বাংলাভাষার প্রবাদপ্রতীম কবি শামসুর রাহমান স্বদেশের প্রেক্ষিত বিশ্লেষণে আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ‘উদ্ভট এক উটের পিঠে স্বদেশ আমার’। আমার প্রিয় শিক্ষক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সাঈদের একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে আমাদের জাতীয় সংসদে যে তুমুল কান্ড ঘটে গেল, যেভাবে তাকে তুলোধুনো করে ধৃষ্টতা দেখানো হল সে কথা ভাবতেই সহসাই কবি শামসুরের আক্ষেপ বাণীর কথা মনে এল।
কেন সাংসদরা ক্ষিপ্ত হয়ে অশালীনভাবে দেশপ্রিয় অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সাঈদকে তার অনুপস্থিতিতে হেনস্তা করে আমাদের জাতীয় সংসদকে কলঙ্কিত করল? জানা যায় এর মূল উৎস দৈনিক ইনকিলাবের এক হলুদ সাংবাদিকতা্। উল্লেখ্য, দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শনিবার টিআইবির এক সভায় আবু সায়ীদ বলেছেন,
সাংসদ ও মন্ত্রীরা চোর-ডাকাতের মতো আচরণ করেন এবং শপথ ভঙ্গ করেন।
অথচ আমরা যারা আব্দুল্লাহ আবু সাঈদের ছাত্র এবং যারা তাঁকে ঘনিষ্ঠভাবে জানে তারা জানেন স্যারের মতোন শালীন ব্যক্তিত্বের পক্ষে অশালীনভাবে কোন গোষ্ঠীকে এমনতরো গালাগালি করা সম্ভব নয়। প্রকৃতপক্ষে তিনি উক্ত সভায় দুর্নীতিকে সংজ্ঞায়িত করতে যেয়ে বলেছিলেন, একটা চোর চুরি করলে বা ডাকাত ডাকাতি করলে দুর্নীতি হবে না। কারণ দুর্নীতির সঙ্গে নীতি সম্পর্কিত। আর চোর বা ডাকাতের নীতিই নেই। তাই তাদের ক্ষেত্রে দুর্নীতির বিষয়টি আসেই না। যদি কোনো মন্ত্রী এই বলে শপথ নেয় যে, তিনি শত্রু-মিত্র ভেদাভেদ না করে সবার প্রতি সুবিচার করবেন এবং সেটা যদি ভঙ্গ করেন তাহলে তা দুর্নীতি হবে।”
এখন আসুন তত্ত্বগতভাবে ধরে নেই আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ স্যার সত্যি সত্যিই বলেছেন, “সাংসদ ও মন্ত্রীরা চোর-ডাকাতের মতো আচরণ করেন এবং শপথ ভঙ্গ করেন।” সে ক্ষেত্রেও কি সাংসদদের এমন ক্ষিপ্ত হওয়া সমীচিন হয়েছে? বিষয়টা কি ঠাকুর ঘরে কে রে.. আমি কলা খাই না ধরণের হয়ে গেল না!

দূর্নীতির ক্ষেত্রে আমাদের সাংসদরা কি আসলেই ধোয়া তুলসি পাতা? সংসদ নির্বাচনে কোটি কোটি টাকা খরচ করে একেক জন নির্বাচিত হন। নির্বাচনে এমনতরো কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগের শানে নজুল কি জনগণ জানে না! আমাদের সংবিধান অনুযায়ী সাংসদের মূল দায়িত্ব আইন প্রণয়ন করা। সেটিকে প্রাধান্য না দিয়ে তারা কেন স্থানীয় উন্নয়ন প্রকল্পে জড়িত হতে লালায়িত কেন? অথচ সংবিধান অনুযায়ী স্থানীয় উন্নয়ন প্রকল্প কার্যে স্থানীয় সরকার (যেমন উপজিলা পরিষদ, জিলা পরিষদ) গুলোরই মুখ্য ভূমিকা হওয়ার কথা। অথচ সাংসদের দাবির মুখেই উপজেলা পরিষদকে আজো অকার্যকর করে রাখা হয়েছে। কেন??? এ প্রশ্নের উত্তরে আমাদের সাংসদরা লা জওয়াব।
***
ফিচার ছবি: http://www.saudiaramcoworld.com থেকে সংগৃহিত
মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেনঃ
এমন লিখলে আবু সাইদের পথ ধরে আপনিও সংসদে যাওয়ার সৌভাগ্য লাভ করতে পারেন।
মাহবুব জামান বলেছেনঃ
ধন্যবাদ লেখক।
আমরা অবাক বিস্ময়ে টিভি তে দেখলাম সুটটাই পরা এক নির্লজ্জ সাংসদ আবার বলছেন ” যার দেশের প্রতি কোন অবদান নাই তিনি সংসদ সদস্যদের সমালোচনা করেন কিভাবে ” !!!!!
