নৌ কমিশন গঠনের মাধ্যমে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব

হাসিবুল হক
Published : 9 August 2014, 03:21 PM
Updated : 9 August 2014, 03:21 PM

বছরের পর বছর বাংলাদেশে নৌ, সড়ক, রেল দুর্ঘটনা অহরহ ঘটছে। এতে মানবিকতা দুমড়ে মুচড়ে পড়তে আর কতটুকু বাকি আছে জানি না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সংসদে আইন করে স্হায়ী কমিশন গঠন করে স্হলপথ নৌপথের সব ধরনের বিশৃঙ্খলা রোধের ব্যবস্হা নিন। সৃষ্ট দুর্ঘটনায় অকাল মৃত্যু আমরা আর কত সহ্য করব! বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রটির যে চরিত্র জনগণ দেখতে চাই তা প্রতিষ্ঠার সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন।

* জলযান, স্হলযান কমিশন গঠন করুন। সকল যানের ফিটনেস প্রদান থেকে শুরু করে তদারকির সকল কার্যক্রম গঠিত কমিশনের হাতে ন্যস্ত
করুন।

* বড় উৎসবের সময়েও ধারণ ক্ষমতার অধিক যাত্রী,মালামাল বহনের কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করুন।

* উৎসবের জন্য সকল অফিস আদালতে (ব্যতিক্রমী অফিস ছাড়া) ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়ে, ধারণ ক্ষমতার অধিক যাত্রী বহনের প্রবণতা রোধের ব্যবস্হা গঠিত কমিশনের হাতে ছেড়ে দিন।

* চরম বৈরী আবহাওয়ায় দুরপাল্লার গণযান চলাচল নিষিদ্ধ করুন যা কমিশন তার লোকবল দিয়ে কঠোর তদারকি করবে।

* নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে মেরিন ডিপ্লোমা না হলেও ন্যূনতম ছয় মাস/এক বছরের কোর্স চালু করা, যারা এইচএসসি পাস করে এ পেশায় নিয়োগের যোগ্য হতে পারে।

* তেমনি স্হল পরিবহনের নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রেও ন্যূনতম এইচএসসি পাস পরবর্তী ছয়/এক বছরের কোর্স সম্পন্ন করা প্রার্থীদের জন্য নিয়োগ বিধি চালুর ব্যবস্হা করা।

* যারা বর্তমানে কর্মরত সারেং, গাড়িচালক তাদের লাইসেন্স ঢালাওভাবে বাতিল না করে পুনরায় ব্যবহারিক পরীক্ষা নিয়ে যোগ্যদের লাইসেন্স
দেয়ার ব্যবস্হা নিতে হবে। এসব প্রক্রিয়াও কমিশনের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।

* সকল নিয়োগের ক্ষেত্রে উপযুক্ত বেতন ভাতা ইত্যাদি সুবিধার নিশ্চয়তা; নীতিমালার মাধ্যমে সুনিশ্চিত না করলে লঞ্চ ও পরিবহন মালিকরা এসব শিক্ষিত চালকদের ঠকানোর চেষ্টা করবে, শিক্ষিত চালক এ পেশায় আসতে আগ্রহ দেখাবে না।
* রেলের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।

অসংখ্য নিরীহ যাত্রী নিয়ে কোন জলযান যেন চিরদিনের জন্য হারিয়ে না যায়। কোনো পরিবহন তার যাত্রী নিয়ে ব্রীজের রেলিং ভেঙে নদীতে পড়ে যেন সলিল সমাধির শিকার না হয়, মুখোমুখি সংঘর্ষের কারণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত না হয়। সরকার যেন মনে রাখে জনগণকে রক্ষার মহান দায়িত্ব রাষ্ট্রের।