‘K’ Fund রহস্য! আমরা কি ধরে নেব অভিযোগ সত্য!

মুক্তকন্ঠ
Published : 31 March 2012, 04:03 PM
Updated : 31 March 2012, 04:03 PM

সারাদেশে হৈচৈ বাঁধানো বহুল আলোচিত বা সমালোচিত আইএসআই – খালেদা জিয়ার অর্থ কেলেংকারির বিষয়টা নিয়ে কাগজে কিংবা ব্লগে কলম যুদ্ধের সাময়িক একটা বিরতি লক্ষ্য করা গেলেও সবার মধ্যেই সন্দেহের একটা রেশ যে এখনো রয়েই গেছে সেটা সহজেই অনুমেয়। কারণ,এখনো যেহেতু অভিযোগটি প্রমাণ করা কিংবা ভুল প্রমাণ করা যায়নি। যেখানে অভিযুক্তের একটা পক্ষ হল পাকিস্তান সরকারেরই অংশ সেখানে এই ধরনের অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণ করাটা খুব সহজ নয় বলেই ধারনা করা যায়। তাছাড়া সন্দেহাতীত ভাবে ভুল প্রমাণ করতে না পড়ার কারণে "বেনিফিট অফ ডাউট" এখনো অভিযুক্তের বিপক্ষেই রয়ে গেছে। সাময়িক নিরবতা ভেঙে বিষয়টিকে আজ আবার একটু সরব করে তুললো মশিউল আলমের লেখা প্রথম আলোর এই প্রতিবেদন।

"… ব্যাংকার ইউনুস হাবিব বলেছেন, তিনি নিজের হাতে ৩৫ লাখ রুপি দিয়েছেন নওয়াজ শরিফকে আর ২৫ লাখ রুপি দিয়েছেন তাঁর ভাই শাহবাজ শরিফকে। নওয়াজ শরিফসহ জীবিত সবাই টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। নওয়াজ শরিফ বলেছেন, তিনি ইউনুস হাবিবের বিরুদ্ধে মামলা করবেন। দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল বেনজির ভুট্টোকে লেখা আসাদ দুররানি স্বীকারোক্তিমূলক পত্রের বরাত দিয়ে লিখেছে, অবশিষ্ট আট কোটি রুপি (৮০ মিলিয়ন) রাখা হয়েছিল আইএসআইয়ের 'কে' ফান্ডে ('K' Fund), অথবা 'স্পেশাল অপারেশনের' জন্য দেওয়া হয়েছিল এক্সটারনাল ইন্টেলিজেন্সের ডিরেক্টরকে। দৈনিক ডন আসগর খানের আইনজীবী সালমান আকরাম রাজার আদালতে দেওয়া বক্তব্যের বরাত দিয়ে লিখেছে, ছয় কোটি (৬০ মিলিয়ন) রুপি দেওয়া হয়েছে 'কে' ফান্ডকে; আর দুই কোটি (২০ মিলিয়ন) রুপি দেওয়া হয়েছে আইএসআইয়ের ডিরেক্টরেট অব এক্সটারনাল অপারেশনসকে।
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে আসগর খান মামলার আজকের শুনানিতে আর কোনো নতুন উল্লেখযোগ্য তথ্য বেরিয়ে আসেনি। পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১৪ এপ্রিল; তখন কোনো নতুন তথ্য বেরিয়ে আসে কি না, বা আদালত আইএসআইয়ের এক্সটারনাল অপারেশনস-এ অর্থ খরচ, বা 'কে' ফান্ড সম্পর্কে কিছু জানতে চান কি না, তাও কৌতূহলের বিষয়"

সকল রহস্য এখন এই 'K' Fund

ফান্ডটির শিরোনাম ও ফান্ডে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ, অভিযুক্তের নামের আদ্যাক্ষর ও অভিযুক্ত অর্থের পরিমাণের সাথে নাটকীয় ভাবে মিলে যাওয়াতে অভিযোগটা অমূলক নয় বলেই ধরে নিবেন দেশের অধিকাংশ সচেতন মানুষ। আর আমাদের এই সন্দেহটা দূর করার দায়িত্ব স্বাভাবিক ভাবে অভিযুক্তের উপরই বর্তায় অভিযোগ কারীর উপর নয়।

***
সুত্র: প্রথম আলো (অনলাইন), শনিবার, ৩১ মার্চ ২০১২, ১৭ চৈত্র ১৪১৮