সেইদিন আর নাই। সরকারী চাকুরী মানে এখন ঘুষ দাতা আর গ্রহীতার মিলনমেলা। ফলে শ্রদ্ধা করার কিছু নেই। বাই ডিফল্ট ধরে নেয় বৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত নয়। যদিও এটা একেবারেই বাড়াবাড়ি রকমের অসত্য। কিন্তু পার্সেপশন তো এমন তৈরি হয়ে গেছে। কিছু করার নেই।
ধরে নিতেই হচ্ছে সরকারী চাকর-বাকরদের এতে মান বেড়েছে। দেশের কর্তাব্যক্তিরা দূর্নীতি করে। সরকারী লোকজনও করেন। অতএব সকল সরকারী কর্তারা এখন দেশের ত্রাতা। তাহাদের ভ্রাতা ডাকলে চলবে কেনো? কিন্তু কলিগ তো এতো কিছু জানে না। সে ভ্রাতা ডেকে মোটামুটি ফেঁসে গেলো।
ওঠেন! দাঁড়ান! আমি কি আপনার ভাই লাগি!
গ্যাসের লাইন সংক্রান্ত একটা অভিযোগ জমা দিতে গিয়ে গ্যাস অফিসের একজন ত্রাতার রোষানলে পড়লো ভাই ডেকে। কলিগ আমতা আমতা করে বললো, স্যরি!
দম্ভ করে কর্মচারী ভদ্রলোক বললেন, ৫লাখ টাকা দিয়ে এই পজিশনে এসেছি….
আলিম আল রাজি বলেছেনঃ
😉
রিয়াজ উদ্দিন বলেছেনঃ
হা হা… ইহাই আমাদিগের নিয়তি লিখন। খন্ডাইবেন কি করিয়া!!
আজমাল হোসেন মামুন ৩ বলেছেনঃ
ভাই আমি আপনার সাথে একমত। আমিও একজন চাকুরী প্রার্থী। একটা প্রথম শ্রেণীর পদে বাছাই পরীক্ষায় খুবই ভাল করেও লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারি নি। তখন বুঝলাম। আজকাল অনেকে গোপনে টাকার জোরে প্রশ্ন কিনে ১০০ মধ্যে ৯৫ পেয়েছে চাকুরীর পরীক্ষায়। এ লজ্জা দেশ ও জাতির। কয়দিন আগে মাধ্যমিক সরকারি স্কুলের সহকারী শিক্ষক পদে পরীক্ষা দিয়েছি। জানি না কি হবে। কারণ, ইতোপূর্বে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল। ক্ষীণ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হিসেবে কোটা রয়েছে। তারপরেও চাকুরী হবে বলে মনে হচ্ছে না। ফলে ফিরে যেতে চাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথায়, সবাই পেয়েছে সোনার খণি আমি পেয়েছি চোরের খণি। বাঙালি মে চোর চোর…..।