বাউলদের চুল কেটে সাইজ করে দিয়েছে সোনার ছেলেরা এবং যুবারা। কি নচ্ছার কর্মকান্ড! নেচেগেয়ে তারা আল্লাহ-নবীর নাম ভুলিয়ে দিচ্ছিলো সরকারের। সেজন্য আদর-আপ্যায়নে লম্বা চুল আর মোচ কেটে পুরা সুন্নতী বসন ধরিয়ে দিয়েছে বাউলদের। এ না হলে ধর্ম-প্রেম? এ না হলে কিসের ইমান!
আমাদের সরকার যে দাড়ি রাখতে শুরু করেছে এটা অজানা ছিলো। কিছুদিনের মধ্যে সরকার আবার বিসমিল্লাহ সহকারে ইসলামিক রাষ্ট্রের ঘোষণা দিয়ে দেবে নিশ্চিত। সবাই যখন ধর্মকে বেচে খেতে পারছে তবে সরকারেরই বা দোষ কিসের। বরঞ্চ এই যে একটু ধর্মকর্ম করছে এতে বিগত দিনের পাপ-মোচন হয়ে যাবে নিশ্চয়ই। সংখ্যাগরিষ্ঠের মুসলমানের দেশে বঙ্গবন্ধু কি এক ধর্মনিরেপক্ষতার জিগির তুলেছিলেন – আল্লাহ মাবুদ! বেচারা! এখন বেঁচে থাকলে নির্ঘাত চমকে যেতেন।
দেশের ধর্মনিরেপক্ষতার মুখে দাড়ি গজাতে শুরু করলে, আমাদের দোষ কি? নারী উন্নয়ন নীতি নিয়ে বিতর্ক করেই বা কি হবে? আমিনীর দাড়ি আছে, আর সরকার সদ্য দাড়ি রাখতে শুরু করেছে – সো আউলা বাউলাদের সুন্নতী চেহারা মোবারকের ছবি দেখে আমরা আফসোস নাই বা করলাম আর।