দেশে অপহরণ ও গুপ্তহত্যা অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েই চলেছে

কেটিএস
Published : 13 Dec 2011, 01:09 PM
Updated : 13 Dec 2011, 01:09 PM

দেশে অপহরণ ও গুপ্তহত্যা অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন পেশার মানুষ যে ভাবে অপহরণের শিকার হয়ে ঘাতকের হাতে নির্মম মুত্যু বরণের শিকার হচ্ছে তা সত্যি উদ্ধেগজনক। পত্র-পত্রিকার খবরে জানা যাই যে আইন শৃঙ্খনা বাহিনী সাদা পোযাকে রাজনৈতিক কর্মী ও যুবক বা তুরুনদের ধরে নিয়ে গেলেও পরে কোন ও দায়-দায়িত্ব স্বীকার করে না। অপহরণের পর রাজনৈতিক কর্মীদের ও তরুণদের কারো কারো লাশ পাওয়া গেলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিখোজ থেকে যাচ্ছে। যা সত্যি উদ্বেগজনক এবং লক্ষণ ভালো নয়। আইন শৃঙ্কলা বাহিনীর কেউ যদি সাদা পোষাকে যদি হত্যা ঘটনার সাথে যুক্ত থাকে, তবে তা আরো উদ্বেগজনক ঘটনা। এ জাতীয় ঘটনায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কারো সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও নিখোজদের খুজে বের করার দায়-দায়িত্ব তারা এড়াতে পারে না। এই ক্ষেত্রে তাদের অবস্তান ও ভুমিকা সুষ্পষ্ট হওয়া দরকার বলে আমরা মনে করি। যে সকল পারিপাশ্বিকতা বিদ্যমান থাকার পরিপ্রেক্ষিতে একটি রাষ্ট্রকে অকার্ষকর ভাবা হয় তার মাঝে ক্রমবর্ধমান গুপ্তহত্যা ও আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি একটি অন্যতম কারণ হিসাবে ধরা হয়।

একটি মানবাধিকার সংস্তা জানিয়েছে গত এগারো মাসে শুধু ঢাকা ও ঢাকার পাশ্ববর্তী এলাকা থেকে প্রায় ২২ জন নিখোজ রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১০ জনের লাশ পাওয়া গেছে। বাকীদের কপালে কী ঘটেছে তা এখন পূর্যন্ত জানাতে পারেনি তাদের পরিবার ও স্বজনরা। নিখোজ ব্যাক্তিদের আত্বীয় স্বজনরা তাদের সন্দেহের তীর আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনির দিকে নিক্ষেপ করেছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনির নামে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করার মতো ভয়ংকর অপরাধের ঘটনা স্বয়ং আইন শৃঙ্খলা বাহিনির নিযুক্ত ব্যাক্তিরাও স্বীকার করেছে। এমনিতে দেশে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নাই। দেশে প্রতিদিন সাধারণ মানুষ বিভিন্নভাবে অস্বাভাবিক মৃত্যু বা অপঘাতে মৃত্যুর শিকার হচ্ছে। এ রকম একটা অবস্তায় গুপ্তঘাতকদল যদি পরিকল্পিত ভাবে কারো মৃত্যু ঘটায় তবে তা সত্যি বেদনাদায়ক ও উদ্বেগের বটে। দেশের প্রতিটি জানমালের জীবনের নিরপত্তা বিধান করা রাষ্ট্রের পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য। এই দায়িত্বের অংশ হিসাবে নিখোজ ও অপহরণ হওয়া মানুষের খোঁজ দেওয়া তার তাদের সাবির্ক নিরাপত্তার বিধানের দায় দায়িত্ব রাষ্ট্রের উপরই বর্তায়। এই জাজটি যদি যথাযতভাবে পালন করা না যায় তাহলে বুঝতে হবে দেশটিতে মানবাধিকার লংঘিত হচ্ছে ব্যাপকহারে। বর্তমান অবস্তায় দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের রুপ যে ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে তা স্পষ্টই বুঝা যাই, যত দ্রুত সম্ভব এ অবস্তার পরিবর্তন হওয়া দরকার।

একটি স্বাধীন গনতান্ত্রিক একটি দেশে এই রকম অবস্তা যেন তৈরী না হয় সে দায়িত্ব শাসকদলকেই নিতে হবে।

সূত্র: দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা। লিঙ্ক এখানে: