দিবাস্বপ্ন – এক অমূল্য শৈল্পিক সক্ষমতা

কাজী শহীদ শওকত
Published : 11 Oct 2014, 06:47 PM
Updated : 11 Oct 2014, 06:47 PM

ঘুমের ভেতর আমরা যেসব স্বপ্ন দেখি সেগুলোর উপর আমাদের কোন নিয়ন্ত্রণ থাকেনা, মানে আমরা ইচ্ছে করলেই নির্দিষ্ট কোন স্বপ্নকে ঘুমের মাঝে দেখতে পারিনা। ঘুমের ভেতর দেখা স্বপ্ন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ঘটনাবলীর একটি বিশেষায়িত/সংশ্লেষিত উপজাত—এমনটিই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এসব স্বপ্নের আবির্ভাবের কোন সুনির্দিষ্ট সূত্র নেই। আর এগুলো আমরা দেখি ঘুমের গভীরতম স্তরে গিয়ে, যাকে নিন্দ্রা-বিশেষজ্ঞরা REM (Rapid Eye Movement) স্তর নামে অভিহিত করেছেন।

আপনার পাশে যে লোকটি ঘুমাচ্ছে তার চোখের পাতা যদি কিছুক্ষণের জন্য ঈষৎ নড়তে দেখেন, তবে বুঝবেন তিনি স্বপ্ন দেখছেন। তবে দিবাস্বপ্নের ব্যাপারটি একেবারেই ভিন্ন। প্রথমত, এটি একটি সচেতন চিন্তন-প্রক্রিয়া, যা আমাদের ইচ্ছে দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আর এটির সূত্রপাত এবং ব্যাপ্তিকেও আমারাই নির্ধারণ করতে পারি; অবশ্য দিবাস্বপ্নের ব্যাপ্তির স্বাধীনতা প্রায়শঃ ক্ষুন্ন হয় যখন পরিবেশ প্রতিকূল হয়ে দাঁড়ায়। তবে দিবাস্বপ্ন দিনের বেলাতেই দেখতে হবে, এমন নয়। জাগ্রত অবস্থায় কল্পনাতে জীবন-কেন্দ্রিক যতো দৃশ্য রচিত হয়—তার সব-ই দিবাস্বপ্ন, ইংরেজিতে যাকে মাইন্ড-ওয়ান্ডারিং, ডে-ড্রিমিং বা ফ্যান্টাসি বলা হয়।   দিবাস্বপ্ন দেখেননি এমন মানুষ নেই। এই মূহুর্তেও হয়তো আপনার দেখা কিছু ফ্যান্টাসির কথা মনে পড়ছে। যেমন ছোটবেলায় স্কুলের কোনো ক্লাসে মনোযোগ বিচ্যুত হয়ে জানালার দিকে তাকিয়ে আইসক্রিম খাওয়ার কথা বা খেলতে যাওয়ার কথা ভাবতে গিয়ে হঠাৎ শিক্ষকের ধমকে স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার মতো কোনো ঘটনা কমবেশি সবারই আছে। কিংবা ধরুন, অফিসে কাজ করতে করতে হঠাৎ আপনার পরবর্তী হলিডে নিয়ে স্বপ্ন সাজাতে শুরু করলেন। অথবা কোন পরিক্ষা দিচ্ছেন, যখন প্রশ্নের উত্তর চিন্তা করার ফাঁকে খোলা দরজা বা জানালা দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে দুটো পাখিকে উড়তে দেখে আপনার মনে হলো, "আহা, যদি পাখি হতে পারতাম, তাহলে এইসব পরিক্ষার ঝামেলা পোহাতে হতোনা। সারাক্ষন শুধু উড়াউড়ি।" আপনার স্বপ্নে পাখির ইচ্ছেগুলো রচিত হতে থাকে; আর তখন অবস্থিতির বাস্তবতা অপসৃত হয়ে একটা স্বাপ্নিক দৃশ্যের মাঝে আনন্দময় এক কর্মব্যস্ততায় সমর্পিত হতে আপনার ভালোলাগে। কিন্তু পরিক্ষা দিতে হবে—এই ভেবে স্বপ্নের দৃশ্য থেকে আবার প্রশ্নপত্র/উত্তরপত্রে ফিরে আসতে হয়। এটাকে আমরা মনোযোগ বিচ্যুতি বা অন্যমনষ্কতা (এ্যবসেন্ট মাইন্ডেডনেস) বলে জানি। এই ধরণের এ্যবসেন্ট অবস্থায় আপনি আসলে স্বপ্নের চলিষ্ণুতায় প্রেজেন্ট থাকেন।

