সিকিম যেতে যেতে

জামাইল বশীর (জেবি)
Published : 4 June 2019, 09:33 AM
Updated : 4 June 2019, 09:33 AM

গতবছর নভেম্বরের আগ পর্যন্তও বাংলাদেশি ভ্রমণপিপাসুদের কাছে অধরা সিকিম ছিল  বড় এক আফসোস। পাহাড়ের চুড়ায় বরফ দেখার জন্য হাতের নাগালে সিকিম রেখে যেতে হতো রোথাং পাস না হয় কাশ্মীর। আর দার্জিলিং, কালিম্পং ঘুরে আসা পর্যটকদের মনে হতো ইশ আর একটু কাছ থেকে যদি কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দেখতে পেতাম!

গত বছর ২২ নভেম্বর থেকে ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালিন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য সিকিম, অরুনাচল ও লাদাখ উন্মুক্ত ঘোষণা করেন। সেদিন থেকেই প্রতিক্ষা শুরু; কবে যাব প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে ভরা সিকিমে।

ভারতের উত্তর-পূর্ব দিকের রাজ্য সিকিম একটি উল্লেখযোগ্য পর্যটন স্থান। এর রাজধানী গ্যাংটক। আয়তনে ছোট এ রাজ্যটির জনসংখ্যাও কম। ভারতের সবচেয়ে উঁচু চূড়া ও পৃথিবীতে তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বত শিখর কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মিলবে সিকিমেই।

বন্ধু ও ভ্রমণসঙ্গী মহির সাথে যোগাযোগ করলাম সিকিম যাওয়ার পরিকল্পনা করতে। তবে বাধ সাধল আমার শিশুপুত্রের বয়স। মাত্র সাড়ে চার মাসের বাচ্চাকে নিয়ে অন্তত সিকিম ভ্রমণ করা যায় না। সময়, সুযোগ, আবহাওয়া সবকিছু মিলে আমাদের ভ্রমণ গিয়ে ঠেকল এপ্রিলে।

সিকিম যাবার জন্য উপযুক্ত পোর্ট হচ্ছে ভারতের ফুলবাড়ী, মানে আমাদের বাংলাবান্ধা। আর কাছাকাছি চেংড়াবান্ধা-বুড়িমারি।

রাত সাড়ে নয়টায় ছেড়ে যাওয়া বাস বুড়িমারিতে ভোরবেলা পৌঁছলেও দূরত্ব ও রাস্তার অবস্থার কারণে বাংলাবান্ধা পৌঁছাতে সকাল ৮টা-৯টা বেজে যায়। ওপারে ফুলবাড়ি থেকে শিলিগুড়ি ২০ মিনিটে পৌঁছানো গেলেও চেংড়াবান্ধা থেকে শিলিগুড়ি আড়াই থেকে তিন ঘন্টার মত সময় লাগে।

ভারতে ভ্রমণকারী বাংলাদেশি পর্যটকদের কাছে আজকাল সিকিম যে প্রধান গন্তব্য হয়ে উঠেছে তা টের পেলাম বাসের টিকেট কাটতে গিয়ে। এক মাস আগেও ঢাকা-বাংলাবান্ধার টিকেট মেলা দায়।  পহেলা বৈশাখের ছুটি আর ভারতে লোকসভার ভোট মাথায় রেখে ১১ এপ্রিল ঢাকা থেকে রওনা হবার ইচ্ছা থাকলেও টিকেট না পেয়ে  একদিন আগে যাবার সিদ্ধান্ত নিই।

মাঝ এপ্রিলে ঢাকার বদ্ধ, গুমোট, ভ্যাপসা গরম থেকে বের হয়ে সিকিমের আলপাইনে ঘেরা রডডেনড্রন ফুলের পরশ মাখানো হিমেল হাওয়ায় কদিন হারিয়ে যেতে ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে নয়টার বাসে আমরা রওনা হলাম।

আমরা মানে আমি, আমার স্ত্রী পাপিয়া, বন্ধু মহি, মহির স্ত্রী সাঞ্জু ও আমার ৯ মাস বয়সী ছেলে প্রহর। লম্বা ভ্রমণ ও প্রহরের সময়মত খাবারের ব্যবস্থা করা নিয়ে মাথায় জমাট বাধা দুঃচিন্তাগুলো হার মানলো মায়াবি সিকিমের পাহাড়ের চূড়োয় জমাট বাধা রাশি রাশি বরফের কাছে।

রাতেই ফোন দিলাম তেঁতুলিয়ায় অবস্থানরত বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ বিভাগের সিনিয়র কবির ভাইকে। শুধু মানুষকে নিঃস্বার্থভাবে সহযোগিতা করাই নয়, তেঁতুলিয়াতে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার জন্য তিনি গড়ে তুলেছেন শিশুস্বর্গ। বলা যায় এ মুহূর্তে তেঁতুলিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় মানুষ হচ্ছে কবির ভাই। উনি কদিন আগেই গ্যাংটক ও সাঙ্গু লেক ঘুরে এসেছেন। আমাকে বেশ কিছু ভ্রমণ টিপস দিলেন।

