জাবির সরকার ও রাজনীতি বিভাগের পুনর্মিলনী শুক্রবার

মো. খালেদুন
Published : 6 Jan 2016, 07:09 PM
Updated : 6 Jan 2016, 07:09 PM

"ছড়িয়ে গিয়ে জড়িয়ে থাকি প্রীতিতে স্মৃতি অটুট রাখি" এই প্রতিপাদ্যে আগামী শুক্রবার, ৮ জানুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরাকার ও রাজনীতি বিভাগের ২য় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

সময় যত ঘনিয়ে আসছে সরকার ও রাজনীতি পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্যের উত্তেজনার পারদ যেন ততই বাড়ছে। যেন আর সইছেনা কবে আসবে সেই মহেন্দ্রক্ষণ, নবীন প্রবীনের মহামিলন।

আমরা বর্তমান শিক্ষার্থীরাও মুখিয়ে আছি সাবেকদের কাছে পেতে। পুরো ক্যাম্পাস ছেয়ে গেছে পুনর্মিলনীর ব্যানারে। বিভাগের বারান্দায় চলছে দিন-রাত সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞের মহড়া। শিক্ষক-সাবেক শিক্ষার্থীরে দম নেয়ার ফুসরত নেই। দিনটিকে আনন্দময় করে তুলতে উঠে পড়ে লেগেছে সবাই।

ফেসবুকে অ্যালমনাই অ্যাসোসিয়েশনের গ্রুপে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা মেতে উঠেছে কে কি করবে এ নিয়ে। কত শত স্ট্যাটাস। বিশেষ করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে থাকছে চমক। বিভাগের শিক্ষার্থীরা সেটা আগেই প্রমাণ করেছে।

এছাড়া বিভাগের নবম ব্যাচের তাহের খান ভাইয়ের তনয়া চিত্রনায়িকা অমৃতা খান নিয়ে আসছে নৃত্য। মুক্ত মঞ্চ মাতবে সায়ান ও কাউসার মাহমুদের ব্যান্ড দল "ব্লাড ও হিরোস"। আর সাবেকদের জমকালো পরিবেশনাতো থাকছেই।

ইতিমধ্যে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী নিবন্ধন সম্পন্ন করেছে বলে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানালেন পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও বিভাগটির সভাপতি শ্রদ্ধেয় বশির আহমেদ স্যার। এসময় সাবেক শিক্ষার্থী নিহার সান্যাল (১৪তম ব্যাচ-যুগ্ম আহ্বাক ২য় পুনর্মিলনী কমিটি), মো: আবদুর রহমান বাবুল (২০তম ব্যাচ), সহকারি অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান (২৭তম ব্যাচ), জাহিদুল ইসলাম রবি (৩২তম ব্যাচ), মুকসিমুল আহসান অপু (৩৩তম ব্যাচ) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বশির আহমেদ বলেন,  ১৯৭৬ সালে প্রয়াত শিক্ষক অধ্যাপক ড. আজিজুল হক স্যার এর হাত ধরে যাত্র শুরু হওয়া সরকার ও রাজনীতি বিভাগ আজ বিশাল পরিবার। আমারা তাই বলি "সরকার ও রাজনীতি পরিবার"। এখন পর্যন্ত বিভাগ থেকে ৩২টি ব্যাচ উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছে। আরও ৫টি ব্যাচ অধ্যায়নরত। এছাড়া বিপুল সংখ্যক এমফিল, পিএইচডি গবেষক গবেষণারত এবং অনেকেই সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।

আর কথা না বাড়াই। একটু চোখ বুলিয়ে নেয় যাক দিন ব্যাপী আয়োজনে কি কি থাকছে:

সকাল ০৭.০০টা: ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে বাস যাত্রা (রাজধানীর বিভিন্ন স্পট থেকে), ০৮.৩০মি: রিপোর্টিং (বিভাগে), ০৯:০০টা: উপহার সামগ্রী গ্রহণ (রেজিস্ট্রেশন বুথ), ০৯:৩০মি: জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা উত্তোলণ, উদ্বোধন (অমর একুশে), ১০:০০টা: আনন্দ র‌্যালী (ক্যাম্পাস), ১১.০০টা: রিফ্রেশমেন্ট, ১১:৩০মি: স্মৃতি চারণ (সেলি আল দীন মুক্তমঞ্চ), ১২:৩০মি: বাচ্চাদের খেলাধুলা ও প্রতিযোগিতা (কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ), ১২:৩০মি: বৃক্ষরোপণ ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী, ০১:০০টা: মধ্যাহ্নভোজের বিরতি, ০২:৩০মি: অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা (বিভাগে), বিকেল ০৩:৩০মি: বিনোদন (সাপের খেলা, মোরগের লড়াই, সাবেক-বর্তমান প্রীতি ম্যাচ ক্রিকেট/ফুটবল, বেলুন ফোটানো, চেয়ার সিটিং, হাড়ি ভাঙ্গা, টিপ পড়ানো) ক্যাফের ঢাল-কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ। ০৫:০০টা: পিঠা উৎসব ও চা পান (ক্যাফে কর্নার), সন্ধ্যা ০৫.৩০মি: সম্মাননা প্রদান ও সমাপনী অনুষ্ঠান (মুক্তমঞ্চ), ০৬.০০টা: বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা (মুক্তমঞ্চ), ০৮.০০টা: কনসার্ট (সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চ), রাত ০৯.০০টা: রাজধানীর উদ্দেশ্যে বাস যাত্রা (অমর একুশে পাদদেশ)।

যাওয়া আসার সুবিধার্থে রয়েছে স্পোশাল বাস সার্ভিস। এক পলক দেখে নিন কে কোথায় থেকে উঠবেন।

বাসরুট ও সময়সূচী:

সকালে রাজধানী ঢাকা থেকে (সকাল ০৭.৩০মিনিট)।

বাস রুট-১ শাহবাগ-> সায়েন্সল্যাব-> কলাবাগান-> আসাদ গেট-> শ্যামলী-> গাবতলী->ক্যাম্পাস (যোগাযোগ: রাজিবুল ৪১তম আবর্তন- ০১৭১৭৮৬১৩৩৩)

বাসরুট-২: শাহবাগ->ফার্মগেট->মহাখালী-> এয়ারপোর্ট-> আব্দুল্লাহপুর->আশুলিয়া->ক্যাম্পাস (যোগাযোগ: দেলোয়ার ৪২তম আবর্তন- ০১৭৭৩৩৭৬০৪)

দুপুরে (১২.৩০মিনিট) বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য স্পেশাল:

বাস রুট: শাহবাগ-> সায়েন্সল্যাব-> কলাবাগান-> আসাদ গেট-> শ্যামলী-> গাবতলী->ক্যাম্পাস