বাহ্যিকভাবে যে দৃশ্যে আপনার ব্যস্ত উপস্থিতি (ধরা যাক, আপনার কর্মস্থলে), তা থেকে বিরতি নিয়ে আপনি চলে যান ভিন্ন আরেক দৃশ্যের জগতে, ভিন্ন ব্যস্ততায়। তবে দুঃখজনক ব্যাপার হলো, দিবাস্বপ্নকে সামাজিকভাবে একটি অনুৎপাদনশীল এবং সময় অপচয়কারী কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, এবং সব সমাজেই এটিকে ভীষণভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়। কেউ দিবাস্বপ্ন দেখে, তার মানেই হলো সে একজন কর্ম-বিমুখ, অলস প্রকৃতির একটা মানুষ, যে 'ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখে'—এরকম একটি দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের সমাজে খুব স্বাভাবিক হিসেবে প্রচলিত, যদিও এটি অস্বাভাবিক, অবৈজ্ঞানিক এবং বলতে গেলে এক ধরণের অবিচার। অবশ্য এরকম দৃষ্টিভঙ্গির কারণগুলোও সহজেই অনুমেয়। যেমন, দিবাস্বপ্ন দেখার সময় স্বপ্নদ্রষ্টা সাধারণত দৃশ্যতঃ কোন কাজ করেননা, সে অর্থে তিনি কর্ম-বিমূখ। আর স্বাপ্নিক এই বিচরণের তাৎক্ষণিক কোন উৎপাদনও চোখে পড়েনা; সুতরাং এটি অনুৎপাদনশীল।