লজ্জায় মাথা নুয়ে ভাবি- ” সাঈদ স্যার, আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে আপনি ষোলআনাই ব্যার্থ । আপনার দেয়া শিক্ষা গ্রহণ করার মতো ন্যূনতম মানসিক ভিত্তি এখনও ওদের তৈরি হয়নি। ” আমাদের ক্ষমা করবেন স্যার
নুরুন্নাহার শিরীন বলেছেনঃ
কি অদ্ভূতুড়ে-উদ্ভট-কান্ডজ্ঞানহীনতা আমাদের জাতীয় সংসদে বসে সাংসদগঙ প্রদর্শন করেন দেখে-শুনে অবাঙ বেদনায় অধোবদন হই …. এ লজ্জা এ বেদনা কি দিয়ে ঢাকি …. স্যারের কাছে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী হয়েও যদি লজ্জামোচন খানিকটা হয় তবে তা-ই হউক …. তেনাদের হয়ে আমরা ক্ষমা চাইছি !
আবু সাঈদ আহমেদ বলেছেনঃ
মাননীয় সংসদ সদস্য আলী আশরাফ বলেছেন, “সংসদ অবমাননা করা ব্যাড সিগন্যাল।” কিন্তু সাংসদগন যেভাবে নিজেদের আইন ও সামালোচনার উর্দ্ধে ভাবছেন এবং স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিদের বক্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে চরিত্র হনন করছেন তা শুধু গণতন্ত্রের জন্যই নয় সমগ্র দেশের জন্যই একটি ব্যাড সিগন্যাল, ভেরী ব্যাড সিগন্যাল।
মোত্তালিব দরবারী বলেছেনঃ
এই পোষ্টে যারা মন্তব্য করবেন-বিষেশ করে পোষ্টের বক্তব্য সমর্থন করবেন তাদের সকলকে সংসদে ডাকা হোক ক্ষমা চাওয়ার জন্য।
এব্ং নিশ্চিতভাবে আমাকেও।
আব্দুল মোনেম বলেছেনঃ
তিনি তো কাউকে ল্যাংটা বলেননি। গরমের জ্বালায় কেউ গায়ে কাপড় রাখতে না চাইলে আমরা আর কী করতে পারি! তবে কাপড়টা আবার পড়ে নিয়ে শান্ত-সুন্দর এই শিক্ষকজীর বাড়ীতে যাওয়াটাই ভাল হবে।
Asif বলেছেনঃ
কী বলব। এ সব অসশিখীত্ত মূর্খ সংসস্দ সদদসসরা আর কিভাবে বুজবে Sir আমাদের কী ডিএসেন । Sir আমাদের খুব ইসসা করে চিত্কার করে প্রতিবাদ করি কিন্তু সুযোগটা Passi না।
nirbodh বলেছেনঃ
প্রথম কথাই হচ্ছে আবু সায়িদ স্যারকে যাচাই না করেই, যে সাংসদরা মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করলেন, তারা কি এখন ক্ষমা চাইবেন? আর সংসদ ও স্পিকার কি শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেবে দোষি সাংসদদের বিরুদ্ধে?
