অটোবির বিশাল বিশাল শো রুম দেখে তাদের একজন স্টাফকে জিজ্ঞেস করলাম, এত বড় শো রুম অনুযায়ী কি সেল হয়? সে বললো বিশাল কাহিনী। অটোবি রিসেন্টলি বিদ্যুত ব্যবসায় গিয়ে ধরা খেয়েছে। রেন্টাল দুটো বিদ্যুত প্লান্টের কাজ পেয়েছিল – যেখানে ইনভেস্টমেন্ট ১২ শো কোটি টাকা। ফার্নেস অয়েল এবং ডিজেল ভিত্তিক এই দুটো প্লান্টের জন্য কনসালটেন্ট হিসাবে তারা নিয়োগ দেয় আওয়ামী নেতা নুর আলম সিদ্দিকীর ডরিন কোম্পানিকে।
এই কোম্পানি নাকি অটোবিকে বাম্বো দিয়েছে। যে মেশিনারি সাপ্লাই দিয়েছে তা দুই নম্বরী এবং এর ইনস্টলমেন্টে সরকারের বরাদ্দকৃত সময়ের চেয়ে আরো দেড় বছর বেশী সময় খুইয়েছে। ফলে সরকারকে জরিমানা দিতে হয়েছে আরো একশ কোটি টাকা। অটোবির স্টাফদের ধারণা এটা অটোবিকে ধ্বংস করার জন্যই ষড়যন্ত্র করে করেছে। এখন বিদ্যুত কেন্দ্র চলছে কিন্তু লস প্রজেক্ট। মেইনটেনেন্সে দিতে হচ্ছে ভর্তুকি। যা যাচ্ছে ফার্নিচার সেক্টর থেকে।
অটোবির বিশাল বিশাল শো রুমগুলোর পরিকল্পনা ছিলো ফার্নিচারের বাইরেও আরো নানান নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আউটলেট হিসাবে তৈরী করার। কিন্তু এই বিদ্যুৎ ব্যবসা তাদের ডুবিয়েছে।