বিছুটির ভাই ল্যান্টানা

কাজী শহীদ শওকত
Published : 10 June 2017, 07:51 AM
Updated : 10 June 2017, 07:51 AM

ল্যান্টানা। বিজ্ঞানসম্মত নাম Lantana camara। নদীর তীরে অপ্রতিরোধ্যভাবে গজিয়ে ওঠা এই উজ্জ্বল ফুলের গাছটি বংশবিস্তারে অন্য অনেক প্রজাতির চেয়ে এগিয়ে। এর বিশেষ গন্ধ কারও কারও কাছে অসহনীয়। এ ফুলের অনেক রঙ হয়ে থাকে।  এটি বিষাক্ত সুন্দর। ইয়ুরোপ-আমেরিকায়, এমন কি আমাদের দেশেও এই স্বাবলম্বী গুল্মটিকে আগাছা হিসেবেই বিবেচনা করা হয়।

কানাডার Hawkesbury River County Council (HRCC) এটিকে অবনক্সাস উইড-এর তালিকায় ফেলে এর বিস্তার নিয়ন্ত্রণে মন দিয়েছে। নদীর তীরে, পাহাড়ি টিলায় এই গাছের ঝোপ দেখা যায়।  এর পাতায় বিছুটির ইফেক্ট বিদ্যমান।


ল্যান্টানা ফুল গাছটির ভেষজ গুণ আছে বলে জানা যায়। চর্মরোগ ও জ্বর নিরাময়ে নাকি এটি ব্যবহৃত হয়। বিষাক্ত অনেক কিছুতেই রোগের প্রতিকার মেলে। তবে জ্বরের জন্য এর পাতায় নিরাময় খুঁজতে যাওয়া জ্বরাক্রান্তের উচিৎ হবে না।  ল্যান্টানা ফুল বা পাতা কখনও গায়ে লাগতে দেবেন না। হাত দিয়ে একবার ছুঁয়ে দেখা যায়। তবে সাথে সাথে হাত ধুয়ে নিতে হবে।

এর ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ পাকলে গাঢ় বেগুনি রঙের হয়। এটি প্রজাপতি বান্ধব গাছ। বাগানের সৌখিন ফুল হিসেবে লান্টানা মানাবে ভালো। সারাবছরই ফোটে এ ফুল, তবে বর্ষায় বেশি দেখা যায়। পাকা বা শুকনো বীজ সংগ্রহ করে একে বাগানের সদস্য করে নেওয়া যায়। আর ক'দিন পরই এদের ফল পাকতে শুরু করবে।  ছবিটি ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্রের ধারে বুড়া পীরের মাজারের পাশ থেকে নেওয়া।