সুচিত্রা সেনের বাড়ি থেকে বলছি

জাকির হোসেন রাজু
Published : 8 Nov 2017, 02:04 AM
Updated : 8 Nov 2017, 02:04 AM

২০১৪ সালে দখল মুক্ত হওয়ার পর এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের বাড়িতে তার স্মৃতি যাদুঘর স্থাপন করে পাবনা জেলা প্রশাসন। পাবনা শহরে আসার পর তাই প্রথম গন্তব্য ছিলো সুচিত্রা সেনের বাড়ি। বাড়িটি শহরের গোপালপুরের হেমসাগর লেনে অবস্থিত। টিকিট কাউন্টার থাকলেও কাউকে না পেয়ে ঢুকে গেলাম বাড়ির ভেতরে, নতুন এই জায়গার খোঁজ সবাই জানেনা, তাই দর্শনার্থীর সংখ্যা আমরা তিনজন ছাড়া অন্য কাউকে দেখতে পেলাম না। 

মহানায়িকার শৈশব-কৈশরের স্মৃতিধন্য এই বাড়ির উঠান পার হয়ে ভেতরে গিয়ে বেশ অবাকই হতে হল, কারণ তখনো কারো সাথে দেখা হল না। দেখভাল করার জন্য একজনকে অবশ্য পরে পাওয়া গেছিলো, তাকে ১০ টাকা করে টিকিটও দিতে হয়েছিলো। প্রথম ঘরে ঢুকে বন্ধুরা অনেক হতাশ হল, যদিও আমি হতাশ হইনি। আগে অনেক যাদুঘরে গিয়েছি কিনা তাই প্রতাশ্যাটা একটু কম ছিলো বৈকি। ঘরের দেয়াল জুড়ে রয়েছে এই মহানায়িকার নানান ছবি, যেখানে কোথাও তিনি সাবলীল বাঙালি নারী আবার কোথাও ইংরেজি ঢং এ নায়িকার বেশে  কোথাও তাকে দেখা যাচ্ছে পরিবারের সদস্যদের সাথে মিশে একাকার। কিছু ফেস্টুনে তার জীবন আর কর্মের সংক্ষিপ্ত বর্ণনাও চোখ এড়ালো না।

আমরা যখন ছবির মহানায়িকা নিয়ে ব্যস্ত তখন তদারক এসে সাউন্ড সিস্টেম অন করে দিলো সাথে সাথে বেজে উঠলো সেই গান 'এই পথ যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হত তুমি বল তো'। কিন্তু আরো অবাক হতে হল উপমহাদেশের এই কিংবদন্তী এই মহানায়িকার স্মৃতি সংগ্রহে তার ছবি আর বাড়ি ছাড়া তেমন কিছুই দেখার নেই। তবে আশার বাণী শুনে এসেছি, আরো কিছু ঘর খোলার কাজ চলছে যেখানে তার অনেক স্মৃতি দেখা যাবে। রেজিস্টার দেখে বুঝলাম প্রতিদিন ঘরে শ-দেড়েক মানুষ আসে এই জাদুঘর দেখতে। সরকার এখানে একটি চলচ্চিত্র আর্কাইভ এবং একটি লাইব্রেরি করার কথা আগেই বলেছে। তবে হ্যাঁ, এখানে গেলে তার পাশেই যে পুরানো নামহীন জমিদার বাড়িটি আছে সেটা দেখে আসতে ভুলবেন না।