দিনের পর দিন, মাসের পর মাস চলে গেল, সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের কোন সুরাহা হলোনা! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রথমে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অপরাধীকে ধরে ফেলার ঘোষনা দিলেন (সম্ভবতঃ ঠিকই ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই অপরাধীদের সম্পর্কে তিনি তাঁর বিভিন্ন বাহিনীর মাধ্যমে জেনে ফেলে বুঝলেন যে তাদের ধরতে গেলে তিনি নিজেই বিপদে পড়বেন!) এবং পরবর্তীতে ফাইনালি বলে দিলেন যে “তাদের ধরা সহজ নয়, কিন্তু তিনি চেষ্টা করে যাবেন”! নানা বাহিনী এখনও এই ব্যাপারে তাদের অনুসন্ধান নাকি অব্যাহত রেখেছে!
অন্য দিকে সাংবাদিক, ব্লগার ও জনসাধারন কিন্তু সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের অপরাধী গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে অটল থেকে নানা রকম কর্মসূচী দিয়ে চলেছেন, যদিও সাংবাদিকরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চায়ের দাওয়াতের সৌজন্যে তাঁকে কিছুদিনের জন্যে সময় দিয়েছিলেন!
তো এর মধ্যে এত দিন পরে কিছুটা হঠাতই বিদেশের মাটিতে বসে এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান, গণমাধ্যমের প্রোডাক্ট বেচা টাকায় “টাকার কুমীর” বনে যাওয়া গণ যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্যস্বত্ব ভোগকারী “ফড়িয়া” জনাব মাহফুজুর রহমান সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে তারই প্রতিষ্ঠান এটিএন এর নিহত কর্মকর্তা রুনি সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ চরিত্রহনন মূলক বয়ান দিয়েছেন! আর সেই বয়ানে সঙ্গতঃ কারনেই ফুঁসে উঠেছে সারাদেশের সাংবাদিক, ব্লগার সহ সচেতন নাগরিক সমাজ!
জনাব মাহফুজুর রহমান সাহেবের এই বয়ানের শানে-নযূলটা ঠিক মাথায় ঢোকাতে পারছি না! তিনি কেন আর কি ভাবে এটা বললেন? তিনি কি এর ফলাফল ভাবেননি? নাকি এই হত্যাকাণ্ডের “শেষ সমাধানের” শুরু করতে গিয়েছিলেন? এটা কি একটা “অ্যাসিড টেস্ট” ছিল?
ধাঁধা লাগছে এই ভেবে যে জনাব মাহফুজুর রহমান নিজেই এটা বললেন, না কেউ তা বলালো তাঁকে দিয়ে অন্য কোন গুহ্য উদ্যেশ্যে?
মোহাম্মদ নূরুল হক বলেছেনঃ
মাহফুজুর রহমান একজন ভীমরতিতে আক্রান্ত মানুষ। তার কথার এত গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নাই। কারণ ওই লোক নিজের আত্মপরিচয় সংকটে ভোগে সারাক্ষণ। ব্যাপারটা খোলাসা করেই বলি__মাহফুজুর রহমানের প্রধান পরিচয় মিডিয়াব্যক্তিত্ব। কিন্তু তার কদিন পর মনে হলো, এই পরিচয়ের মানুষকে মানুষ যতটা ভয় করে ততটা ভালোবাসে না। ভালোবাসে শিল্পীকে। ফলে তিনি একদা প্রতীজ্ঞা করলেন, শিল্পীই হবেন। যে-ই ভাবনা সেই কাজ। তিনি একদা তার অনুগতদের দিয়ে নিজের গাওয়া গান চিত্রায়িত করলেন। গানের ভিডিওচিত্র এটিন-এ প্রচারও করলেন। হায়রে মানুষের আশা! বেরসিক মানুষরা তার শিল্পরুচির মূল্য দিল না। টেলিভিশন চ্যানেল প্রতিষ্ঠা করলেন তিনি, কিন্তু তার চেয়ে সাগর-রুনিদের জনপ্রিয়তা বেশি। কী করে জনপ্রিয় হওয়া যায়?
তাই…..
রাসেল বলেছেনঃ
চিন্তার বিষয়।
জিয়াউদ্দিন হাওলাদার বলেছেনঃ
ভাই ,
দয়াকরে মাহফুজুর রহমানের অতীত ইতিহাসটা একটু জেনে নিন…….
তাহলে আপনি আর আশাহত হবেন না । উনারা এমনই…….. এই ই আমাদের মিডিয়া মহাজনদের চরিত্র । অবাক লাগে এই ভেবে যে…..
মুন্নী সাহার মত….. বজ্রকন্ঠ(আসলে কি সত্যি ?) সাংবাদিক আজ পেশার ভয়ে বলছেন….. আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবোনা । তাহলে পেশার স্বার্থে উনিও আপস করেন….? উনি এ পর্যন্ত যত কাজ করেছেন …. তাতে কি আপস আপস গন্ধ-খেলা ছিল……. ধন্য মুন্নী সাহা……
মোত্তালিব দরবারী বলেছেনঃ
ঘটানা যেভাবেই ঘটুক কামে লাগছে।
আলোর সন্ধানে বলেছেনঃ
কোথায় যেন শুনেছিলাম মাতাল অবস্থায় নাকি সব সত্য বেড়িয়ে আসে আপনা আপনি। যদিও বাস্তবে এর আগে দেখা হয়নি। মাহফুজুর রহমান আমার সেই আশাও পুরন করে দিলেন। মাতাল না হলে কেউ এতটা নিচে নামতে পারে বলে আমার মনে হয় না। তাই তাকে মাতালই বলা চলে।
নুরুন্নাহার শিরীন বলেছেনঃ
ভাই, মোত্তালিব দরবারী ভাই-এর কথাটি ঠিক, “ঘটনা যেভাবেই ঘটুক কামে লাগছে।” এবঙ কামে লাগাই জরুরী বিষয়। 🙂
ইদুল বলেছেনঃ
মুন্নী সাহার মত….. বজ্রকন্ঠ(আসলে কি সত্যি ?) সাংবাদিক আজ পেশার ভয়ে বলছেন….. আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবোনা । তাহলে পেশার স্বার্থে উনিও আপস করেন….? উনি এ পর্যন্ত যত কাজ করেছেন …. তাতে কি আপস আপস গন্ধ-খেলা ছিল……. ধন্য মুন্নী সাহা……
এটা মুন্নি সাহা না পৃথিবীর সব সাহাই- নিজের অাদরশের বাইরে সবাই বজ্রকণ্ঠ, অার নিজের অাদরশের মধে সবাই, অামি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবোনা, এবং কি লখকত্ত এবং অামি নিজেত্ত।