেয়ে যান হে!

আমার'ই ছবি আঁকি,
নিজের চোখে চোখ রাখি ,
এ আমি কেমন আমি ?
আপনি বলে নিজেকে ডাকি!


হৃদয়ের সমাপ্তি হলো

হীরক গ্রহ ঘুরে এসে
মাটির মানুষের
বন্ধু হলেন জিব্রাইল।

ঈসা নবী এলেন
শীতকালীন বৃষ্টি কাঁদে
হীরের হৃদয় গলে যায়
প্রেমের উত্তপ্ত বরফে!

বাতাস দৌড়ে চলে,
একটি ভাগ্যের খোঁজে

সবুজ ডায়রিতে লেখা আছে
আজ বিদায়। হৃদয়ের
সমাপ্তিতে, প্রারম্ভেও
আজানের বন্দনা ভেসে আসে

সাদা ময়ূরের শুভ্রতা
শূন্য হতে শেখায়।

তবে' তা বলি যদি,
বুঝবে না মাটি!

শুধু কলকল শব্দে
নদীর গ্রহ আদি মানুষের
পৃথিবীর ঠিকানা বলে দেয়।

আমি গন্তব্য থেকে প্রারম্ভে
যাবার কথা বলি,
জানেন আল্লাহর ওলি।

কিছু সুখকর ক্ষণ,
ঝনঝন বাজে বুকের ভেতর;
সেই রকমও হয়!

কেমন আছি জানতে চাইলে কেউ!
ঠোঁটের জঠরে থাকা ময়না
ফাঁক পেয়ে উড়ে যায়;
ময়না তদন্ত করে
কোনো প্রত্যুত্তর নাই!

মানুষের মুখ জ্বলন্ত বরফ
চোখের সামনে কোরানের হরফ।

পরক্ষণে অনেক উচ্চতা থেকে
আবার দ্রুতগামী পতনের হক

রফরফের হস্ত রেখায়
আছে সব!

পুনর্বার নিজের ভেতরে
প্রবেশে কারণ খুঁজি !
আমি কোথাও থাকি না
কেবল তোমাতে,তোমায় ডাকি।