রাজাকার সব যুগে সব সময়ই বর্তমান। গোলাম আজমেরা ছিলেন অতীতের রাজাকার। তারা ক্ষতি যা করার আগেই করে ফেলেছে। তারা দেশের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে সরাসরি, লুকিয়ে চুরিয়ে নয়। এখন তাঁদের ক্ষতি করার শক্তিও ফুরিয়ে এসেছে। আমরা এখন তাদের বিচার চাইছি।
কিন্তু বর্তমান রাজাকার-মিরজাফরেরা আরও বেশি ভয়ঙ্কর। তারা অবিরত ক্ষতি করে চলছেন। তারা দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে ব্যক্তি স্বার্থের জন্য বাইরের দেশের চর হয়ে কাজ করছেন। গু-আজমদের চেয়ে এরা বেশি ভয়ঙ্কর। গু-আজমেরা রাজাকারি করেছেন ঘোষণা দিয়ে। এরা করছেন মুখোশের আড়ালে। এদের সাজাও আরও কঠিন হওয়া প্রয়োজন এবং তা বর্তমান সময়েই।
আমরা এমনই অভাগা জাতি যে হয়তো এদেরও বিচার হবে, তবে তা সময় ফুরিয়ে গেলে। এর মধ্যে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে যাবে।
শাহবাগের এই শান্তিপূর্ণ যৌক্তিক আন্দোলনেও আজ শান্তিতে নোবেল বিজয়ী রাজাকারেরা নিরব। সময় এসেছে বর্তমান সময়ের এসব রাজাকারকে চিনে রাখার। ইউনূস টু শব্দটিও করছেন না এই আন্দোলন নিয়ে। করবেন কিভাবে? তিনিও তো গু-আজমেরই বংশধর।
বর্তমানের তরুণদের মধ্যে তাদের সমসামায়িক কালের রাজাকারদের চিনতে পারার ক্ষমতা তৈরি না হলে দেশের বড় বেশি ক্ষতি হবে।
শাহবাগের এই আন্দোলনে এই মুখোশধারী রাজাকার-মিরজাফরদের
বিচারকে যুক্ত করতে হবে।
সময়ের বিচার সময়ে না করতে না শিখলে সত্যিকার অর্থে কোনো লাভ হবে না। ক্ষতি হতে থাকবে চিরকাল ধরেই।