আর যদি, আবু সায়িদ স্যার বা বাংলাদেশের অন্য কোনো নাগরিক বলেন যে “সাংসদ আর মন্ত্রীরা চোর-ডাকাতের মত আচরন করেন, তবে কি তারা ভুল বলেছেন। তাদের বক্তব্যের সমর্থনে সাক্ষ্য প্রমানের জন্য বেশিদুর যেতে হবে না –
গত বিয়াল্লিশ বছরে সাংসদ-মন্ত্রীরা ক্ষমতায় বা বিরোধিদলে থাকাকালে একে অপরের বিরুদ্ধে যেসব দুর্নিতির অভিযোগ তুলেছেন ও মামলা দিয়েছেন, এবং ক্ষমাতায় এসেই নিজেদের যেসব দুর্নিতির মামলা প্রত্যাহার করিয়ে নিয়েছেন ক্ষমতা খাটিয়ে, সেসবের খাতিয়ান তুলে ধরলেই তাদের জবানিতেই আর কাজেই প্রমান হয়ে যাবে যে, বিরাট সংখ্যা গরিষ্ঠ সাংসদ-মন্ত্রিরা সত্যিই চোর-ডাকাতের মত আচরন করেন।
কথায় কথায় সাংসদরা আজকাল বলে থাকেন সংসদ সর্বভৌম – একথাটা তারা সংবিধানের কোথায় পেয়েছেন? সংসদ সর্বভৌম নয়, শুধু সংবিধান সর্বভৌম – সংসদ সহ দেশের সব প্রতিষ্ঠান আর নাগরিকই আইন তথা সংবিধানের অধিন এবং সংবিধানের কাছে দায়বদ্ধ।
সংসদ এবং সাংসদদের সংসদের ভিতরে যেকোনো বিষয়ে যে কোনো কথা বলার সাংবিধানিক ইমিউনিটি দেয়া আছে – এটা প্রযোজ্য শুধু সংসদের অধিবেশনের ভিতরে। এটাকে সংসদ বা প্রকারন্তরে সাংসদরা সর্বভৌম এই প্রচারনা চালানো, সংবিধানেরি পরিস্কার লঙ্ঘন।
ভোটে জিতেই যাতে কেউ ফেরাউন হয়ে না যেতে পারে, সংবিধানে তার প্রতিরক্ষায় নেক রক্ষা কবচ রাখা আছে – সব পদেরই আইনি সিমাবদ্ধতা ও আইনি প্রতিকার রাখা আছে। আমাদের দুর্ভাগ্য গত চল্লিশ বছরের আপসে আর অবক্ষয়ে সব প্রাতিষ্ঠানিক সাংবিধানিক ব্যবস্থা আর রক্ষা কবচই ধ্বংসের মুখে।
বোকুল বলেছেনঃ
যে দেশে প্রধানমন্ত্রী সংসদ সদদসস কে চুরের মা , চুর বোলটে পারেন সে েদশে ওননোরা যদি
বলেন তবে দুশ কি ?
অস্থির দুনিয়া বলেছেনঃ
◄►তবু যদি মাফ চাইতে হয়, আমি হলে যেভাবে চাইতাম◄►
“আমি ভুল করেছি। আমার বোঝা উচিৎ ছিলো এই দেশটা শুধুই আপনাদের। যে কাউকে দিয়ে যা খুশি করানোর অধিকার আছে আপনাদের। আমরা অন্ধ চামচিকার দল আপনাদের আদেশ মেনে চলব। যা বলবেন তাই করব। আপনারাই যে আমাদের সব! চাইলে আপনারাই আমাদের জন্মদাতা মা-বাপ! আমরা যে সব কুত্তার বাচ্চা!
আমি ক্ষমা প্রার্থি। আমায় ক্ষমা করুন!”
