বাসা থেকে বের হয়েছিলেন আদরের সন্তানকে স্কুল থেকে নিয়ে আসবেন। কিন্তু ভাবেননি সন্তান কে বাসায় নিতে পারবেন না। অভিজিত, নীলয়, দীপন বা বাবুর মতো তাকেও যে খুন হতে হবে তা তিনি কেনো, গোটা পুলিশ বাহিনীও চিন্তা করতে পারেনি। কিন্তু সকল চিন্তাকে নস্যাত করে দিয়ে চট্রগ্রামের দিনের বেলায় সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয়ে হয়েছে এস পি বাবুল আক্তারের সহধর্মিণীকে। খুন হয়েছেন একই কায়দায়, যেমন হয়েছিলেন অভিজিত, নীলয়, বাবু, দীপনসহ আরো অসংখ্য নিরাপরাধ মুক্তমনা মানুষ। সরি বাবুল আক্তার, সরি।
বাবুল আক্তার আপনাকে কিভাবে সান্ত্বনা দিবো জানা নেই। কী বলবো? আল্লার মাল আল্লাহ নিয়ে গেছে, নাকি আমরা ঘরে ঘরে পাহারা দিতে পারবো না নাকি বলবো কি করবেন আপনার সহধর্মিণী মনে হয় ব্লগার অথবা নাস্তিক ছিলো তাই খুন হয়েছেন। আমরা অভিজিতের বাবাকে কিছু বলতে পারি নি, কাশেম স্যার কে সান্ত্বনা দেবার ভাষা আমাদের সাহস হয় নি, বাবুর খুনীদের একজন ধরা পড়লেও কিছুই জানা যায় নাই কি হলো সেই খুনীর।
সে ক্ষেত্রে আপনার ব্যাপারে আমাদের মহোদয়রা কি বাণী শোনাবেন জানি না। আপনার স্ত্রীর খুনীরা ধরা পড়ুক খুব চাই। খুব।
আপনি একটি জেলার পুলিশ সুপার হবার পরেও যখন প্রকাশ্য দিবালোকে আপনার সহধর্মিণী কে খুন হয়ে হতে হয়েছে তখন আমি বা আমাদের মতো আমজনতার জীবনের যে কোনই গ্যারান্টি নেই সেটা আমরা আরো একবার প্রমাণ পেলাম। এখন আপনার মহোদয়রা বুঝতে পারবেন কি, কি ভয়াবহতার দিকে দেশ এবং জাতি ধাবিত হচ্ছে?
বিচারহীনতার সংস্কৃতি যে এবার আপনাদের পরিবারের উপর হানা দিয়েছে। রাতের পর রাত অভিজিত, দীপন, বাবুদের বাবা মা, স্ত্রী পরিজন, আত্মীয় অনাত্মীয়্রা কি দুঃসহ যন্ত্রনা ভোগ করছেন তা বোধহয় এবার কিছুটা হলেও অনুধাবন করতে পারবেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় সেদিন বলেছেন সব হত্যাকারীদের আমরা অচিরেই ধরে ফেলবেন। তাদের গতিবিধি সব আয়ত্তে এসে গেছে। কিন্তু সেই বিবৃতকেই যেনো চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বাবুল আক্তারের সহধর্মিণী কে খুন করা হলো। কথামালা না সাজিয়ে আজ সময় এসেছে এদের বিরুদ্ধে কঠোর হবার। আরো বড়ো কোন হত্যাকান্ডের আগেই এদের শিকড় ধ্বংসের অভিযান শুরু করুন। সেই গল্পের কথা মনে রাখুন, হিন্দু, খৃষ্টান আর মুসলিম নিধনের। শেষ পর্যন্ত কাউকেই ছাড়বে না এই অন্ধ শক্তি।