"খয়ের রাজাকারের নাতি ইমরান সরকারের সঠিক পরিচয় জানতে চান আদালত। গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের মুখপাত্র ইমরান। খয়েরউদ্দিন সম্পর্কে রাজীবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আবদুল হাই সরকার জানান, ইমরানের দাদা খয়ের উদ্দিন কোনোদিনই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না।" –ঠিক এমনি খবর সবখানে দেখতে পাচ্ছি।
আদালতের কাজ আদালত করুক। এই খবরের সত্যাসত্য জানা হবে নিশ্চয়ই। কিন্তু একটা প্রশ্ন জাগছে মনে। প্রশ্নটা হলো, রাজাকারের সন্তান বা নাতি-পুতি কি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বললে মেনে নেয়ার মতো কি না। তাকে কি আগ্রাহ্য করা উচিৎ? মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কি রাজাকারের জেনারেশনে থাকা অন্যায়? বলা হচ্ছে তিনি বিভিন্ন রায়ের আগে পরে রায় নিয়ে খুব উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাই তার পরিচয় জানা দরকার।
রাজাকারের বংশধরদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলা মানায়না, যেমন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের মুখে পাকিস্তান-প্রবণ হওয়া মানায়না—এমন ভাবনার জায়গা আমাদের মননে মানায় কি?
যদি একাত্তরে তার পিতা ও পিতামহের ভূমিকা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে হয়ে থাকে আর ইমরান যদি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে জাহির করে থাকে কিং বা নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সাজিয়ে সরকারের কাছ থেকে কোনো বিশেষ সুবিধা নিয়ে থাকে, তবে তার বিচার হোক। মিথ্যাচারকে ব্যবহার করে তার কোনো অর্জন যদি থাকে, তবে তাকে অপরাধ হিসেবে আমলে নিয়ে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা হোক। কিন্তু শুধুমাত্র পুর্বপুরুষের কলঙ্কের জন্য কারও ভালো কাজকে নেতিবাচক হিসেবে দেখা সংকীর্ণতার পরিচায়ক। চোরের ছেলে বা নাতিকে কি চোরই হতে হবে?
খুব জানতে ইচ্ছে করে।