ভাদা বলেছেনঃ
সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনে শিক্ষাগত ছাড়া আরো কয়েকটি বিষয়ে যোগ্যতার মাপকাঠি নির্ধারিত হওয়া উচিত। কেননা চাকরির ক্ষেত্রে শর্তারোপ করা হয় “কোনো পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণী গ্রহণযোগ্য নয়।” চাকরির ক্ষেত্রে যেখানে অভিজ্ঞ লোকদের নিকট থেকে শিখে অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ রয়েছে; সেখানে কোনো ছাড় দেওয়া হচ্ছে না; অথচ যারা আমাদের জাতীয় সংসদে জাতির ভবিষ্যত বিনির্মাণের কারিগর হিসেবে আছেন সেই তারাদেরই অনেকের শুধু স্বাক্ষর জ্ঞান রয়েছে। এরকম শুধু স্বাক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন পেশিশক্তিধারীরা যদি সংসদে যায়, তাহলে সেটাকে মাছের বাজার (স্পীকার), নোংড়া জায়গা ইত্যাদি বলে অভিহিত করতে অনেকে বাধ্য হন।
রাজাকারের উত্তরসূরী মি. বাহাউদ্দিনের ইনকিলাব সরকারের প্রতি আনুগত্য দেখাতে গিয়ে স্যার আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ সম্পর্কে যা লিখেছে এবং এই একটি মাত্র পত্রিকার লেখা দেখেই কতিপয় সাংসদ যেভাবে মারমুখী আচরণ প্রকাশ করেছেন, সেটাকে তাতে তাদের নৈতিক দীনতা, মানসিক বৈকল্যই শুধু প্রকাশ পেয়েছে অন্য কিছু নয়।
ডেপুটি স্পীকার সাহেব স্যারকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার কথা বলে তাদের সেই বৈকল্যকেই সম্মুখে এনেছেন।
মঞ্জুর মোর্শেদ বলেছেনঃ
লেখাটি ব্যানারে দেখে আমার কম্পিউটারটির মতই রিফ্রেশড হলাম । সাঈদ স্যারকে নিয়ে লিখাগুলো এবং সেই সাথে পাঠকদের মন্তব্য দেখে আবার ও নতুন করে ভাবার শক্তি পাই।
লেখককে ধন্যবাদ কিছুটা হলেও ভিন্ন দিকে আলোকপাতের জন্য।
bibek বলেছেনঃ
উনি তো সরাসরি বলেন নাই, কিন্তু চোর কে চোর বললে দোষের কী আছে তাই তো বুঝলাম না / চুরি / দুর্নীতি করলে যত যাই না, চোর / দুর্নীতিবাজ বললে যত যাই/
bigol বলেছেনঃ
এখন সরকার শিক্ষক-বুদ্ধিজীবিদের কথা সমালোচনা সহ্য করতে পারছে না
অথচ ১৪ডিসেম্বর আসলে কত আয়োজন, কথার ফুল ঝুরি, শ্রদ্ধাঞ্জলীর লৌকিকতা
আর সর্বপরি ভন্ডামী।
পক্ষে কথা বোলবা তুমি দেশের শ্রেষ্ট সম্পদ বিপক্ষে গেলে রাষ্ট্রদ্রোহি——-
কত নিকৃষ্ট মানসিকতা……………।।
hasan বলেছেনঃ
আওয়ামিলীগ করলেই দেশের প্রতি অবদান হয় আর না করলে এদেশে তারা অনাহুত।
moazzem বলেছেনঃ
এক দিকে এই তিন সাংসদ অন্যদিকে প্রফেসর আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ’এর দিকে তাকালে কি মনে হয়? এদেরকি এমন কোন যোগ্যতা আছে যার উপর দাড়িয়ে মহান সংসদে এমন অসত্য বিষয়ে আলোচনা করতে পারে? সংসদ সদস্য মানেত এই নয় যে তারা যা খুশি তাই বলতে এবং করতে পারবে ।
বিডি০৮ বলেছেনঃ
অধিকাংশ বিএনপি-আওয়ামী সাংসদেরা দুর্নীতিবাজ …কারন এদের নীতিই নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার …
জনতার মতামত বলেছেনঃ
জামাতিরা????????? ভালো????????????
