
গাজীপুর সদর উপজেলার গাছা উনিয়নের শরীফপুর গ্রামে এক ভাড়াটিয়া আত্মহত্যার সংবাদ শুনে আমি সেখানে যাই এবং নিজ চোখে দেখি মৃতদেহ ঝুলে আছে। প্রথমেই দেখি তার পা মাটির সাথে লেগে আছে। তৎক্ষণাৎতই মনে হয় খুন ও হতে পারে সাথে সাথে কিছু ছবি তুলে নেই। ছবি গুলো খেয়াল করলে আপনারাও বুজতে পারবেন ঘরে কোন খাট ছিল না, মৃতদেহের পাসে কোন চেয়ার বা টুল ছিল না, সবচেয়ে কাছে বিছানা তার চাদর ও গছানো ছিল, দড়িটাও বেশী মোটা ছিলোনা, খানিক দূরে টেবিল ছিল আর তাতে ছিল দুই দুইটা ইস্টিলের গ্লাস ঐ গুলাও তার ঠিক যায়গাতে ছিল। এক কথায় শুধু বালিশ ছাড়া পুরো ঘরটাই ছিল গোছানো।
আমার সন্দেহ হতে শুরু করে আমি ঘটনা বিস্তারিত জানতে বিভিন্ন জনকে জিজ্ঞাসা করি তাতে তেমন কিছু বের হয়ে আসে নাই। যতোটুকো জানতে পেরেছি তা আপনাদের সামনে তুলে ধরছি ছেলেটা গার্মেন্সে কাজ করত। সে তার এস্ত্রী এবং সন্তান নিয়ে শরীফ নামের এক বেক্তির বাসায় ভাড়া থাকত গতমাসের ভাড়া না দিতে পারায় ঐ বাসার ম্যানেজার মৃত ব্যাক্তির ইস্ত্রী এবং সন্তানকে ঘরের বাহিরে বের করে তাকে তালা বদ্ধ করে রাখে। সারাদিন গেলে রাত ৮ টা ১৫ মিনিটের দিকে ম্যানেজার তালা খুলে দেখে লাশ ঝুলতেছে।
তার ইস্ত্রী লাশ দেখে কান্নাকাটি শুরু করলে ম্যানেজার বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। রাস্তার পাসে বাড়ি থাকায় অনেকেই ম্যানেজারকে দৌড়িয়ে যেতে দেখেছে অনেকে জিজ্ঞাসা করলেও সে উত্তর না করে দৌড়ে চলে যায় কিন্তু সে কোথায় গেছে তা জানা সম্ভব হয়নি। অনেকে বলেছে হয়ত পালিয়ে গেছে!
সকলে বলছে সে নাকি ভাড়া না দিতেপেরে লজ্জায় আত্মহত্যা করেছে। পুলিশকে খবর দেয়া হয়েছে এখনো আসেনি এসে তারা নিয়ে যাবে ময়না তদন্ত করবে। এ গরীবকে যদি খুন করা হয়ে থাকে এর সঠিক তদন্ত হবে কি? কে জানে? যে দেশে সাংবাদিক দম্পতি সাগর রুনি হত্যার বিচার হয় না সে দেশে এ সাধারণ গার্মেন্স স্রমিকের সঠিক তদন্ত এবং বিচারের আসা কিভাবে করি।
এলডোরাডো বলেছেনঃ
@ লেখক, বীভৎস এই ছবিটি আপলোড না করলেও পারতেন।
আমি বিশেষজ্ঞ নই তারপর ও আমার সাধারণ মতামত দিচ্ছি।
ছবিটা দেখে মনে হতে পারে পা মাটিতে লাগানো মৃত লোকটি কিভাবে আত্মহত্যা করতে পারে? আত্মহত্যার জন্য চেয়ার টেবিল থেকে লাফিয়ে পরতে হবে এমন কথা ঠিক নয়। মাটিতে পা লাগিয়ে রেখে, উপর থেকে ঝুলন্ত কোন রশিতে নিজের গলা পেচিয়ে আপনি যদি হ্যাচকা টান দেন, আর তাতে যদি আপনার স্পাইনাল কর্ড ভেংগে যায়, তাহলে আপনি মারা যাবেন। মৃত লোকটির ঝুলন্ত ছবি দেখে আমার তাই মনে হচ্ছে। খুন হলে, খুনী অবশ্যই এটাকে আত্মহত্যা হিসেবে সাজানোর জন্য পাশে টেবিল-চেয়ার রেখে দিত (যেটা আপনি বলছেন)। অন্য কোথাও কিংবা ঘরের মেঝেতে খুন করে তারপর লাশ ঝুলিয়ে দিতে চাইলেও খুনিকে কিছু একটা বেয়ে বা ধরে উপরে উঠে কোন হুক বা আংটার সাথে দড়িটি ঝুলাতে হবে। এখেত্রেও সেটা নেই। তাহলে লোকটি নিজে কিভাবে দড়ি সিলিং এ বাধলো? আপনার মত আমারও এ ধাধা থেকেই গেল।
পোষ্ট মর্টেম রিপোর্ট মোটামুটি বলতে পারবে এটা খুন নাকি আত্মহত্যা। আপডেট জানাবেন।