সম্মানিত ব্লগার, নাগরিক সাংবাদিক-ব্লগার আড্ডায় আপনাকে স্বাগত!

কাজী শহীদ শওকত
Published : 19 Sept 2016, 09:25 PM
Updated : 19 Sept 2016, 09:25 PM

blog.bdnews24.com-এর নাগরিক সাংবাদিক/ব্লগার আড্ডা

০৭ অক্টোবর, ২০১৬

শুক্রবার

স্থান-  জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

মিটিং পয়েন্ট-  জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মূল ফটক

সময়- অবশ্যই দুপুর ১২:০০ টার মধ্যে বা পূর্বে পৌঁছতে হবে।

ব্যক্তিগত গল্পের কাসুন্দিটা এই আড্ডায় আপনার আমার যাওয়া না যাওয়ায় খুব প্রাসঙ্গিক বলেই ঘাটতে চাই আগে। প্রাইমারির কোনো এক ক্লাসের বইয়ে পেন ফ্রেন্ড নিয়ে ইংরেজি প্যাসেজ ছিলো একটা। আশির দশকের শিশু হলে, আপনার মনে পড়তে পারে। তখন  থেকেই ভাবতাম, দূরদেশে এক ফ্রেন্ড হবে একদিন। পেন ফ্রেন্ড। জানবো, জানাবো লিখে লিখে। মাধ্যমিকে স্বপ্নটা জীবাশ্ম হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিকে হঠাৎ জেগে উঠে একদিন কাজে নামার সুযোগ করে দিলো। কলেজের এক বন্ধুর রুমে দেখি একটা পেনপ্যাল গাইড। বিভিন্ন মহাদেশের বিভিন্ন বয়সের মানুষের নাম-ঠিকানা। সবাই পেন ফ্রেন্ডশিপে আগ্রহী। এক মাস পর ডাক পিয়নের ঝোলায় চড়ে স্বপ্নটা ঠিকই সত্যি হয়ে এলো। আমার ইংরেজি চর্চাও নতুন ডাইমেনশন পেয়েছিলো। এরপর যোগাযোগে ভাঁটা হতে হতে নৈঃশব্দ্য। নিজের ঠিকানা বদলের সাথে সাথে স্মৃতির ডকুম্যান্টেশনে চরম অমনযোগি হলে তার ফল মন্দ হয়। পিয়ন ছিলো; ল্যান্ডফোন, সেলফোন ছিল না। ব্লগ ছিলো না। খোঁজ মেলেনি। এখনও কখনও কখনও ওর নাম, দেশ, শহর, স্কুলের নাম দিয়ে নেটে সার্চ করি। পাইনা।

.

ব্লগের পাতায় সামিল হয়ে কথা বলতে বলতে কখনও ওরকম পেনফ্রেন্ডসুলভ স্বাদ পাই। বাংলার ভালো চর্চা হয়। ভালো লাগে। তবুও লেখায় লেখায় দেখা হওয়ার ক্লান্তি আছে। লেখা খুব সহজ কাজ না হলেও তাকে দেখা সহজ। ব্লগারের মুখ দেখা কম সহজ। আর মুখোমুখি হওয়া তো আরও কম। আর কম বলেই আকাঙ্ক্ষাটা অনেক বেশি। এবার মুখোমুখি বসিবার, পরস্পরকে দেখিবার খুব দুর্লভ সুখ মুঠোয় আসুক। সত্যিই তো, এই একই প্ল্যাটফরমে লিখছি যারা– নিয়মিত, অনিয়মিত, আকস্মিক, হাইবারনেটিং, অগ্রজ, অনুজ—সবার একটা গেট টুগেদার আরাধ্য হবার মতোই তো।

.

.আসুন, মুখোমুখি বসি কিছুক্ষণ। কথা কই। শুক্রবার যেহেতু, চাইলেই সম্ভব। ব্লগিয় মিথষ্ক্রিয়া ব্লগের পাতা থেকে মাঠে গড়াক আরেকটি দিন। চার-পাঁচ বছর বা তারও চেয়ে বেশি সময় ধরে যারা ব্লগিং করছেন তাঁদের উপস্থিতি সর্বাগ্রে জরুরি। হাত না বাড়ালে হ্যান্ডশ্যাকটা হয় কী করে?

.

দুপুর গড়িয়ে বিকেল হোক। নির্মল আড্ডা হোক সবুজের কোলে। খাইদাই হোক। সন্ধ্যের আগেই না হয় শেষ হোক। তবু দূরত্বের জয় না হোক। গত কৃষ্ণচূড়া আড্ডার দিন বৃষ্টি ছিলো। অজুহাত ছিলো। এবারও বৃষ্টি হতে পারে। তাই বলে ইচ্ছের কাছে বৃষ্টি কিংবা বৃষ্টিজাত আলস্য অথবা ব্যস্ততা হার মানবে না—এমন তো নয়। সবাইকে সাদর আমন্ত্রণ।

.

যাদের লেখা পড়ি, তাদের অনেকের ছবিও দেখা হয়নি। তাদেরকে দেখবার সাধ হয়। যাদেরকে ছবিতে দেখি, তাদেরকেও। শব্দের এই কারিগরদের উচ্চারণ শুনতে ইচ্ছে হয়। কণ্ঠে যাদের গান ফোটে, তাদের সাথে গিটার আসুক, সুর আসুক। উচ্চারণে গানে গানে হোক পরিচয়, কথোপকথন। ব্লগিয় মিথষ্ক্রিয়ায় এ দেখা খুব তাৎপর্যবাহী। আসছেন তো? জাবির ব্লগারগণ (ফারদিন ফেরদৌস, রোদেলা নীলা, শফিক মিতুল, ব্লগে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতারত অসংখ্য ব্লগার) বজ্রকণ্ঠে আওয়াজ তুলুন।  আপনারা না এলে কী করে হয়?

.

আসুন। লেট্‌স নট সে 'নো'। আয়োজনে কী কী হতে পারে, হলে ভালো হয় সেদিন – সে ব্যাপারে পরামর্শ দিন, মন্তব্য করুন। কমেন্টে আপনার মূল্যবান অবদান অবারিত হোক। আয়োজন সুন্দর হোক। নিজেদের আড্ডা নিজেরা সাজাই। গত এক বছরে যারা নতুন যুক্ত হয়েছেন ব্লগে, এবং এখানে যাদের নামের তালিকা দেখতে পাই ও পাই না—সবাইকে সাদর আমন্ত্রণ। কতোদিন দেখা নেই!

দেখা হোক।

পরিচয় হোক।

কথা হোক।

আড্ডা হোক।

চা-পুরি-মুড়ি-সিঙ্গারা হোক।

দুপুরে ডাল-ভর্তা-ভাত হোক।

ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা হোক।

ফটো সাংবাদিকতা হোক।

ফেসবুক 'লাইভ' হোক।

প্রাক্তন জাবিদের স্মৃতিকাতর লেখা জন্ম হোক।

অজস্র মন্তব্য বিনিময় হোক।

০৭ অক্টোবর। শুক্রবার। দিনপঞ্জিকায় তারিখটা গোল দাগ দিয়ে রাখুন এক্ষুনি!