তাকডুম তাকডুম বাজান জামাতিদের ঢোল।
সুযোগমত লেইখা দিলেন জামাতিদের বোল।
আওয়ামী-বিএনপি শেষ হলেই আসবে জামাতি
দলদুটোকে শেষ করা ভন্ডের কুমতি।
কুদ্দুছ পাগলা বলেছেনঃ
এইটাকে নিয়ে ব্লগ লেখার কি প্রয়োজন আমি খুজে পাচ্ছি না????? আসলে আমরা মানুষ গুলার কোন কাজ নাই তো।
কামরুল হসন sajjad বলেছেনঃ
অধ্যাপক আবু আব্দুল্লাহ সায়ীদ একজন ব্যাক্তি মাত্র নন, তিনি একটি প্রতিষ্ঠান তার ব্যাপারে ইনকিলাব যা লিখেছে তা সঠিক বলে মনে হচ্ছেনা। আর সুদুমাত্র ইনকিলাব এর সুত্র ধরে সংসদে শেখ ফজলুল করিম সেলিম সহ আরও দুজন সাংসদ যেভাবে অধ্যাপক সায়ীদ এর মত একজন সম্মানিত লোককে তুলাধুনা করেছেন তার প্রতিবাদের কোনও ভাষা নেই। সংসদ সদস্যদের প্রজ্ঞা, শিষ্টাচার নিয়ে আগেও অনেক প্রশ্ন উঠেছে।
বেদুইন বলেছেনঃ
অধ্যাপক আবু আব্দুল্লাহ সায়ীদের মত (মডারেটেড) টাইপের বুদ্ধিজীবিদের
জন্য দেশের অাজ এ অবস্থা
সালাহউদ্দিন বলেছেনঃ
গুণীর সম্মান তো দূরের কথা, গুনীজনকে এক-হাত দেথিয়ে দিতে পারলে যারা নিজেদের ধন্য মনে করেন, ……. তাদের নৈতিক দীনতা, মানসিক বৈকল্যই নিয়ে মন্তব্য করার ভাষা খুজেঁ পাই না/ মন্তব্য করতেও ইচ্ছে হয়া।
প্রবীর বিধান বলেছেনঃ
ভাই, আপনারা যে কেন বুঝতে পারছেন না এই আমলে সরকারের মানে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মুখ খোলা হারাম, তা স্পষ্ট করে নাম ধরেই বলুন আর আকার-ইঙ্গিতেই বলুন।
আবু সাঈদ স্যার, টিআইবি, সুজন, সিপিডি, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, মানবাধিকার কমিশন, এবং বিরোধী দল যে যাই বলছে সবার উপর খড়গ নেমে আসছে বা আসতে যাচ্ছে। এদের ফুটা খুজতে গলধঘর্ম হচ্ছেন সরকারি দলের ভলান্টিয়ারেরা।
এসব দিয়ে আওয়ামী লীগ হয়তো বুঝিয়ে দিতে চাচ্ছে কিছু একটা, যা গত আমলের বিএনপি’র দৌরাত্মকেও হার মানাচ্ছে।
সরকারি দলের কাউকে কোনরকম শাস্তি দেয়া বা কারো বিচার করার সাধ্য এই দেশে কোন পুলিশ, বিচারক, দুদক কিংবা নির্বাচন কমিশনের নেই। আগে যাও বা তত্বাবধায়কেরা এসে ৩মাসের মধ্যে ধুমধাম কয়েকটা মামলা করে দিত, এখন সে সুযোগও বন্ধ করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ (অযুহাত হিসেবে দেখানো হল ২বছর থাকা অবৈধ ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দীনের আমল)। পুনশ্চঃ হাসিনাকে নাকি বিষ খাইয়ে মারতে চেয়েছিল সেই অবৈধ সরকার, অথচ তাদের বিচার করার সাহস উনার নাই!
মিলন মিঞা বলেছেনঃ
অচিন পূরে ছিল যে এক রাজা
ছিল তাহার তিনশ ঘোড়া তাজা।
আরযে তাহার মহা রাজ দরবার
ঘোড়া সবি ছিল পারিষদ উহার।
রাজার জুড়ে তারা সারারাজ্য জুরে
চলত দাপটের সাথে উড়ে উড়ে।
রাজার ছিল পাচশ বিঘা জমি খাস
পাচশ গরু তাতে করতো চাষ বাস।
গরু গুলো ছিল দারুন নাদুস নূদুস
খাসের ঘাস খেয়ে যেন হচ্ছিল মোষ।
এইনা দেখে সকল ঘোড়ার দলে মিলে
লোভে হল এক সবাই দলাদলি ভুলে।
দাবী খাসের ঘাস তারা করে আবদার
ফলে হবে ভারসাম্য আর সমঅধিকার।
