রবি ঠাকুরের সামানয় ক্ষতি কবিতায় এক কাল্পনিক রানির নিষ্ঠুরতায় ছোটবেলায় দুঃখ পেয়েছি। গরীব মানুষের দুঃখে সমবয়থিত হয়েছি। তারপরে মনকে দিয়েছি সান্তনা। বুঝেছি এতো শুধু কবিতা। কিন্তু সৌদি বাদশাহ এবার প্রতয়ক্ষ ভাবে সেই নিষ্ঠুরতার প্রমাণ দিলেন।। নিজে যাওয়ার জন্নে রাস্তা পরিষ্কার করতে যেয়ে প্রাণ নিলেন হাজার হাজির।প্রতিবছর বাংলাদেশে গত ষাট বছর ধরে তাবলীগ জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। কোন জাঁকজমক নেই, আধুনিকতা নেই, নেই উন্নত দেশগুলোর মতো নেই থাকা খাওয়ার সুযোগ সুবিধা। প্রচণ্ড শীতের মাঝে রাত কাটে চটের বস্তার আচ্ছাদনের নীচে। অথচ আজ পর্যন্ত এই তাবলীগ জামাতে দুর্ঘটনায় প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে নাই। গত কয়েক বছর ধরে সৌদি আরবে প্রায় জীবন হানি ঘটছে হাজিদের। এই মিনাতেই কয়েকবার প্রাণ হারিয়েছেন কয়েক হাজার হাজি। এবারো মৃতের সংখা হাজার ছাড়িয়েছে। কোন কোন সংবাদ সংস্থার মতে এই মৃতের সংখা দুই হাজার ছাড়িয়ে যাবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে কিন্তু নিন্দা বা সমালোচনা নেই। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে হাজি সাহেবদের এই মৃত্যু দেশ এবং বিশ্বে এক শোক আনা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। আমাদের দেশের রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় দেশে বিদেশে যত সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছিল এবং। যদি তাবলিগ জামাতে এরকম কোন প্রানহানির ঘটনা ঘটতো আমার মনে হয় সারা পৃথিবী তীব্র নিন্দায় বাংলাদেশ এবং সরকারের চৌদ্দ গোষ্ঠি উদ্ধার করতে ছাড়তো। আমরা এই হতাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করছি। হাজার হাজার হাজির প্রাণহানির বিচার দাবি করছি।
মৃত হাজিদের যেভাবে সরানো হচ্ছে তাও একজন হাজির জন্ন অসন্মানজনক। মৃত মানুষের এমন অসন্মান পৃথিবী কখনো কোনদিন দেখেনি। আমরা রানা প্লাজা দূর্ঘটনায় যারা মারা গিয়েছিলেন তাদের অনেক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্বেও যথাযথ সন্মান করা হয়েছে। রানা প্লাজা দূর্ঘটনায় আমরা লজ্জিত কিনতু সৌদি দুর্ঘটনায় সেই লাজলজ্জার কোন বালাই দেখছি না।