জামাতের হরতাল প্রসঙ্গ

স্বাধীন আমি
Published : 4 Feb 2013, 06:26 PM
Updated : 4 Feb 2013, 06:26 PM

বাঙলাদেশের ইতিহাসের একটি কালো ঘটনা রাজাকারদের পুনরুত্থান, যার জন্যে দেশ ও জাতিকে দিতে হবে মারাত্মক মূল্য। বাহাত্তরে কে ভাবতে পরেছিলো দিকে দিকে আবার দেখা দেবে রাজাকাররা, আর মুক্তিযোদ্ধারা দীক্ষা নেবে তাদেরই কাছে? জিয়াউর রহমান যে- রাজাকার রাজনীতি শুরু করেছিলেন, তার কুশস্য তোলা এর মাঝেই শুরু হয়ে গেছে। একটি বেতার ঘোষণার জন্য বাঙালি তাকে ধ'রে নিয়েছিল একনম্বর মুক্তিযোদ্ধা ব'লে, কিন্তু ঐ একনায়ক যেভাবে নিজের স্বার্থে রাজাকারদের চাপিয়ে দিয়ে গেলেন বাঙলাদেশের বুকের উপর তাতে বোঝা যায় একবার মুক্তিযোদ্ধা মানেই চিরকাল মুক্তিযোদ্ধা নয়; এবং একনম্বর মুক্তিযোদ্ধাও একদিন শত্রু হয়ে উঠতে পারেন মুক্তিযুদ্ধের। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হওয়া কঠিন: যে কোন সময় পদস্থলিত হয়ে একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে উঠতে পারে রাজাকার।

– হুমায়ুন আজাদ।

হুমায়ুন স্যারের এই কথা টা খুবই প্রাসঙ্গিক, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি জামাত-শিবির আজ হরতাল ডাকে এটা ভাবতে অবাক লাগে, কাদের শক্তি পায় তারা, তাদের কে কি প্রতিরোধ করার শক্তি বাংলাদেশে নেই, কারা তাদের কে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়া আজ মাথার উপর উঠিয়েছে?, তারা যদি একা মাঠে থাকতো তাহলে বোঝা যেত বাংলাদেশে একটি সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের বি পক্ষের শক্তি, কিন্তু কোন সময় তাদের সাথে রাস্তায় নামা, কোন সময় সমর্থন দেয়া, এসব কারনে জামাত এত দুঃসাহস পায়, বিএনপি বলে রাজাকারদের বিচার চায়, কিন্তু সেটা যেন বিরোধী দলকে দমন করতে না হয়, এখানে প্রশ্ন জামাত কি সরকারের সাথে না বিরোধী দলে? যেহেতু শীর্ষ রাজাকাররাই জামাতের নেতা এটা স্বাভাবিক সে দলের ক্ষতি হবেই, সেটা নিয়ে বিএনপির মাথা খারাপ করার দরকার নেই। আছে অবশ্যই আছে বিএনপি এখন জামাতের উপর নির্ভরশীল, তারা যদি জোট থেকে চলে যায় তাহলে তাদের বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে, আসলে জামাতের থেকে বিএনপি'ই রাজাকারদের ঠেকাতে মরিয়া, যার প্রমান বেগম জিয়ার কর্ম কাণ্ড থেকে বজা যায়, তাই আমাদের সবাইকে এদের প্রতি সজাগ থাকতে হবে। এরা যাতে আমাদের স্বাধীনতা কে খর্ব করতে না পারে।