প্রথম কখন নীললোহিত পড়ি আজ আর মনে নাই। আমার মনে আছে দিকশূন্যপুর। দিকশূন্যপুর আমার স্বপ্ন।
আমাদের বাড়ি থেকে ছয়-সাত কিলোমিটার দূরে সুন্দরপুর। আরেক দিকে আছে নিশ্চিন্তপুর। এসব পুর আমাকে ভরিয়ে রাখে। আমি প্রায়ই স্বপ্নময় পুরে যাই। মেতে উঠি নিজের সাথে। সেখানে সুনীলের সাথে দেখা হয়। একা একটা বালক হাফ প্যান্ট পরে মাছ-পোশাক পরে বসে আছে জলাশয়ের পাড়ে। হাতে বড়শি। ছিপ ফেলে আর টানে। মাছেরা দলে দলে আসছে ধরা দিতে। সেইসব আশ্চর্য পুঁটি মাছ ধরে আর ছেড়ে দেয় সে। সে জানে, পুঁটিগুলো ছড়িয়ে পড়বে দিকশূন্যপুরে, সুন্দরপুর অথবা নিশ্চিন্তপুরে। অথবা আমাদের মনোজগতের জলাশয়ে।
মাছের মতো গল্প করে আমরা সাঁতার কাটব। কাটতে কাটতে যাব সুনীলের সেই জগতে। আমরা যাব কথা রাখা না রাখার সেই জগতে। যেখানে জীবনকে কতভাবে যে দেখা হযেছে! সেই জগতে না ঢুকলে আমরা স্বপ্ন, শূন্যতা, হাহাকার বা বেঁচে থাকার মর্ম বুঝব না। প্রতিদিন কত ভাবেই না নিজেদের নষ্ট করি। তার চেয়ে দেখি না একটু জীবন ঘষে, সুনীল ঘষে।