রাজা শুনে কন তবে ঢাকো দরবার
গরু ঘোড়া রবে সম পারিষদ তার।
shishir বলেছেনঃ
খুব খারাপ আলাপ , অধ্যাপক সায়ীদ এর মত একজন সম্মানিত লোককে সমলছানা করেছেন তার প্রতিবাদের কোনও ভাষা নেই। খুব খারাপ , খুব খারাপ ///মূর্খ দল *****
mukul বলেছেনঃ
অধ্যাপকদের এত বাড়ি গাড়ি কোথা থেকে আসে ……যুক্তি সঙ্গত প্রশ্ন ? …..আমি যদি বলি বর্তমান সব সংসদ সদসরা …..বলুক তাদের যেই কমদামি (!) গাড়ি তার উত্স কী ?তাদের কী বাবসা ?রাজনীতি বেবসা ছাড়া তাদের বহু জনের অন্য কোনও পরিচয় এলাকার লোকজনের জানত না ? উন্নত দেশে অধ্যাপকদের এ বাড়ি গাড়ি থাকে……………আমার দেশে এ উল্টা ……জাতি গড়ার কারিগর মানি ছিরা স্যান্ডেল আর বগল এ ছাতি…….Shame !!!!!….আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ স্যারকে,যারা জিজ্ঞাস করে, তারা নিজদের বাত্সরিক ইনকাম ট্যাক্স কত দেয় টা একটু প্রকাশ করুক তাদের নির্ভর যোগ্য(?)পত্রিকা Inquilab এ ………
মামুন ম. আজিজ বলেছেনঃ
খুবই কষ্ট হয়…এই দেশটার যে কি হবে…যোগ্যতমের সম্মান নেই যেখানে সেখানে ভবিষ্যত ভয়াবহ কুলষিত আধার বলেই কেনো যেন আজ আতঙ্কিত বারিধারা
সাহাদাত উদরাজী বলেছেনঃ
চোরের মার বড় গলা সব সময়েই। আবার প্রমান হল।
সোহাগ বলেছেনঃ
অধ্যাপক আবু আব্দুল্লাহ সায়ীদ জনাব আপনাকে ধন্যবাদ ……………………………
shumon বলেছেনঃ
বর্তমান জাতীয় সংসধে বেশীর ভাগ সাংসদদের শুধু শুধু চোর বললে বেছারা চোরদের অপমানিত করা হবে, কারন, চোর কোনদিন নিজের বাড়িতে চোরি করেনা। এ বেঠারা সারা দেশের সম্পদ লুন্ঠন করেও কান্ত হচ্ছেনা । স্যার কি বলেন, বলতে পারেন, অথবা বলেছেন সে কথা বুঝার মত জ্ঞ্যান যদি তাদের থাকত তা হলে কি দেশের আজ এই দুরবস্থা হত।
আসল কথা হচ্ছে, এরা হল সেই ক্যাটাগরির লোক, যাদের ব্যাপারে কবি খুব সুন্দর বলেছেন। “কি যে বুঝেনা তাও বুঝেনা”
সৌরভ মৃধা বলেছেনঃ
এ কোন পাগলা বাংলাদেশে বাস করছি, জানি উত্তর পাওয়া যাবে না ।এই ব্লোগ লিখে কি কোন কাজ হবে, উত্তর একটাই ‘না’ ।
সময় কথা বলে বলেছেনঃ
ইনকিলাব ১টি রাজকারের মুখপাত্র গত জোট সরকারের আমলে মাও:মান্নানের মৃত্যুর পর জমিয়েতুল মোদারেছিনের নেতৃত্ব নিয়ে জামায়াতের মাও:সাইদীর,সাথে দন্ধে জঢ়িয়ে পরে ত্রবং জামায়াতকে চারদলীয় জোট থেকে বের করার জন্য আপ্রাণ চেষ্ঠার পর ব্যর্থ হয়ে ১/১১ পর মুখোশ বদলিয়ে সাচ্চা আওয়ামী লীগার সেজে যায় । তা ত্ররা হলুদ সাংবাদিকতা করবে না তো করবে কারা?
পাগল মন বলেছেনঃ
আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ একজনই …….।
কিন্তু আমাদের জাতীয় সংসদ অনেক …………………………
জিশন ahmed বলেছেনঃ
তারা যে চর ডাকাত টা তাদের কথার মদদেই প্রকাশ পেল.এদেরকে জাতীয় স্টেডিউম e দর করিয়ে জুটপেটা করা উচিত.
হৃদয়ে বাংলাদেশ বলেছেনঃ
পাগল মনের বক্তব্যের সাথে একমত। ব্লগের শিরোনামটি “একজনই আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ এবং আমাদের অন্যতম জাতীয় সংসদ” হলে ভালো হতো। 🙂