ছোট্ট একটা সার্ভে করলাম। বিশজন র্যানডম রিকশাচালক। ইনকাম রেঞ্জ ৯ হাজার থেকে ১৫ হাজার মাসিক। প্রাপ্ত তথ্য বিষ্ময়রকর। ৮০% মোবাইল ইউজার। ব্যবহারকারীদের ৮০% মাল্টিমিডিয়া সেট ব্যবহার করে, ৭০% দুইটা সিমের মালিক। প্রথমটা গ্রামীণ, দ্বিতীয়টা বাংলালিংক অথবা রবি। ব্যবহার বেশী হয় বাংলালিংক। ব্লু টুথ ব্যবহার করতে জানে ৫০%, মেমরী ফুল ভিডিও/অডিও লোড করে দোকান থেকে ৪০ টাকার বিনিময়ে ৫০% ব্যবহাকারী। এফএম রেডিও শোনে ৮০%, জনপ্রিয় এবিসি। ভিডিওতে হিন্দি গান, বাংলা গানের আধিক্য। অডিওতে মনির খান, ডলি সায়ন্তনী। যাদের মোবাইলে ক্যামেরা আছে তারা সবাই ছবি তোলে সন্তান, স্ত্রী অথবা প্রেমিকার। ভিডিও এর ব্যবহার কম, মেমরী ফুল হয়ে যায় বলে সাধারণত ভিডিও করে না। সার্ভের পরিধি বাড়ালে আরো অভিনব তথ্য যোগ হবে নিশ্চিত।
আরো যেসমস্ত তথ্য জানা হলো জরিপটা করতে গিয়ে তা হলো উত্তরাঞ্চলে কৃষি শ্রমমূল্য দক্ষিণের তুলনায় কম। একজন রিকশাচালকের অনুমান নির্ভর জরিপের ফলাফল। এছাড়া দক্ষিণের তুলনায় উত্তরে কৃষি শ্রমের বাজারও মৌসুমী। কারণ জমিতে এক/দু ফসল হয়, আর বছরের বেশীরভাগ সময় থাকে পানির নিচে। এসব কারণে উত্তরাঞ্চল থেকে মৌসুমী রিকশাচালক বেশী আসে। উত্তরাঞ্চলের উক্ত রিকশাচালকের মতে, মাত্র একমাস কৃষি শ্রমে তারা যুক্ত হতে পারে। দেড়শ থেকে দুশ টাকা ডেইলী রেটে। দক্ষিণাঞ্চলে যেটা দুইশ থেকে আড়াইশ।
রিকশাচালক ছাড়া কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার, বাসের হেল্পার, ছোটদোকানদার – এদের মাঝে আরো এ্যাডভান্স লেভেল ইউজার আছে। একেবারে নিম্ন আয়ের মানুষদের প্রযুক্তি ব্যবহারের প্যাটার্নটা গবেষণা করা গেলে উন্নয়ন নির্ভর প্রযুক্তি/ডিভাইসের একটা পরিকল্পনা করা যেতে পারে।