‘সমৃদ্ধ নগরীর জন্য বই’-এই স্লোগানকে ধারণ করে ময়মনসিংহ মহানগরের টাউন হল মাঠে চলছে ‘ময়মনসিংহ বইমেলা ২০১৬’। শুরু হয়েছে ২৪ ডিসেম্বর। চলবে বছরের শেষ দিন অবধি। প্রতিদিন বিকেল ৩ঃ০০ টা থেকে রাত ৯ঃ০০টা। মেলার আয়োজক ময়নসসিংহ পৌরসভা।
গতকাল (২৭ ডিসেম্বর) ছিলো আট দিনব্যাপী এ মেলার চতুর্থ দিন। বিকেলে মেলা প্রাঙ্গনে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিতি খুব একটা চোখে পড়েনি। বাচ্চাদের এখন স্কুল নেই, তবে বাবাদের, মায়েদের অফিস আছে। সুতরাং দিনটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন না হওয়ায় বাবা-মায়ের হাত ধরে আসা শিশুদের কাউকে মেলায় দেখা যায়নি। তবে নগরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থিদেরকে মেলার বিভিন্ন স্টলে বই নিয়ে ব্যস্ত দেখা গেছে। মূলত সন্ধ্যা থেকে মেলা জমে ওঠে। তখন বিভিন্ন বয়সের পাঠক-দর্শকদের আগমনে ভিড়ও বেড়ে যায় অনেকগুণ।
টাউন হল ভবনের সামনে পুরোটা মাঠজুড়ে দেশের বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার প্রায় ত্রিশটি স্টল নিয়ে জমে ওঠেছে এই মেলা। নগরবাসীদেরকে বইয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরিতে এই মেলা ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। মেলার স্টলগুলোতে সাম্প্রতিক সময়ের জনপ্রিয় লেখকগণের বিভিন্ন বই ছাড়াও সব বয়সের পাঠকের উপযোগি আরও অনেক নির্বাচিত বইয়ের পসরা নিয়ে বসে আছেন স্ব-স্ব প্রকাশনীর স্টলকর্মীরা।
এদিকে সন্ধ্যে থেকে একই মাঠে, শহীদ মিনারে প্রতিদিনই চলছে কোনো না কোনো সাংস্কৃতিক আয়োজন। ময়মনসিংহ থিয়েটার এসোসিয়েশন আয়োজন করেছিলো ‘পথ নাট্যোৎসব ২০১৬।
ময়মনসিংহ বইমেলা ২০১৬
ক্যাটেগরিঃ পাঠাগার, ফিচার পোস্ট আর্কাইভ
নিতাই বাবু বলেছেনঃ
বহুদিন পর সম্মানিত কাজী শহীদ শওকত দাদা’র কাছ থেকে একটা ময়মনসিংহ এর একটা খবরের পোস্ট পড়তে পারলাম ৷ সম্মানিত দাদা, এমনি করে তো’ দুএকটা ময়মনসিংহ শহরের খবরাখবর দিতে পারেন আমাদের ৷ যেমনটা দেয়, মনোনেশ দা’! সত্যি দাদা, খুব ভালো লেগেছে ছবিগুলো দেখে ৷ যদি আমি আপনার সংগে থাকতে পারতাম তো অনেক মঝা হতো ৷ যাই হোক আরো খুশির সংবাদ আছে আমার কাছে, তা পরে জানাবো আপনাকে ৷ জয়গুরু,জয়গুরু, জয় হোক গুরু, মহাগুরুর আর জয় হোক বিডিনিউজ ব্লগের সকল সম্মানিত ব্লগার/লেখকদের ৷ যাদের ভালোবাসায় লিখছি এই বিডিনিউজে!
