সারা বাংলাদেশে নববর্ষ পালিত হলো বিপুল সমারোহে বটে, কিন্তু কিছু মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখে হতচকিত হতে হয়। প্রশ্ন জাগে এদেশে যারা নববর্ষ পালন করলো তাদের ধর্ম কি? আর যারা তাদের প্রতিক্রিয়ায় নববর্ষ পালনের নানা আয়োজনকে ধর্মবিরোধী আখ্যা দিচ্ছেন তারা কোন ধর্মের? তারা কি একটু বেশী মাত্রায় মুসলমান নয়?
যার অর্থ পুরো দেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ তাদের চেয়ে একটু কম মুসলমান। অথচ আমরা দেখে এসেছি এই অতি-মুসলমানদের কীর্তিকলাপ। এদের বোমাহামলায় রমনা বটমুলে মানুষের ছিন্নভিন্ন শরীর আর মগজ পড়ে থাকতে দেখেছি। এই অতিমুসলমানদের সবকিছুতেই কঠোর বিধিনিষেধের এক শৃঙ্খলিত সমাজ-কাঠামো চাই। যেখানে সবাই একই রঙ, ভাষা আর দেহভঙ্গিতে ওঠাবসা করবে, হাঁটবে আর কিছু চর্বিত নামের জিকির তুলবে। সমাজ-ব্যবস্থায় ব্যক্তির উন্মেষে নিজস্ব নৈতিকতাবোধের বিকাশকে অন্তরায় করে এরা গড়ে তুলতে চায় এক প্রাচীণ অর্থোডক্স সমাজব্যবস্থা।
এইসব অতি-মুসলমানদের বস্তাপচা আলাপ থেকে জাতির নিস্তার ঘটুক।