ঘন চিনির নামে কি খাচ্ছি?

ইকবাল
Published : 22 March 2016, 11:32 PM
Updated : 22 March 2016, 11:32 PM

ঘন চিনি বা সোডিয়াম সাইক্লামেট মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। স্বল্পমূল্যে পাওয়া যায় বলে এর সঙ্গে মেশানো হচ্ছে বিষাক্ত সার ম্যাগনেসিয়াম সালফেট। যেখানে আসল চিনি ৫০ কেজি লাগে সেখানে ঘনচিনি ১ কেজিতেই যথেষ্ট। এই ভেজাল ঘন চিনি দিয়ে তৈরি হচ্ছে মিষ্টি ও মিষ্টি জাতীয় বিভিন্ন খাদ্য, আর শিশুরা যেসব জিনিষের প্রতি আকৃষ্ট হয় যেমন- চকোলেট, আইসক্রিম এবং কনডেন্সডমিল্ক ও বেভারেজ জাতীয় পানীয়। আমদানি নিষিদ্ধ সত্ত্বেও বিভিন্ন নামে দেদারসে আমদানি হচ্ছে এবং তা দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন খাদ্য।

সাইট্রিক এসিড, সোডিয়াম সাইট্রেট ও ম্যাগনেসিয়াম সালফেটের নামধারণ করে বিগত কয়েক বছরে হাজার হাজার টন ঘন চিনি আমদানি করা হয়েছে আমাদের দেশে। ঘন চিনি ক্যান্সারসহ নানা রকম রোগব্যধির স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে। খাদ্যে মিশিয়ে ব্যবহার করা হলে প্রথমেই কিডনি আক্রান্ত হবে, উচ্চরক্ত চাপ বেড়ে হৃদরোগের ঝুঁকি ও ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা থাকে। স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণে ১৯৬০ সালে যুক্তরাজ্য এবং ১৯৬৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র ঘন চিনির ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করে।

আসল ঘন চিনির কেজি ২৪০ টাকা অন্যদিকে রাসায়নিক মিশ্রিত ঘনচিনির দাম ১৩০ টাকা। বিভিন্ন অভিজাত মিষ্টির দোকানগুলোতে আসল চিনির বদলে রাসায়নিক মিশ্রিত ঘনচিনির ব্যবহার করে মিষ্টি জাতীয় খাদ্য তৈরি করা হয়। এতে তাদের খরচ সাশ্রয় হয়। আইসক্রিম কারখানাগুলোতেও ঘন চিনির ব্যবহার হচ্ছে এছাড়ও স্বল্পমূল্যের জুস ও কোল্ড ড্রিংকস কারখানাগুলো ঘন চিনি ব্যবহার করছে।

ফরমালিন আমদানি নিষিদ্ধ করা থেকে শুরু করে বাজার থেকে বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্যে ফরমালিন পরীক্ষা করা হচ্ছে যার ফলে ফরমালিনের ব্যবহার অনেকাংশে কমে গেছে এর সুফল সাধারণ জনগণ ভোগ করছে। ফরমারিন বিরোধী অভিযানের মতোই 'ঘন চিনি' বিরোধী অভিযান অচিরেই যদি শুরু না হয় তাহলে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম অন্ধকারের দিকে এগোবে।