মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের মানুষের কষ্টার্জিত টাকায় তৈরী হবে পদ্মা ব্রিজ

কৌশিক আহমেদ
Published : 3 July 2012, 07:38 AM
Updated : 3 July 2012, 07:38 AM

হ্যা! ছুঁড়ে দিন দাতা সংস্থার শর্তযুক্ত অপমানজক লোনের আশ্বাস। যা আমাদের কেবল মেরুদন্ডহীনই বানিয়ে রেখেছে এতকাল। এ-দেশের মানুষ স্বাধীনতা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে – আমাদের মানুষ বীরের জাতি। আমরা এদেশকে গড়তে পারি, নিজেদের রক্তে, ঘামে, জীবন-উৎসর্গে। পদ্মা ব্রিজের টাকা আমরাই জোগার করে ফেলতে পারি অনায়াসে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি জানেন, এদেশের এখন এক কোটি মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর মিথস্ক্রিয়াকে কাজে লাগিয়ে আপনি বিপুল একটা অর্থের পরিমাণ সংগ্রহ করতে পারেন দেশের মানুষের কাছ থেকেই। একজন রিকশাচালক, কৃষক থেকে শুরু করে শিক্ষক, পেশাজীবি – সমস্ত শ্রেণীর মানুষই এগিয়ে আসবে পদ্মা সেতুর জন্য দান করতে।

কেনো আমরা ভিক্ষুক হিসাবে অবমাননকর বিবৃতি শুনবো? কেনো আমরা দুর্নীতিগ্রস্থ হিসাবে বিদেশী মূল্যায়নকে গুরুত্ব দেবো? আমাদের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের দায়ভার আমাদেরই। আপনি ছুঁড়ে ফেলুন দুর্নীতিগ্রস্থদের – আর একবার জনগণের কাছে আহবান জানান পদ্মা সেতুর জন্য দান করতে। আমি নিশ্চিত আপনি দেখবেন, রক্ত বিক্রি করে হলেও টাকা দেবার জন্য ঝাপিয়ে পড়বে লাখো লাখো মানুষ!

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী 'পদ্মা সেতু ফান্ড' নামে একটা ব্যাংক একাউন্ট খুলুন আপনার নিজের নেতৃত্বে, তারপরে জানিয়ে দিন আমাদের। দেখুন সোশ্যাল মিডিয়ায় কেমন রেভ্যুলেশন তৈরী হয়! মানুষজন এর প্রচারণার দায়িত্ব নেবে নিজের ঘাম ঝড়িয়ে, রক্ত পানি করে।

প্রয়োজনে পদ্মা সেতুর প্রতি ইঞ্চি ইঞ্চিতে নাম লেখা হবে এদেশের প্রত্যেকটা মানুষের, প্রতিটা স্প্যানে নাম লেখা হবে স্বাধীনতার মহান শহীদের। আপনি একটা আওয়াজ তুলুন একবার, পদ্মা সেতুর হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে ফেলবে এদেশের মানুষ নিমিষে!

মহান মুক্তিযুদ্ধ যেভাবে আমাদের রক্তমাংশকে উদ্বেলিত করেছিলো, পদ্মা সেতুর জন্য না হয় আরেকবার আমরা আমাদের জীবন বাজি রাখবো – তারপরে এই বিদেশী রক্তচোষা দাতা সংস্থার হাত থেকে চিরতরের মত স্বাধীনতা লাভ করবো।

দয়া করে পদ্মা সেতুর জন্য জনগণের কাছে হাত পাতুন একবার! এদেশের হারিয়ে যাওয়া আত্মবিশ্বাস পুনর্গঠনে এটাই এখন সবচেয়ে বড় সুযোগ!