১১  এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে বাংলাবান্ধা পৌঁছে সোজা ইমিগ্রেশনে গেলাম আমরা। অপ্রিয় হলেও সত্য দুই পারের ইমিগ্রেশনে চলতে দেখলাম  দালালের দৌরাত্ব; কয়েকজন কর্মকর্তা নানা উপায়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন। ভ্রমণকারীদের অনেকেই অযথা হয়রানির হাত থেকে বাঁচতে বিনা বাক্যে টাকা  দিচ্ছেনও।

আমরা প্রথম  যে রুমে ঢুকলাম সেখানে লম্বা লাইন।একজন সবার এম্বারকেশন ফরম পূরণের বিনিময়ে পাসপোর্ট প্রতি ১০০ টাকা করে রাখছে। আমার সিরিয়ালও এলো।

আমি পাঁচটা ফরম চেয়ে বললাম, আমাদেরটা আমরাই পূরণ করব। আপনারা অযথা কষ্ট করছেন কেন?

মনে হলো সরাসরি এমন দৃঢ় কথা তারা সচরাচর কম শোনে। আপাতত টাকা-পয়সা নেওয়া বন্ধ রেখে আমাকে পাঁচটি ফরম দিল। ফরম পূরণ করে ইমিগ্রেশন শেষ করে গেলাম তৃতীয় রুমে।

স্থলপথে যাত্রায় পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত ট্রাভেল ট্যাক্স দিতে হয় না। বারো বছর পর্যন্ত অর্ধেক আর বাকিদের পাঁচশ টাকা করে। আমি ঢাকা থেকে ট্রাভেল ট্যাক্স কেটে গেছি। কাউন্টারে গিয়ে বললাম, চারটি পাসপোর্ট।

ব্যাংক কর্মকর্তা বললেন,  দুই হাজার দুশো টাকা দিন।

চার পাসপোর্টে দুশো টাকা বেশি চাইলেন কেন তা জানতে চাইলাম আমি।

ব্যাংক কর্মকর্তা চরম বিরক্তি নিয়ে আগুন দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে দেখলেন। আমি শীতল দৃষ্টিতেই তার চোখের দিকে তাকিয়ে আছি।  কর্মকর্তাই চোখ নামিয়ে  নিয়ে বললেন, এই নাস্তা খাওয়ার জন্য রাখি। সবাই দেয়।

চা না নাস্তা? এখানে কি চা ৫০ টাকা কাপ? দিনে কতবার নাস্তা খান আপনি? দাঁড়ান হিসেব করি। গড়ে প্রতিদিন এখান থেকে ৫০০ জন ট্রাভেল ট্যাক্স কাটে। তার মানে আপনি প্রতিদিন পঁচিশ হাজার টাকার চা-নাস্তা খান? বছরে ২০০ দিনও অফিস করলে আপনার ইনকাম ৫০ লাখ টাকা। আচ্ছা, তেঁতুলিয়ার সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার সাহেব জানেন? তাকেই জিজ্ঞেস করি…।

ফোনটা বের করতেই  কর্মকর্তা কাউন্টার থেকে বের হয়ে অনুনয় করলেন।

এর পাশের কক্ষেই  বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর উন্নয়ন কর। এটি আর কোনো স্থলবন্দরে নেই। অনেকে এটি না বুঝে  ভূয়া হিসেবে বর্ণনা করেন। তবে এর ফাঁক-ফোঁকড়টা অন্য রকম। যেমন পাসপোর্ট প্রতি ৫০ টাকা চাইলেও রশিদে লেখা হয় ৪২.৫০ টাকা। তার মানে পাসপোর্ট প্রতি সাড়ে সাত টাকা গায়েব। আর বাংলাদেশি ও বিদেশি সকলকে যেতে এবং আসতে দুইবার করে এই কর দিতে হয়। সেক্ষেত্রে আসা-যাওয়া মিলিয়ে প্রায় হাজার খানেক ভ্রমণকারী এই স্থল বন্দর ব্যবহার করেন। সে হিসেবে প্রতিদিন এই কর্মকর্তার বাড়তি অবৈধ ইনকাম গড়ে সাড়ে সাত হাজার টাকা।

যারা এই পোর্ট দিয়েই দেশে ফিরবেন তাদের জন্য পরামর্শ হচ্ছে, যাওয়া-আসার দুটি কর একসাথে দিয়ে দিলে ফেরার পথে সময় বাঁচবে।