কাজী শহীদ শওকত বলেছেনঃ
দাদা
আপনি ঠিকই বলেছেন। মূলতা মনোনেশ দা-ই এই ব্লগে ময়মনসিংহের সংবাদ তুলে ধরেন নিয়মিত। মাঝে মাঝে আমি এই রকম আসি আর কি। ইতোমধ্যেই খুশির খবরটা জেনেছি এবং খুব খুশি হয়েছি। 😛
মজিবর রহমান বলেছেনঃ
শওকত ভাই, এখন বইমেলায় চআলু হয়েছে আড্ডা বই কেনা আর পড়া কতটুকু হয় তা জানিনা। হোগলে শুধু টিভি, মবিল, নেটে থাকে যেখানে বই পড়া মুখ্য থাকেনা কারন নেটে সকল বই মনোযোগ সহকারে কতটুকু পড়া হয় জানিনা, আমার সব পড়া সম্ভব হয় না নেটে।
কাজী শহীদ শওকত বলেছেনঃ
আমারও খুব হয়ে ওঠে না।
ধন্যবাদ, মজিবর ভাই।
নুর ইসলাম রফিক বলেছেনঃ
এটা কি ময়মনসিংহে প্রথম বই মেলা? নাকী এর আগেও বই মেলা হয়েছে?
প্রশ্নটা জন্মালো বই মেলায় দর্শনার্থীর উপস্থিতি কম বলে।
যাই হোক বানিজ্য মেলায় দর্শনার্থী বেশী হবে, বই মেলায় কম এটাই স্বাভাবিক।
যদিও এ স্বাভাবিকতার ভিতর অনেক অস্বাভাবিক কারন রয়েছে।
ধন্যবাদ আপনাকে আমাদেরকে বিজয়ের ভাসে সুন্দর একটা পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য।
সর্বদা ভাল থাকুন। অনেক অনেক শুভ কামনা।
কাজী শহীদ শওকত বলেছেনঃ
উপস্থিতি কম হওয়ার একটা কারণ বলেছি। মানে ওই সময়টাতে (মানে যখন আমি গিয়েছিলাম) লোকজন কমই থাকে। আর অভ্যাসের ব্যাপারটিও গুরুত্বপূর্ণ। এবারে দ্বীতিবারের মতো উদ্যাপিত হচ্ছে এই মেলা। আস্তে আস্তে হবে। মানে আস্তে আস্তে ওসব অস্বাভাবিক স্বাভাবিক কারণ ঘুচিয়ে আরও আরও পাঠক দর্শক বইয়ের মেলায় আগ্রহী হয়ে উঠবেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, রফিক ভাই।
ফারদিন ফেরদৌস বলেছেনঃ
বইমেলা…
প্রাণের মেলা!
কাজী শহীদ শওকত বলেছেনঃ
সত্য কথা।
শুভেচ্ছা।
ধন্যবাদ।
সৈয়দ আশরাফ মহি-উদ্-দ্বীন বলেছেনঃ
বইমেলা থেকে বই কেনার আনন্দই আলাদা। আমার কিন্তু ডিজিটাল বইয়ের চাইতে কাগজের বই পড়াতেই স্বাচ্ছন্দ। নতুন বইয়ের গন্ধ আর বৃষ্টিস্নাত সোঁদা মাটির গন্ধের এক অদ্ভুত ভালোলাগা এখনো মন মাতায়।
মজিবর রহমান বলেছেনঃ
সৈয়দ আশরাফ মহি-উদ্-দ্বীন ভাই, মনে হয় সবার ক্ষেত্রেই একই অবস্থা। কাগজে বইয়ের বিকল্প হয়নাই আমার বিশ্বাস।
কাজী শহীদ শওকত বলেছেনঃ
স্ক্রিণে পড়াটা খুব আরামের নয়। বেশিক্ষণ পড়তে পারি না। চোখে চাপ পড়ে, জ্বলে। আর দুটি গন্ধই আমারও প্রিয় খুব।
ধন্যবাদ, আশরাফ ভাই।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
হ্যাপি নিউ ইয়ার।