একটা রাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে যত ধরণের জাতীয়তাবাদী বৈশিষ্ট্য থাকার, তেমন বাংলাদেশেরও থাকবে, স্বাভাবিক বিষয়। একে সমালোনচার দৃষ্টিতে দেখার মত বিলাসিতা আমার নাই। এগুলো মেনেই নিতে হবে। সেসব ফ্যাক্টরসমেত বিবেচনা করলে রোহিঙ্গাদের না আসতে দেবার সরকারী সিদ্ধান্তে এদেশের বেশীরভাগ মানুষ মৌন সমর্থন দেবে, ভেতরে ভেতরে আনন্দিত হবে, হবার কথা। তবে মানবতা বলেও তো একটা বিষয় আছে, সেজন্য একটু লোকদেখানো উদারতাও তো দেখানো উচিত, আর এজন্য কিছু ভিন্নতা চোখে পড়ে।
একটা দেশের সমস্ত জনগন আরেকটা দেশের উদ্বাস্তুদের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য নইলে জোড়ালো বিক্ষুব্ধতা দেখাবে এটা ভাবা অনেক বেশী কষ্ট-কল্পনা। রাষ্ট্রের, জাতির – সার্বজনীন চরিত্রের উল্টো আচরণ করতে আমরা কোনো দেশে দেখি নাই, বাংলাদেশেও সম্ভব না। একেবারে মানবতাবাদী কিছু মানুষ, যাদের ভেতরে মূলত জাতীয়তাবাদের এই অন্ধ মোহ কাজ করে না – তাদের সোচ্চার কণ্ঠ গুটিকতেকই থাকবে এবং হয়তো তাই আছে, তারপরেও আমরা কি একবার সীমান্ত খুলে দেবার জন্য আবেদন জানাতে পারি না? না কি পারি না?
যদি না পারি তবে এটা তো করতে পারি, মায়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে ঘৃনা জানাতে পারি। শান্তিতে নোবেল জয়ী অংসান সুচীর দেশে এই অমানবীয় আচরণের জন্য তার প্রতি বিক্ষুব্ধতা দেখাতে পারি। ঘৃনা জানাতে পারি বার্মার রাষ্ট্রীয় নিপীড়ণের প্রতি।