অনেক হতাশার মাঝে রাজনীতিতে ইতিবাচক উপযোগ

শরিফুজ্জামান
Published : 30 April 2012, 12:04 PM
Updated : 30 April 2012, 12:04 PM

বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে কালোত্তীর্ণ নেতাদের রাজনীতির জীবন এখন শেষ ভাগে। খ্যাতনামা ছাত্রনেতারা পদার্পন করেছিলেন রাজনীতিতে। ছাত্ররাজনীতির অবক্ষয়ে ৯০ এর পর তাদের জায়গা দখল করে ব্যবসায়ী ও আমলারা। কিছুদিন আগে খালেদা জিয়া বলেছেন মেধাবীদের দলে যোগ দিতে তিনি ভাল পদ দিবেন। সকলের অলক্ষে রাজনীতিতে কিছু তরুন স্থান করে নিচ্ছে যা একটি ইতিবাচক দিক এবং অন্যদের জন্য এটি অনুসরণীয় হবে।

ফেসবুক টুইটার ও ব্লগিং এর যুগে ভবিষ্যত সম্ভাব্য শীর্ষ নেতাদের নামে অবশ্যই সজীব ওয়াজেদ জয় এবং তারেক রহমানের নাম সবার আগে থাকবে। তাদের সহযোগী, অনুসারী বা প্রতিদ্বন্দ্বি, প্রতিপক্ষ হিসাবে অনেক জনপ্রিয় তরুনরা জায়গা করে নিচ্ছে যাদের রাজনীতিতে পদার্পন গতানুগতিক ছাত্ররাজনীতির মাধ্যমে হয় নাই। বলার অপেক্ষা রাখেনা তাদের মধ্যে ফজলে নুর তাপস, আন্দালিব পার্থ, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, মাহি বি চৌধুরী, তুহিন মালিক, গোলাম মাওলা রনি অন্যতম। তাদের সমসাময়িক ছাত্রনেতারা মেধাহীন না হলেও মেধাবী বলা যাবেনা। মাহবুব শাকিলের বা আল মাহমুদ সপনের মতো ব্যতিক্রম নাই তা বলাটাও শতভাগ ঠিক হবেনা। আবার যোগ্য উত্তররাধিকারী হিসাবে সাইদ খোকনের মত ব্যক্তিও আছেন।

তরুনদের এই আগমন ইতিবাচকভাবে দেখার কারন তারা তাদের লেখাপড়া শেষ করে অবস্থান তৈরী করে রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়েছেন। যেমন তুহিন মালিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক করে বৃটেনের অ্যাশেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার আইনে স্নাতকোত্তর পড়াশোনা করেছেন এবং আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।

মোহাম্মদ আলী আরাফাতও বৃটেন থেকে এমবিএ পাশ করে এখন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি সুচিন্তা ফাউন্ডেশন নামের একটি সামাজিক সংগঠন অনেক মেধাবী তরুনদের শক্তিশালী সংগঠন। তার যুক্তিক উপস্থাপনার কারনে প্রায় সব চ্যানেলের টকশো গুলির নিয়মিত জনপ্রিয় বক্তা। আমি একমত হই বা না হই তার বক্তব্য এই সরকারের ভাবমুর্তি ভাল রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।

মাহি বি চৌধুরী বাবার রাজনৈতিক সুনামের পাশাপাশি তরুনদের মাঝে জনপ্রিয়। ফজলে নুর তাপস এবং আন্দালিব পার্থর বংশীয় রাজনৈতিক ঐতিহ্য ছাড়াও বৃটেন থেকে আইন পড়ে এখন সংসদ সদস্য।

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এরা প্রায় সকলেই ইন্টারনেটের কারনে তরুনদের কাছে খুব জনপ্রিয়। গোলাম মাওলা রনি ও আন্দালিভ পার্থর টিভিতে উপস্থিতি তাদের জনপ্রিয়তা বাড়ালেও এক্ষেত্রে গোলাম মাওলা রনি বোধ হয় দলীয়ভাবে ভাল অবস্থানে নাই।

যুবসমাজকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য যোগ্য মেধাবী ও ক্লিন ইমেজের নেতার সত্যি বড় অভাব। মন্দের মাঝেও উদীয়মান ছাত্রনেতারা বিএনপি আওয়ামী লীগ যারাই ক্ষমতায় ছিল সেই প্রভাব বিস্তার করে টাকা কামানোতে ব্যস্ত হয়ে নিজেদের ইমেজকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

আশার কথা হলো এখন যুবসমাজ রাজনীতি সচেতন হয়েছে। ছাত্ররাজনীতি বা গতানুগতিক ধারার রাজনীতির বাহিরে তুহিন, পার্থ, আরাফাতের মত সৎ ও মেধাবীরা যদি রাজনীতিতে স্থান করে নিতে পারে তাহলে রাজনীতিতে ভাল কিছু হতে পারে। তারেক বা জয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশের ভবিষ্যত নিয়ে আমি খুব আশাবাদি।