আসুন সকলে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে দাঁড়াই

জাহিদ খন্দকার সুমন
Published : 21 Oct 2017, 02:53 PM
Updated : 21 Oct 2017, 02:53 PM

আমাদের ডকুমেন্টারিতে সব সময় আপনাদের ট্রাভেল সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে থাকি। এবারের পর্বে World এর One of The Most Humanitarian Crisis এ আমাদের মুল উদ্দেশ্য, মায়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাহায্য করা। এই ট্রাভেল গাইডটি অনুসরন করে আপনি যেভাবে যাবেন শরণার্থীদের সাহায্য করতে।

অন্যথায় আর্থিক সহায়তা দিতে আগ্রহী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান-সংগঠনকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে খোলা 'Humanitarian Assistance to the Myanmar Citizen Illegally Migrated (Rohinga) নামের সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে সেই অর্থ জমা দিতে হবে। অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের 'দুর্যোগ ও ত্রাণ শাখায়' আগ্রহী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ত্রাণসামগ্রী জমা দিতে পারবেন এবং UNICEF এর ওয়েবসাইটে গিয়ে www.unicef.org/bangladesh Donate বাটনে ক্লিক করুন।

আমাদের এবারের গন্তব্য: ঢাকা টু কক্সবাজার-উখিয়া, রোহিঙ্গা ক্যাম্প, জেটি ঘাট, শাহপরীর দ্বীপ। নাফ নদী, বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত। রোহিঙ্গা ক্যাম্প হলো কক্সবাজার এবং টেকনাফের মাঝামাঝি অবস্থিত উখিয়া উপজেলায়।

যেভাবে যাবেন: ঢাকা টু কক্সবাজার নন এসি বাস ভাড়া ৮০০ টাকা। কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে উখিয়া পর্যন্ত বাস ভাড়া ১০০ টাকা। যদি টেকনাফ পর্যন্তা যেতে চান তাহলে ভাড়া ১৪০ টাকা। টেকনাফের আশেপাশে কোথাও যাওয়ার সময় থাকলে যেতে পারেন জেটি ঘাট, রিক্সা ভাড়া ৩০ টাকা। এই জেটি ঘাট দিয়ে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের নাগরিকেরা এক দিনের ট্রানজিট পাস নিয়ে দুই দেশে যাতায়াত করেন। আপনারা যারা শাহপরীর দ্বীপে যেতে ইচ্ছুক তারা টেকনাফ সহর থেকেই অটো রিক্সা বা CNG করে যেতে হবে শাহপরীর দ্বীপের ভাঙ্গা নামক জায়গায়, ভাড়া নিবে ১৫০-২০০ টাকা।

নদীতে জোয়ার থাকা অবস্থায় এই ভাঙ্গা জায়গা থেকে ট্রলারে করে উত্তর পাড়া যেতে হয়। আর ভাটার সময় পায়ে হেঁটে। তাই জোয়ারের সময় জেনে যাবেন। নয়তো লবন চাশের জমির কাদামাটির রাস্তায় হেঁটে আসতে হবে। ব্যাপারটা একটু কষ্টসাধ্য। এবার উত্তর পাড়া থেকে আপনাকে সিএনজি করে যেতে হবে দক্ষিন পাড়ায়। লোকাল ভাড়া জন প্রতি ২০ টাকা। সিএনজি আপনাকে নামিয়ে দিবে জিরো পয়েন্টে, নাফ নদীর কাছে। নদীর ঐ পারেই মায়ানমার সীমান্ত। এই সময়ে এই গ্রামের আস পাস দিয়েই রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ট্রলারে করে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন।

আসুন সকলে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে দাঁড়াই এবং সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য করি।