কাস্টমসে কোনো ঝামেলা ছাড়াইে আমাদের সিল মিললেও অনেককেই টাকা দিতে দেখলাম।

পাসপোর্টে ডলার এনডোর্স থাকলেও আপনি বৈধভাবে পনের হাজার বাংলাদেশি টাকা সাথে নিয়ে ভ্রমণ করতে পারবেন। না জানার কারণে এই টাকার জন্যও অনেককেই ঘুষ দিতে হয়।

ইমিগ্রেশন বিল্ডিং থেকে বের হয়ে দেখি সূর্য প্রায় মাথার উপরে। এদিকে সকালে নাস্তাও করা হয়নি। রাস্তার ওপারে খাবারের দোকানে নাস্তা শেষ হয়ে দুপুরের খাবার তৈরি। পাপিয়া ছুটল পাশের চায়ের দোকানের চুলায় প্রহরের খাবার রান্না করতে। আমি প্রহরের জন্য ওয়াটার হিটার, ফ্লাস্ক, রান্না করার ছোট পাতিল, চাকু, চামচ ও তার জন্য প্রয়োজনীয় রেডি ও কাঁচা সবজি সাথে নিয়েছি। আলু ভর্তা, গরুর মাংস, সাদা ভাত ও ডাল দিয়ে 'ব্রাঞ্চ' শেষ করে বর্ডার পার হয়ে গেলাম ভারতের ইমিগ্রেশন ভবনে।

এপারের অবস্থা আরো খারাপ। কে দালাল আর কে কর্মকর্তা বোঝা মুশকিল। টাকা-পয়সা নেওয়ার ক্ষেত্রে এদের কোনো রাখঢাক নেই। ঢুকতেই দেখলাম সামনে কয়েকজন এরাইভাল ফরম পূরণ করছে। সেখানে পাসপোর্ট দেওয়ার কিছুক্ষণ পর আমাকে ডাক দিয়ে তারা একজন ভাইকে ডাকল।  তার হাতে আমাদের পাসপোর্ট দিয়ে বলল, ওর সাথে যান।

ইমিগ্রেশন কক্ষে ঢোকার আগে করিডোরে তথাকথিত ভাই দাঁড়িয়ে আমাকে কাছে ডেকে গলার স্বর নীচু করে পাঁচটি পাসপোর্টের জন্য পাঁচশ টাকা চাইলো। তার হাত থেকে পাসপোর্টগুলো নিয়ে আগের মত দৃঢ়ভাবে বললাম, একটা পয়সাও দিবো না। দীর্ঘদিন গণমাধ্যমে কাজ করেছি, সেই পরিচয়টা কাজে লাগালাম। তাতে ফল পেলাম হাতেনাতে।

ইমিগ্রেশন শেষ করে গেলাম কাস্টমসে। বড় একটি হল রুমের এক কোনায় হিটলারের কনসেন্ট্রেশন সেলের মতো কাঠের ছোট একটি ঘর বানানো। কর্মকর্তা প্রতিটি গ্রুপ থেকে একজন করে ডাকছেন আর কিছুক্ষণ পরেই সে বের হয়ে তার দলের অন্যদের সাথে দ্রুত আলোচনা করে টাকা হাতে নিয়ে ভেতরে ঢুকে পাসপোর্ট ফেরত নিয়ে আসছে।

মহি আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ওর চোখ বলে দিচ্ছে মহি ভাবছে, এখান থেকে ছাড় পাব কীভাবে?

আমাদের গ্রুপ থেকে মহিকে ডাকল। আমি তাকে থামিয়ে নিজে এগিয়ে গেলাম। ভিতরে যথারীতি পাসপোর্ট গুণে টাকা নেওয়া হচ্ছে। আমিও আগের মতই দৃঢ়ভাব নিয়ে পরিচয় দিয়ে বললাম, আমি এভাবে টাকা দেওয়ায় অভ্যস্ত নই। দ্রুত কাজ হলো। কোনো রকমের পয়সা ছাড়াই দুটি ইমিগ্রেশন পার হলাম।

ইমিগ্রেশনের পাশেই কয়েকটি মানি এক্সচেঞ্জ এজেন্ট। সব এজেন্টের একই রেট; কমও না, বেশিও না। এটা একটি শক্ত সিন্ডিকেট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।  ভ্রমণকারীদের পিছে বিভিন্ন এজেন্টের দালালরা আঠার মত লেগে থাকে। কেউ রেটের হেরফের করলে সিন্ডিকেট তার দোকান সাতদিনের জন্য বন্ধ করে দেবে, আর ভ্রমণকারীকেও হেনস্তা করবে।

