মুক্তিযুদ্ধের এ পর্যন্ত সংগৃহিত স্মারকের সংখ্যা ১০,৭০০ টির বেশি – যার মধ্যে মাত্র ১৩০০ টি প্রদর্শন করার মত জায়গা দিতে পেরেছে বাংলাদেশ। অথচ স্বাধীনতার ৪০ বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে এবং আমরা এর মধ্যে রাজাকারদের মন্ত্রী পর্যন্ত হতে দেখেছি। এর চেয়ে অবমাননাকর আর কিছুই হতে পারে না।
ত্রিশ লক্ষ মানুষের আত্মাহুতির বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার ইতিহাস তুলে ধরার জন্য এদেশে এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ জাদুঘর তৈরী না হওয়া কার ব্যর্থতা আমি খুঁজতে যেতে চাই না। কিন্তু এর জন্য অর্থ সংস্থান করতে গিয়ে জনগণের কাছে হাত পাততে হয় – এর চেয়ে হতাশাজনক আর কিছুই হতে পারে না।
আমাদের উত্তরসূরিরা মুক্তিযুদ্ধের কোন ইতিহাস জানবে? তাদের হাতে কি আমরা তুলে দেব জামাত শিবির রাজাকার নির্মিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর? ইসলামী ব্যাংককে কি আহবান জানাবো আমাদের মুক্তিযুদ্ধের জাদুঘর তৈরী করে দিতে? ক্রিকেটে তাদের স্পন্সর হিসাবে গ্রহণ করে সরকার কি সেই গ্রীন সিগনাল দিয়ে দিয়েছে?