সামাজিক এই নেতিবাচক ট্যাগিং-এর শিকার হয়ে একজন দিবাস্বপ্ন দেখা ব্যক্তি ধীরে ধীরে বিষাদ-গ্রস্থ হয়ে পড়েন। একইভাবে দিবাস্বপ্নের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গীকে নিজের উপর আরোপ করে তিনি নিজেকে অপরাধী ভাবতে শুরু করেন। কিন্তু বহু গবেষণায় প্রমাণিত যে সত্য তা হলো, দিবাস্বপ্ন একটি অত্যন্ত উঁচুমানের শৈল্পিক দক্ষতা এবং এর সঠিক চর্চা ও ব্যবহার ব্যক্তির ক্যারিয়ারে সাফল্যের নিয়ামক হয়ে কাজ করতে পারে।   এ কথা সত্য যে গবেষকদের মধ্যেও দিবাস্বপ্ন উপকারী না অপকারী—এ নিয়ে সামান্য মতভেদ আছে। তবে যারা এটিকে অপকারি হিসেবে দেখিয়েছেন তাদের যুক্তির অসাড়তাও প্রমাণিত হয়েছে অন্যদের দ্বারা। যেমন, সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলাইনা এ্যট গ্রিনস্‌বোরো'র মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক মাইক্যাল জে ক্যেইন সক্রিয় স্মৃতি এবং মনোযোগ নিয়ন্ত্রণ-এর মাত্রা নির্ধারণ সংক্রান্ত এক গবেষণায় অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবকদের উপর আরোপিত কর্মে মনোযোগের সাথে মাইন্ড-ওয়ান্ডারিং তথা দিবাস্বপ্নের -এর নেতিবাচক সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন। অর্থাৎ তিনি দেখিয়েছেন যে, দিবাস্বপ্নজনিত বিচ্যুতির কারণে স্বেচ্ছাসেবকদের কাজের সক্রিয় স্মৃতির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। যারা যতো বেশি মাইন্ড-ওয়ান্ডারিং করেছেন, তারা প্রদত্ত কাজে ততো কম নিয়ন্ত্রণ/মনোযোগ রাখতে পেরেছেন। ক্যেইনের মতে, দিবাস্বপ্ন এই নিয়ন্ত্রণ ব্যর্থতার জন্য দায়ী। তবে ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব ইয়র্ক-এ মনোবিজ্ঞান বিভাগে কর্মরত গবেষক জোনাথন স্মলউড এবং আরও অনেকেই মার্কিন মনোবিজ্ঞানী ক্যেইনের এই কথিত নিয়ন্ত্রণ-ব্যর্থতার ব্যাখ্যার যৌক্তিক বিরোধিতা করেছেন। স্মলউডের মতে, দিবাস্বপ্ন আপাতভাবে কর্মবিচ্যুতিকে প্রণোদিত করলেও একে সক্রিয় স্মৃতির ব্যর্থতা বলা যায়না কারণ এটি আসলে দুটি ভিন্ন এবং সমান গুরুত্ববহ সচেতন চিন্তাপ্রবাহের প্রতিযোগিতা। মন এদিক-সেদিক স্বপ্নাতুর হয়ে বেড়াচ্ছে কিনা— তা দ্বারা নিয়ন্ত্রণ ব্যর্থতা নির্ধারণ করা যায় বটে, তবে তা নির্ভর করে এই বিচারটা কে করছেন তার উপর। যেমন, এটা যদি হন গবেষণাকারী নিজে, বা কোন শিক্ষক যিনি চাইছেন যে তার নিয়োজিত ব্যক্তিটি আরোপিত কাজে মনোযোগ দিক, তবে সেক্ষেত্রে গবেষণাকারী বা শিক্ষকের বিচারে ওই ব্যক্তির মাইন্ড-ওয়ান্ডারিং বা দিবাস্বপ্ন অবশ্যই ব্যর্থতার কারণ, যেহেতু আরোপিত কাজটিতে মনোযোগ কম পড়েছে, দিবাস্বপ্নের দিকে বেশি পড়েছে। আবার ওই নিয়োজিত ব্যক্তিটির (যার উপর পরীক্ষামূলক কাজ আরোপ করা হয়েছিলো) দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাপারটিকে বিচার করলে ভিন্ন চিত্র পাওয়া যবে। তিনি হয়তো ওই সময় তার ভবিষ্যত সাফল্যের স্বপ্ন দেখায় ব্যস্ত ছিলেন, অথবা তার আসন্ন বিয়ের ব্যাপারে ভাবছিলেন, যা তার কাছে একজন গবেষণাকারী বা শিক্ষকের দ্বারা আরোপিত কাজের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।  তবে আপনি অফিসের কাজ ফেলে ক্রমাগত দিবাস্বপ্ন দেখে যাবেন আর তাতে আপনি সফল হবেন, এমনটি ভাবা ঠিক হবেনা।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, দিবাস্বপ্ন তাহলে কোথায় দেখতে হবে? তবে এর উত্তর অনুসন্ধানের আগে চলুন জেনে নেয়া যাক, দিবাস্বপ্নকে কেনো গবেষকরা সাফল্যের নিয়ামক ভাবছেন, এবং বয়স বা লিঙ্গভেদে এর রকমফের কেমন হয়ে থাকে।   ডে ড্রিমিং একটি শিল্পিত প্রয়াস। এটি আপনার সৃজনশীল সত্তার বিকাশ ঘটায়। আপনার ভবিষ্যত বিনির্মানের অনুপ্রেরণা হয়ে কাজ করে। ইচ্ছের ঘুড়িকে ইচ্ছেমতো উড়তে দিয়ে আপনি একধরণের স্বাধীনতার চর্চা করার সুযোগ পান, যা আপনার কর্মজীবনের নয়টা-পাঁচটার আবশ্যিক সংলগ্নতায় করা সম্ভব নয়। এই স্বাধীন চর্চা আপনার ভেতরের শক্তিকে উজ্জিবিত করে, আপনার আগামী জীবনের একটি প্রত্যাশিত, পরিচ্ছন্ন ছবি আপনার সামনে এনে দেয়। অর্থাৎ দিবাস্বপ্নের মাঝে বিচরণের মাধ্যমে আপনি হয়ে উঠেন একজন দক্ষ আর্কিটেক্ট, একজন শুদ্ধ শিল্পী। দিবাস্বপ্ন একই সাথে কর্মোদ্দীপক এবং আনন্দদায়ক। এখানে পরাজয় বা হার নেই, হার মোকাবেলার পরিকল্পনা আছে। তবে সাধারণত বয়সভেদে দিবাস্বপ্নের ধরণ ভিন্ন হয়ে থাকে। শিশুর ফ্যান্টাসিতে রঙিন দোলনা, খেলনা, চাঁদ, আকাশে উড়া, মা-বাবার প্রশংসা ইত্যাদি প্রাধান্য পায়। আবার কিশোর বা সদ্য কৈশোরোত্তীর্ণদের মাঝে যৌনতা নিয়ে নানান স্বপ্ন বোনার প্রবণতা বেশি। সম্প্রতি ইন্টারনেটের সহজলভ্যতায় এটি আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। যৌনতা কেন্দ্রিক এই স্বপ্নমগ্নতা অনেককে বিপদ্গামী করে তুলছে, যা আশঙ্কাজনক। যৌনতা বিষয়ক এমন ফ্যান্টাসির প্রাধান্য, ব্যক্তির মধ্যে অবসেসিভ ডিসঅর্ডার তৈরী করতে পারে। যৌনতার পাশাপাশি দিবাস্বপ্নের প্রতিহিংসামূলক দিকও রয়েছে। একজন মামলাবাজ ব্যক্তির দিবাস্বপ্নে অন্যকে স্বর্বশান্ত করে নিজে জিতবার আকাঙ্ক্ষা মূর্ত হয়ে আসবে—এটাই স্বাভাবিক।