অসহায়ত্ব আর রাগে মেজাজ যখন চরমে তখন এক এজেন্ট ভিজিটিং কার্ড ধরিয়ে ফোন নম্বরের দিকে ইশরা করল। আমি যা বোঝার বুঝে নিয়ে নিয়েছি। ইমিগ্রেশন ভবনের কাছে এসে ঐ নম্বরে ফোন দিলাম। চলতি রেট থেকে সে আমাদেরকে বেশি দেবে, তবে লেনদেন এখানে নয়, ওখান থেকে দু'কিমি দূরে ফুলবাড়ি বাজারে যেতে হবে। কথা মতো ফুলবাড়ি বাজারে এসে বেশি রেটে রুপি সংগ্রহ করি।

১১ এপ্রিল সিকিমে লোকসভার ভোটের পর্ব ছিল বলে আমরা সেদিন কালিম্পং ঘুরে পরের দিন গ্যাংটকে যাবার সিদ্ধান্ত নিই। ইমিগ্রেশনের সামনে থেকে ২৫০ রুপি দিয়ে অটো নিয়ে সোজা নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনে চলে যাই।

যারা সরাসরি গ্যাংটক যেতে চান তারা হিলকার্ট রোডের সিকিম ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টে গিয়ে গ্যাংটকের গাড়ি ধরতে পারেন। গ্যাংটক যেতে ঝামেলা কম হবে। অনেকেই সিকিমের ইনার লাইন পারমিটের জন্য শিলিগুড়ির সিকিম ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টে গিয়ে ফরম পূরণ করে থাকেন। এর কোনো প্রয়োজন নেই।  আপনাকে পশ্চিমবাংলা সিকিম সীমান্তের রংপোতে অবস্থিত ফরেনারস রিপোর্টিং অফিস থেকে পাসপোর্ট এন্ট্রি ও সিল নিতে হবে তা আপনি যেখান থেকেই ফরম পূরণ করেন না কেন। এ জন্য প্রয়োজন পাসপোর্ট, পাসপোর্ট ও ভিসার ফটোকপি এবং পাসপোর্ট সাইজের এককপি ছবি।

যে কয়দিন সিকিমে থাকতে চান তার চেয়ে তিন-চারদিন বেশি পারমিট নিয়ে রাখুন। গ্যাংটকে পারমিট তিরিশ দিন পর্যন্ত এক্সটেনশন করা গেলেও তা বেশ ঝামেলার নতুবা আপনাকে ফের রংপো এসে পারমিট এক্সটেন্ড করতে হবে।

শিলিগুড়ি, দার্জিলিং কিংবা কালিম্পং থেকে গ্যাংটক যাবার ট্যাক্সি ভাড়া করা সময় প্রথমেই খুঁজতে হবে হলুদ রংঙের ট্যাক্সি, যার  লাইসেন্স প্লেটের শুরুতে এসকে লেখা আছে।  এককে মানে সিকিম। আর ডব্লিউবি মানে ওয়েস্ট বেঙ্গল। সিকিমে ফিরতি গাড়িগুলোতে স্বাভাবিকভাবেই ভাড়া একটু কম হয়।

গ্যাংটক থেকে ফেরার সময় খুঁজবেন ডব্লিউবি লেখা ট্যাক্সি। চার-ছয়-আট সিটের ট্যাক্সিগুলোতে শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটকের ভাড়া সাধারণত আড়াই হাজার রুপি। তবে তা দরদাম করে করে দুই হাজার  রুপিতেও নামানো যায়। এক বা দুই জন হলে সোজা ট্যাক্সি স্ট্যান্ড থেকে শেয়ার ট্যাক্সিতে চলে যাবেন। ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ২২০-২৫০ রুপি।

রংপোতে সিকিমের ইনার লাইন পারমিট নিতে অনেক সময় এক থেকে দুই ঘন্টা লেগে যায়। তাই গাড়ি ভাড়া করার সময় ড্রাইভারকে আগে থেকেই অবহিত করে নিতে হবে নয়তো প্রতি ঘন্টার জন্য অতিরিক্ত ৩০০ রুপি চার্জ হতে পারে। শেয়ারে যারা যাবেন তারাও ঐ গাড়ির ড্রাইভারকে বিষয়টি জানিয়ে নেবেন।

সাথের লাগেজের পরিমাণ বেশি হলে অবশ্যই ছাদে ক্যারিয়ারয়ালা গাড়ি নিবেন কারণ কোলের উপর লাগেজ নিয়ে যাত্রা কষ্টসাধ্য পাশাপাশি আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথের সৌন্দর্য উপভোগ থেকেও বঞ্চিত হবেন।

আমরা বেলা তিনটার দিকে নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনে নামলাম। লোকসভার ভোটের কারণে গাড়ির সংখ্যা অনেক কম। সেই সুযোগে চার সিটের ট্যাক্সি আড়াই হাজার রুপি ভাড়া চাইলেও দরদাম করে ১৮৫০ রুপিতে ভাড়া করে কালিম্পঙের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলাম আমরা।