দেশের প্রথম প্রজাপতি পার্ক ও গবেষণা কেন্দ্র

মো. খালেদুন
Published : 10 Dec 2015, 06:28 PM
Updated : 10 Dec 2015, 06:28 PM

প্রকৃতির অপরুপ অলঙ্কার প্রজাপতি। প্রজাপতির ডানার বাহারি রঙের ছটায় উদ্বেলিত হয় মানুষের মন। ফটন্ত ফুলে প্রজাপতির তিড়িংবিড়িং ছুটে চলা দেখেতে কার না ভাল লাগে। প্রজপতি শুধু সৌন্দর্যই ছাড়য় না। পরাগায়নের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষরণেও রাখে বেশ ভূমিকা। বাংলাদেশের প্রত্যেক অঞ্চলেই দেখো মেলে এই প্রাণীটির।

বাংলাদেশ বন বিভাগ ও আইউসিএন এর প্রতিবেদন অনুসারে সারাদেশে ৩০৪ প্রজাতির প্রজাপতি পাওয়া যায় যার মধ্যে ১০৪ প্রজাতির দেখা মেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে।

তবে নানাবিধ কারনে হুমকির মুখে রয়েছে প্রায় দেশের অর্ধেক প্রজাতির প্রজাপতি, জানালেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণীবদ্যিা বিভাগের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট প্রজাপতি গবেষক অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন।

হুমকির মুখে থাকা প্রজাপতিদের কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করার লক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে দেশের প্রথম প্রজাপতি পার্ক ও গবেষণা কেন্দ্র

এই প্রজাপতি পার্ক ও গবেষণা কেন্দ্রের স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ড.ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণাগারের পাশেই প্রায় ৩ একর জায়গাজুড়ে এই পার্কটির পরিসর। যার নান্দানিক নকশা নজর কাড়বে সবার।

অধ্যাপক মনোয়ার জানান, বাংলাদেশে এইটি প্রথম গবেষণা ভিত্তিক প্রজাপতি পার্ক ও গবেষণা কেন্দ্র। সবার ভালবাসা ও সহযোগিতার কারনেই আমার লালাতি স্বপ্ন বাস্তব রুপ লাভ করছে। বাংলাদেশের হুমকির মুখে থাকা প্রজাপতি সংরক্ষেণ এটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে। প্রজাপতি পার্ক নির্মাণ প্রায় শেষ পর্যায়ে জানিয়ে গবেষণা কেন্দ্রের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।

অধ্যাপক মনোয়ার আরও বলেন, পরবর্তীতে রয়েছে আরও বৃহৎ পরিকল্পনা। এখানে গড়ে তোলা হবে প্রজাপতি জাদুঘর।

১১ ডিসেম্বর, শুক্রবার 'উড়লে আকাশে প্রজাপতি প্রকৃতি পায় নতুন গতি' প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত হবে দিনব্যাপী প্রজাপতি মেলা। সেদিন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম উদ্বোধন করবেন এই প্রজাপতি পার্ক ও গবেষণা কেন্দ্রের। সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এই প্রজাপতি পার্ক ও গবেষণা কেন্দ্রের দ্বার। মেলার আহবায়ক হিসেবে রয়েছেন প্রজাপতি পার্ক ও গবেষণা কেন্দ্রের স্বপ্নদ্রষ্টা অধ্যাপক মনোয়ার নিজেই। প্রজাপতি গবেষণায় সফলতা, সংরক্ষণ ও প্রজাপতি মেলার আয়োজনের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি 'প্রজাপতি স্যার' হিসেবেও পরিচিত।