আবার ইউনিভার্সিটিতে পড়ুয়া বা যারা প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনা সদ্য শেষ করেছেন, তাদের ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার বিষয়ক দিবাস্বপ্ন বেশি লক্ষণীয়। আবার দিবাস্বপ্নের লৈঙ্গিক স্বাতন্ত্রও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেমন একজন নারী স্বপ্ন দেখছেন তার স্তন দুধে ভরে উঠছে এবং স্তনবৃন্ত বেয়ে তা গড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু পুরুষের স্বপ্নে কখনও এমনটি সম্ভব নয়। তবে বয়স বা ব্যক্তিত্বের ভিন্নতায় ডে-ড্রিমিং এর বিচিত্র বিষয়ের সংশ্লিষ্টতা যেমন বিদ্যমান তেমনি এটাও মানতে হবে যে, দিবাস্বপ্নের ক্ষতিকর দিকও কম নয়। এ কারণেই কেউ কেউ ডে-ড্রিমিং এবং ফ্যান্টাসি –এ দুটি অভিধাকে আলাদা অর্থে ব্যবহার করে থাকেন। এক্ষেত্রে, প্রথমটি নেতিবাচক ক্রিয়া সংঘটনে বা অহেতুক বিলাসী মগ্নতায় আর দ্বিতীয়টি জীবনের ইতিবাচক পরিবর্তনের উদ্দীপকরূপে ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ নামের বিভাজনে বা অভিন্নতায়— যেভাবেই দেখি না কেনো, দিবাস্বপ্নকে আপনি কিভাবে ব্যবহার করছেন, তার উপর মূলতঃ নির্ভর করে জীবনে এর প্রভাব কিরূপ হবে। মেডিটেশনের গুরু যারা তাঁরা 'মনোবাঞ্ছা' পূরণের জন্য 'মনছবি' দেখার পরামর্শ/প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন, যা আসলে এই দিবাস্বপ্নেরই নামান্তর।  আপনার প্রতিদিনকার কার্য-পরিকল্পনার মূহুর্তে, কিংবা কোন ইন্টারভিউ বা স্টেইজ পারফর্ম্যান্সের আগে, ক্যামেরার সামনে যাওয়ার আগে, প্রেম নিবেদনের আগে, বিয়ের প্রাক্কালে আপনি প্রস্তুতির নামে যা করেন—তাতো এই দিবাস্বপ্নেরই সফল চর্চা, নয় কি?   তবে সঠিক স্থানে, নির্বিঘ্ন পরিবেশে, ইচ্ছেমতো দিবাস্বপ্ন দেখার চর্চা আপনার জীবনে আনতে পারে বৈপ্লবিক পরিবর্তন।

গবেষকদের মতে, এর সঠিক স্থান হলো আপনার বাড়ি। আপনার ঘর। নিজেকে অবসর দিয়ে স্থির হয়ে বসুন, যেখানে খুশি। মোবাইলের রিংটোন বন্ধ করে রাখুন। পরিবারের সদস্যদেরকে বলুন আপনাকে যেনো এই সময় তাদের প্রয়োজন না হয়। এবার চোখ বন্ধ করে আয়েশ করে স্বপ্ন দেখুন। দিবাস্বপ্ন। রাতে কিংবা দিনে। আপনার জীবনের টুকরো টুকরো উপাদানগুলোকে মনোযোগ দিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে তুলে আনুন। আপনার কল্পনার বিশাল জগতে ইচ্ছেমতো রচনা করুন আপনার নিজস্ব সাম্রাজ্য। যা খুশি ভাবুন, গড়ে তুলুন আপনার 'আমিকে'। চ্যালেঞ্জগুলোকেও ভাবনায় নিয়ে আসুন। আপনার অমিত শক্তির সম্ভাবনায় আস্থা রাখুন। কল্পনা করুন কিভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে লক্ষ্যে পৌঁছাবেন। নিজের প্রাপ্তির সাথে জুড়ে দিন প্রিয় মানুষদের অংশগ্রহণকে। দেখুন দিবাস্বপ্ন আপনার দৃঢ় পথচলায় আপনার পাউয়ার-হাউজ হয়ে কাজ করছে। নিয়মিত স্বপ্ন দেখুন, ভালো থাকুন।