রামুর অশ্রুধারা থামেনি

খালিদ
Published : 9 Nov 2012, 05:07 AM
Updated : 9 Nov 2012, 05:07 AM

নানা জল্পনা কল্পনা এই রামুর ঘটনা নিয়ে। কেউ এটিকে 'একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা'র চেয়ে বেশি কিছু ভাবতে নারাজ যে কথা থেকে আবার কিনা একটি সরকারি সরকারি গন্ধ বের হয়। অন্য দিকে কলামিস্ট ফারুক ওয়াসিফের মত অনেকেই ঘটনাটিকে আন্তর্জাতিক রুপ দিতে বেশি আগ্রহী। পশ্চিমের আসাম দাঙ্গা আর পূর্বে রাখাইন রাজ্যের চলমান সাম্প্রদায়িক উন্মত্ততার পর রামুর ঘটনা, অনেকেই যেগুলোকে একই সূতোয় গাঁথতে চাইছেন।

রামুর ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করা হয়েছে অনেকটাই, সরকারের সাহায্যে সেসব কিছু গড়েও উঠছে নতুন করে, স্বস্তির বিষয় কতিপয় ধর্মান্ধের অপকর্মের দায় সমগ্র মুসলমানদের কাঁধে চাপায়নি বৌদ্ধরা। কিন্তু আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির গৌরবে যে কালিমা লেপন করা হয়েছে তা মুছতে বিস্তর সময়ের প্রয়োজন। প্রশ্ন হলো অসাম্প্রদায়িকতাকে যারা নাস্তিকতা বলছেন তারা আমাদের সেই সময়টুকু দেবেন কিনা।

যেকোন বিষয়কে রাজনীতির সাথে গুলিয়ে ফেলা আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রধান অংশ। এক্ষেত্রে এই ইস্যুটিও ভিন্নধর্মী কোন উদাহরন সৃষ্টি করতে পারেনি। মওদুদ আহমেদের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট কি হবে বোধকরি তদন্ত শুরুর আগেই অনেকে তা অনুমান করতে পেরেছিলেন। এও অনেকে অনুমান করতে পেরেছিলেন যে এই ঘটনার অপরাধী হিসেবে বিরোধী রাজনৈতিক দলীয় অনেকেই আটক হবেন, তবে বিটিভির মাইক্রোফোন সামনে নিয়ে কয়েকজন বৌদ্ধ ভিক্ষু পর্যন্ত এই ইস্যুতে সরকারের একপেশে সাফাই গেয়ে যাবেন সেটা অনেকের অনুমানের সীমার বাইরে ছিলো।

হাজার হাজার মানুষের বিরুদ্ধে মামলা করে অন্যান্য ঘটনার মত বসে থাকার জোঁ নেই প্রশাসনের। একদিকে মিডিয়ার চাপ অপর দিকে নির্বাচনের উত্তপ্ত বাতাস সরকারকে কতখানি নাড়াতে পারছে তা বোঝা যাবে অল্প ক'দিনের ভেতরই। তবে অপরাধের শাস্তি যদি দৃষ্টান্তমূলক না হয় তবে তা ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা ঘটানর জন্য ইন্ধন হিসেবে কাজ করবে।