৯ এপ্রিল ঘটে যাওয়া রাতের কথা কেউ ভোলেনি। ভুলে যাওয়া ঘটনা নয়। মিডিয়াতে আলোচিত ৭০ লক্ষ টাকা নিয়ে রাতের আধারে পিলখানায় ঢুকে যাওয়া গাড়ী । আর এই গাড়ী চালক ছিল আজম খান । বহুল আলোচিত আজম খান এখন কোথায় আছে সঠিক ভাবে কেউ বলতে পারেনা। কিছুদিন আগে বেসরকারি একটি টেলিভিশনের সাক্ষাতকারে দেশব্যাপী আলোড়ন ফেলে দেয়। আবার সেই দুদক প্রমাণিত নিষ্কলঙ্ক মন্ত্রী কাল বিড়াল বনে যায় । একজন এ পি এস এর গাড়িতে লক্ষ লক্ষ টাকা পাওয়া গেল, সেই টাকা বৈধ না অবৈধ এবং এই টাকার উৎপত্তি কোথায় আজ পর্যন্ত সন্ধান তো দুরের কথা এটা নিয়ে কোন তথ্য উপাত্তের ভিক্তিতে সনাক্ত করা হয় নি। দুদুক হয়ত অসম্পূর্ণ তদন্তের মাধ্যমে একজন মন্ত্রী কে নিষ্কলঙ্ক প্রমাণ করেছে কিন্তু এই তদন্তের সত্যতা বেশী দিন টিকে থাকেনি ,আজমের আবার আবির্ভাব এর কারনে। ধরে নিলাম সুরঞ্জিত সাহেব আপনি দুর্নীতি করেননি, আপনি নিষ্পাপ, নিষ্কলঙ্ক । কথায় আছে কাটা দিয়ে কাটা তুলতে হয়, আপনি ঠিক প্রমাণ করে দিন আপনার এ পি এস এর মাধ্যমে , গাড়ী চালক আজমকে দিয়ে। আজ আবার আজম কে দুদক নোটিশ পাঠিয়েছে জবান বন্দি দেওয়ার জন্য । আমার সন্দেহ হয় গাড়ী চালক আজম যদি দুদকের কার্যালয়ে আসে এবং সত্য কথা বলার কারনে তাকে আবার গুম হতে হয়। তবে কে নিবে তার নিরাপত্তা । আমি জানি দুদক একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান । কিন্তু বাংলাদেশের মতো একটি স্বাধীন দেশে সব কিছু কি স্বাধীন ভাবে নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে। বেসরকারি একটি টেলিভিশন সাক্ষাতকারে আজম বলেছে আমার নিরাপত্তা যদি স্বয়ং প্রধান মন্ত্রী দিতে পারে তাহলে আমি দুদকের অনুসন্ধানে সাহায্য করবো। একজন বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে আজমের এই দাবি মেনে নেওয়া উচিত ছিল। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ সত্য উদঘাটনে দুদক কে সাহায্য করুন। এবং আজমের নিরাপত্তা দিন, দেশের মানুষ একটা কাল বিড়ালের সন্ধান পাবে।