নবীনগরে পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ডাকাত নিহত

সোহেল আহমেদ
Published : 6 March 2018, 02:11 AM
Updated : 6 March 2018, 02:11 AM

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় ডাকাত দলের সাথে পুলিশের গুলি বিনিময়ের ঘটনায় এক ডাকাত নিহত হয়েছে। নিহত ডাকাত জাবেদ উপজেলার কাইতলা পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত ইদন মিয়ার ছেলে। জাবেদের বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় নয়টি মামলা ছিল।

রবিবার গভীর রাতে উপহজলার হাওড়ভাঙ্গা ব্রীজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হন।

পুলিশ জানায়, রবিবার সন্ধ্যায় কাইতলা হাসান শাহ মাজারের পুকুর পাড় থেকে শিবপুর ফাঁড়ি পুলিশের এসআই ইহসানুল হাসানের নেতৃত্বে আসামী জাবেদকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর জাবেদকে শিবপুর পুলিশ ক্যাম্পে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে একই এলাকার হাওড়ভাঙ্গা ব্রীজের নিচে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র মজুদ আছে বলে জানায়। এসব ব্যবহার করে তার দলের লোকজন ডাকাতি কাজ করতো।

পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী জাবেদকে সাথে নিয়ে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রাজু আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রাত দেড়টার দিকে অস্ত্র উদ্ধারে যান।

রাত সোয়া তিনটার দিকে হাওড়ভাঙ্গা ব্রীজের ৪০-৫০ গজ দক্ষিণে পুলিশ অবস্থান নিলে ওঁৎ পেতে থাকা জাবেদের সাথীরা তাকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। ঐ সময় ডাকাত দলের গুলিতে আসামী জাবেদ গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। এসময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ২৮ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।

১০-১২ মিনিট গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। এসময় তাদের আটক করার চেষ্টাকালে এসআই ইহসানুল, এসআই অসীম চন্দ্র ধর, এএসআই আবুল কালাম, মোঃ নাজমুল হোসেন ও পারভেজ আহত হন।

পুরিশ ঘটনাস্থল থেকে ডাকাতদের ফেলে যাওয়া একটি দেশীয় পাইপ গান, ছয় রাউন্ড তাজা কার্তুজ, চার রাউন্ড কার্তুজের খোসা এবং চারটি রামদা উদ্ধার করে।

গুরুতর আহত জাবেদকে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভোর পাঁচটায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত পুলিশ সদস্যরা নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নেয়।