নিয়ত খণ্ডিত

কাজী শহীদ শওকত
Published : 17 Dec 2015, 05:18 AM
Updated : 17 Dec 2015, 05:18 AM

ভোগের চর্চা আর ভোগের দোকানদারি কোনোটাই অধিকারে নেই বেশিরভাগের। আয়েশের পায়েস মুখে না জুটলেও বাঁচার তাগিদেই ক্রেতা হতে হয়। এই বেশিরভাগ না হয়েছে ভোগী, না ত্যাগী। এরা কলাও খায় মূলাও খায়। হারিয়ে স্বর্বশান্ত হলেও স্বপ্নের শেষ নেই। স্বপ্নের ক্ষেত পুরাই বেদখল, ওদিকেও হুঁশ নেই মোটেই।

আবার এই মাজহাবের মানুষজনকে টার্গেট করেই কিন্তু সবচে বড় বাজারটা গড়ে উঠেছে। নিয়ন্ত্রক যারা তারা গুটি কয়েক এবং ঐক্যবদ্ধ। বহুজাতিক এসব গ্রুপের গুরুরা একই সাথে দাতা এবং বিক্রেতা। আর বাকিরা সবাই গ্রহীতা এবং ক্রেতা।

উন্নয়নশীল দেশে ঊরুর উত্থানে ডমেস্টিক বিনোদন শধু নয়, উৎপাদনও হয়। সুতরাং ক্রেতার অভাব কোথায়? পশ্চিমের তুমুল দানে পশ্চাদ প্রদেশের স্ফিংটার সব ছিঁড়ে যায় যাক। আমাদের চিন্তা কীসের? ডিসেন্‌সিটাইজার লাগানো আছে তো…আছে না?

সে তো গেলো বৈশ্বিক বিবেচনার হিসেব। নিজেদের মাটিতে নিজেরাই যে টু-বি-অর-নট-টু-বি'র গুটি দিয়ে হাউকাউ খেলে খেলে বিভাজনে শাসন-পেষণের জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠছি, এর থেকে মুক্তি না মিললে গ্লোবাল গ্রাস প্রতিরোধ প্রতিকার কেবলি চিন্তাবিলাস।