দেশনেত্রীর উপলব্ধি!

কাজী রাশেদ
Published : 24 Feb 2016, 03:44 PM
Updated : 24 Feb 2016, 03:44 PM

'দেশ আজ গোরস্থানের উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে'। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে নেত্রী এবং বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দলের চেয়ারম্যান সেইসাথে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গতকাল সংবাদ মাধুমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই কথাটী বলেছেন। খুবই সময়োপযোগী এবং বাস্তব কথা বলেছেন দেশনেত্রী। দেশ সত্যি আজ গোরস্থানের উপর অবস্থান করছে।

এই গোরস্থানী করণ কিন্তু শুরু হয়েছে তার নিজের আমল থেকেই। ৭৫ এর পর হতে এদেশে স্বাধীনতা বিরোধী এবং ধর্মের নামে যারা রাজনীতি এবং অপরাজনীতি শুরু করেছে তারা সবাই আপনার স্বামী জিয়াউর রহমান সাহেবের আনুকূল্যে, স্বৈরাচারী এরশাদের সহযোগিতায় এবং আপনার ক্ষমতায় যাওয়ার আপোষহীন সংগ্রামে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনকে একপাশে সরিয়ে রেখে এক মেজরের হুইসেলে মুক্তিযুদ্ধের যে সুচনা গীতি আপনারা শুরু করেছিলেন তা আজ থেমেছে ত্রিশ লাখ শহীদের সংখ্যা তত্বে। বিদেশী পাসপোর্টে গোলাম আজমের বাংলাদেশে প্রবেশের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া থেমেছিলো রাজাকার শিরোমনিদের মন্ত্রী করানোর মধ্য দিয়ে।

স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে দিনে দিনে কোণঠাশা করে দিয়ে যে যাত্রা শুরু করেছিলো আপনার মুক্তিযোদ্ধা স্বামী তা আপনি শেষ করেছিলেন বাংলা ভাই আর তেছট্টি শহরে একসাথে বোমা বিস্ফোরন ঘটিয়ে। তারপরের কাহিনী আমরা সবাই জানি। ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে এদেশের মানুষকে পুড়িয়ে মারার রাজনীতি বা ধ্বংসাত্মক আগুনে রাজনীতি তো সেদিনের কথা। হেফাজতের সমাবেশকে পুঁজি করে ধর্মান্ধ গোষ্ঠির হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে আপনার একটুকুও দ্বিধা ছিলো না সেদিন।

আজ বাংলাদেশ গোরস্থানের উপর দিয়ে হাটছে একবারে ঠিক কথা। এবং এই গোরস্থান বানানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে আপনার দল এবং আপনাদের ক্ষমতার মোহ।

বাংলাদেশকে আপনারা দুই দল নিজেদের পারিবারিক সম্পত্তি মনে করেই দেশকে আজ গোরস্থান বানিয়ে ছেড়েছেন। একদল আরেকদলকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার যে প্রাণঘাতি রাজনীতি শুরু হয়েছে তাতে করে বাংলাদেশের মানুষের পাকিস্তানের মতো গোরস্থান বাসী হওয়া ছাড়া অন্যকোন পথ বাকী নেই।

ক্ষমতায় যাওয়া এবং থাকার জন্যে আপনাদের আপোষহীন সংগ্রামে প্রাণ যাচ্ছে নিরীহ মানুষের, মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, গির্জার ফাদার, স্বেচ্ছাসেবী থেকে শুরু করে নিরীহ পথচারীর। রেহাই পাচ্ছেন না কলেজের অধ্যক্ষ, টোলের পুরোহিত বা সাধারন ডিউটিরত পুলিশ।