কী এমন সুবাসে ভাসে হেমন্তের রাতগুলো?

কাজী শহীদ শওকত
Published : 23 Oct 2016, 03:39 AM
Updated : 23 Oct 2016, 03:39 AM

হেমন্তের ফুল ছাতিম। অক্টোবরের প্রথম কি দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই ব্যাপারটা শুরু হয়। রাতে বাসায় ফেরার পথে *টাউন হল পেরিয়ে যেতেই **ঈদগাহের  ধারে, হাতের ডানে মাঝারি উচ্চতার বহুপত্রল গাছটা। দিনের বেলা কারও নজর কাড়ার মতো নাও হতে পারে, কিন্তু সন্ধ্যা থেকে ভোর অবধি চারপাশ মাতিয়ে রাখে। ক্ষুদি ক্ষুদি সাদা সাদা থোকা থোকা। দেখে ফুলকপি ফুলকপি লাগে। ফুলের এমন কড়া, খুব কড়া সৌরভ আর বুঝি হয় না। অবশ্য কারও কারও এতো ঘ্রাণ সয় না।

.

.

ছাতিমের ঘ্রাণমাখা হেমন্তের কোনো এক রাতে গাছ থেকে ছাতিম কিছু বাড়ি নিয়ে আসা যায়। তবে পূর্বাপর না ভেবে হাত উঁচিয়ে এ ফুলের থোকা ছিঁড়তে গেলে, গলগল করে বেরুনো দুধরঙ কষে চোখ-মুখ কষান্নিত হয়ে বিপদ ঘটাতে পারে, যদিও এই কষ ক্ষতের উপকার করে বলে জানা যায়। এই কষে এ্যলার্জিক রিয়েকশন হয়; তাই সতর্ক থাকা চাই।

.

.

ইংরেজিতে ফুলগাছটির অনেকগুলো নাম— ব্ল্যাকবোর্ড ট্রি, ইন্ডিয়ান ডেভিল ট্রি, মিল্কউড পাইন, হুয়াইট চিজউড ইত্যাদি। এর জন্মস্থান এই ভারতীয় উপমহাদেশেই।

.

.

যদিও এই গাছ বাড়ে দ্রুত এবং একে জন্মানোও কঠিন নয়, এটি বিলুপ্তির হুমকিতে আছে। বিভিন্ন পণ্যের প্যাকেজিঙে আর পেন্সিল তৈরিতে এগুলোর বেশ চাহিদা।

—————————————-

*টাউন হল

এবং

**ঈদগাহ

ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্রের ধারঘেঁষা জয়নুল আবেদিন পার্ক থেকে কয়েক মিনিটের হাঁটা পথ।