কেন এক মুক্তিযোদ্ধা ৪১ বছর পরেও শিক্ষক হিসেবে বোকাই রয়ে গেলেন?

কাইয়ুম খান
Published : 21 May 2012, 06:33 PM
Updated : 21 May 2012, 06:33 PM

তাঁরা শেয়ারবাজার লুট করেননি, মানুষের টাকা মেরে দেননি, কাউকে গুম করেননি, কারও স্বপ্ন খুন করেননি। তাঁরা বিএনপি না, তাঁরা জামায়াতও না। তাঁদের হাতে ককটেল নেই, লগি-বৈঠা নেই, বাহুতে ঢিল মারার শক্তিও নেই। তাঁরা আগুন দিতে যাননি, গালি দিতে যাননি, এমনকি স্লোগান দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের শান্তিও নষ্ট করতে যাননি। তাঁরা শুধু তাঁদের অভাব-অভিযোগের ক…থা লেখা একটি কাগজ প্রধানমন্ত্রীর অফিসে পৌঁছে দিতে চেয়েছিলেন।

পুলিশ তাতেই দানব হয়ে ওঠে। ১৫ মে ২০১২ তারিখে পুলিশের মার খেয়ে আহত হয়েছেন কয়েকজন এবং এই গরমে তাঁদের ওপর ঢালা হয় গরম পানি । অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেক শিক্ষক ।পুলিশি নির্যাতনে আহত জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার আজিজার রহমান নামের একজন শ্রদ্ধেয় প্রধান শিক্ষক হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে মারা গেছেন। এই শিক্ষক একজন (কি বলব গর্বিত!!!! হাহ হাহ হা) মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ৪১ বছর আগে দেশকে স্বাধীন করার জন্য তিনি যুদ্ধ করেছেন। ৪১ বছর পর তাঁরই গড়া স্বাধীন দেশের পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন তিনি। এই দুঃসহ গ্লানি বহন করা হয়তো সম্ভব ছিল না তাঁর! তাই তিনি চলে গেছেন অন্য এক ভুবনে।

নিশ্চয়ই তাঁর এভাবে মরে যাওয়া উচিত হয়নি, ভুখা! নাঙা! শিক্ষকদের সঙ্গে থাকাও উচিৎ হয়নি। তাঁর থাকা উচিৎ ছিল সমুদ্রজয়ের সমাবেশে কিংবা হরতালবিরোধী মিছিলে! তাই তাঁর মৃত্যুতে কোনো মন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করেননি, বুদ্ধিজীবীরা বিবৃতি দেননি, কেউ আদালতে রুল চাইতে যাননি! তাইতো মনে হচ্ছে এক মুক্তিযোদ্ধা ৪১ বছর পরেও শিক্ষক হিসেবে বোকাই রয়ে গেলেন?

আগেও আমি এ বিষয়টা নিয়ে "ব্লগার মানবতাবাদীরাও সব নীরব!!! এই শিক্ষকদের পক্ষে তেমন কাউকে কথা বলতে দেখলাম না" একটা পোস্ট লিখছিলাম তাতে তেমন সাড়া পাইনি।