রসুনের দেশে

মোঃ আব্দুল মোমেন
Published : 22 March 2018, 05:05 AM
Updated : 22 March 2018, 05:05 AM

দিনাজপুর শহরে প্রবেশের ২৮-৩০ কিলোমিটার পূর্বেই রানীরবন্দর (চিরিরবন্দর উপজেলা) হয়ে যেতে হয় খানসামা উপজেলা। রানীরবন্দর থেকে উত্তরে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে খানসামা উপজেলা সদর। ছয়টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই উপজেলা মূলত ধান, গম, আলু, ভুট্টা, সবজি উৎপাদনের জন্য পরিচিত। তবে উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ রসুন চাষেরও একটা নজির মিলেছে এবার। কৃষি অফিসের তথ্য মতে, প্রায় তিন হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে রসুন চাষ হয়েছে।


রসুন প্রক্রিয়াজাতকরণ নিয়ে ব্যস্ত চাষীরা

উপজেলার সবচেয়ে বেশি রসুন চাষ হয় ৫নং ভাবকী ইউনিয়নে। রসুনের সবচেয়ে বড় বাজার বসে উপজেলার কাচিনীয়া বাজারে।  এরপরই পাকেরহাট বাজার, খানসামা সদর, ডাংগারহাটে। সবুজের পথ ধরে দু-চোখ যতদূর যায় ততদূরেই দেখা মিলবে সবুজ প্রকৃতি। প্রকৃতির অপার এই দৃশ্য চোখের আলো বাড়াতে যেমন সাহায্য করে তেমনি দেখতেও সুন্দর লাগে। অর্থাৎ সুন্দরের সমারোহে গড়ে উঠেছে খানসামা উপজেলা।

রাস্তার দু-ধারে কৃষকরা রসুন তুলছে, কেউবা রসুনের গাছ ছাড়াচ্ছে জমিতেই। চাষীরা কাঁচা রসুন শুকাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। মাঠে শুকানো রসুন বাজারজাতকরণের প্রক্রিয়া চলে বস্তাভরে। দূর-দূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা আসে খানসামা উপজেলায় রসুন কিনতে। খানসামার রসুন এখান থেকেই ট্রাক ভরে চলে যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

মাঠে রসুন দেখে মনে হয়- এ যেনো বৃ ষ্টির সাথে রসুনের শিলাবৃষ্টি! এসব দেখে যেন মনে হতেই পারে'রসুনের দেশে' আপনি ঘুরতে এসেছেন!

তবে এসব আনন্দের মধ্যেও দুঃখের সংবাদ হলো যে, কৃষকরা রসুনের ন্যায্য দাম পাচ্ছেনা। দাম কম থাকার কারণে এক প্রকার দিশেহারা হয়ে গেছে।