উত্তরবঙ্গের সুনাম রয়েছে দিনাজপুরের লিচু আর কাটারিভোগ চালের জন্য। দিনাজপুরের কথা উঠলেই মানুষ লিচুর কথা বলে। মধুমাস জৈষ্ঠ্যে জেলার বাগানগুলোতে লিচু পেকে টসটসে রূপ ধারণ করে। সিঁদুর রাঙা লিচুতে ভরে যায় দিনাজপুরের মাঠ-ঘাট। লিচু প্রিয় মানুষের কাছে পছন্দের এই ফলকে সেরা মনে হতেই পারে।
দিনাজপুরের পাকা লিচু
জেলার ১৩টি উপজেলার সবগুলোতেই কম-বেশি লিচুর চাষ হয়। এর মধ্যে সদর উপজেলার কসবা, মাসিমপুর, মাহমুদপুর, নশিপুর ও জয়দেবপুরে এবং বিরল উপজেলার মাধববাটি, রসুর শাহপুর, রানী পুকুর, মংগলপুর, আজিমপুর ও লক্ষ্মীপুরে লিচু বেশি চাষ হয়।
এই তালিকায় আরো আছে বীরগঞ্জ উপজেলার চাকাই, কল্যানী, পাল্টাপুর, ধূলা উড়িয়া, মরিচা ও শিবরামপুর এবং চিরিরবন্দর উপজেলার গছাহার, আরাজি গছাহার, কাদরা, কৃষনপুর। এছাড়া খানসামা ও বিরামপুরসহ অন্যান্য উপজেলাতেও লিচুর ব্যাপক চাষ হয়।
দিনাজপুরে মূলত কয়েক প্রকার লিচু হয়ে থাকে। লিচুর স্বাদের তারতম্যের ভিত্তিতে দামেরও ভিন্নতা থাকে। মাদ্রাজি জাতের লিচু সবার আগে পাকে। অন্যান্য প্রজাতির মধ্যে বোম্বাই, বেদানা, চায়না-৩ লিচু সুস্বাদু।
এসব লিচুর বড় অংশ সরাসরি বাগান থেকেই বিকিকিনি হয়। শহরের কালিতলা, মাধববাটি, মাদারগঞ্জ হাট, চিরিরবন্দর, বীরগঞ্জহাট, মাসিমপুর, পুলহাট এবং দিনাজপুর সদরেও হয় বেচা-কেনার কাজ। দূর-দূরান্ত থেকে লিচু কিনতে আসে ব্যবসায়ীরা। তাদের হাত ধরে দিনাজপুরের লিচু চলে যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।