আমি আমার সকল ব্লগের বন্ধুকে অনুরোধ করব মিয়ানমার এ যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চলছে তার তীব্র প্রতিবাদ করার জন্য আমরা হয়ত তাদের সরাসরি গিয়ে সহযোগিতা করতে পারব না কিন্তু বাংলাদেশ সরকার যাতে তাদের আশ্রয় দেয় তার জন্য সরকার এর উপর তীব্র চাপ সৃষ্টি করতে পারব। দেখুন বন্ধুরা ১৯৭১ সালে আমাদের দেশ এ যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় তখন আমাদের নিরীহ মা বোনেরা পাশের দেশ ভারতে আশ্রয় নেয় ।তাই আমাদেরও উচিত আজ নিরীহ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া।অনেকে বলে তারা মুসলিম তাই মুসলিম দেশ হিসেবে তাদের আশ্রয় দেয়া উচিত ।কিন্তু আমার কথা হল যদি আমরা মুসলিম হই তবে কেউ যদি বিপদে পড়ে আমাদের কাছে সাহায্য চায় তা সে যে ধর্মের হোক না কেন একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের তাকে সাহায্য করা উচিত ।ইসলাম দল মত নির্বিশেষে মানুষের বিপদে সাহায্য করার কথা বলেছে তাই ভাইয়েরা মানবতার কথা চিন্তা করে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সারা বিশ্বে মানুষের আমাদের যে সহযোগিতা করেছে যে সহানুভূতি দেখিয়েছে তার কথা চিন্তা করে আজ আমরা তাদের পাশে দাঁড়াই। মানুষ মানুষ এর জন্য বিপদে মানুষই তো মানুষকে সাহায্য করবে তাই ভাইয়েরা আসুন বেশী কিছু না করতে পারি অন্তত আমরা যারা ফেসবুক ব্যবহার করি,বিভিন্ন ব্লগ লিখি তারা এ সব প্রযুক্তি ব্যবহার এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার এর কাছে এই বার্তা পাঠিয়ে দিই যে আমরা বাংলাদেশ এর জনগন চাই রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়া হোক। এবং তাদের যত রকম সহযোগিতা লাগে তা করা হোক। এবং আন্তর্জাতিক ভাবে মিয়ানমার উপর চাপ সৃষ্টি করা হোক যাতে এই সহিংসতা বন্ধ করা হয়।
একটু দাঁড়ান, বিষয়টি খুব জরুরী
ক্যাটেগরিঃ চারপাশে
জিনিয়া বলেছেনঃ
যুবক, তাদের খাওয়া, পড়া , দেখভালের দায়িত্ব নিতে পারবেন?
অস্থির দুনিয়া বলেছেনঃ
এই পোস্ট লিখার আগে আপনার সব কিছু ভালো ভাবে জানা দরকার ছিলো। কারণ সরকারের আবেগ থাকতে নাই। কোন সরকারই আবেগের গোলাম নয়। দরকার হলে দু চারজন করে আপনারা আপনাদের বাসায় নিয়ে যান। সেটাই উত্তম। এরপর দেখেন দাঙ্গা শেষ হলে তাদের ফেরত দিতে পারেন কি না! ভাই বাস্তবতা এক জিনিস, আর এসব সস্তা আবেগ অন্য জিনিস। যেসব লোক আশুলিয়াতে বিক্ষোভ করতেছে বেতন বাড়াবার জন্য তাদের জন্য কিছু করুন। তাদের দুবেলা না পারেন, সকালের নাস্তা টা দিতে পারেন কিনা সেটা আগে দেখেন।
ওয়াসেক বলেছেনঃ
হিটলারের ইহুদী নিধনের সময় ফিলিস্তিনীরা তাদের বংশীয় ভাইদের (ইহুদী) আশ্রয় দিয়েছিল। আজ ভাইদের দ্বারা ফিলিস্তিনীরা ঘর ছাড়া। হুজুগে পড়ে world politics এর শিকার বংশ পরম্পরায়। সহযোগীতা করার অনেক উপায় রয়েছে। সরকার তা বিবেচনা করুক‚ এটাই কাম্য।
সূচী আমেরিকা গেলেন‚ রোহিংগা সমস্যা ফের শুরু হলো। ভাই‚ ভুলে যাবেন না ভৌগোলিকভাবে এই দেশটি অনেক lmportant. আজ যদি আমেরিকা বলে দেয়, কালকেই রোহিংগা প্রবলেম সমাধান হবে। ওরা এটা বলবেনা। মাথা খাটান‚ সমস্যা একটাই- রোহিংগারা মুসলিম, আমরাও। ভারতের সাথেও সীমানা আছে মায়ানমারের।
পাগল মন বলেছেনঃ
শুধু মানবতার দোহাই দিয়ে যারা বুক ভাসাচ্ছেন তারা হয় ২/৪টা রোহিঙ্গা ঘরে তুলে লালন পালন শুরু করুন অথবা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যেয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করুন। উদাহরণ সৃষ্টি করুন দেখবেন বাকিরাও এগিয়ে এসেছে। সরকারও তখন মানবতা নামক ভাণ্ডারের দরজা খুলে দেবে।
নুরুন্নাহার শিরীন বলেছেনঃ
😮 যুবক ভাই, আপনার মতোই যারা সরকারের ‘পরে তীব্র চাপ সৃষ্টির কলাকৌশলের পাঁয়তারা খুঁজেই চলেছেন, তাদের জন্য পাগল মন-এর পরামর্শটি যথার্থ প্রযোজ্য। সেই পরামর্শটি শিরোধার্য হিসেবে মেনে আজই কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে মিয়ানমার-এর অভ্যন্তরীন জাতিগত বিদ্বেষজাত দাঙ্গায় আক্রান্ত রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবতার তীব্রতম উদাহরণ সৃষ্টি করুন। আর জন-অধ্যুষিত ছোট্ট একটি দেশ বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই পাঁচ লক্ষাধিক অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা শরণার্থীর দায়ভার সামলে যাচ্ছে অনেক বর্ষ যাবত, মিয়ানমার যাদের ফেরতের নামও নেয়নি আজও, জাতিসংঘ সহ বিশ্বের তাবত বৃহত রাষ্ট্র যাদের দায়ভারে এতটুকুও সহায়তা দেয়না, তাদেরও আপনাদের মানবিক সাহায্য দিন। তবেই আপনাদের মানবতার জয়জয়কার ছড়িয়ে পড়বে জগত জুড়ে। ধন্যবাদ।
মেহেদী হাসান আজাদ বলেছেনঃ
সুপ্রিয় যুবক সাহেব, আপনার লেখাটির সাথে আমিও একমত পোষন করছি কারন যে কোন দেশেই যখন জাতিগত দাঙ্গা দেখা দেয় তখন তারা পার্শবর্তী দেশেই আশ্রয় গ্রহন করে থাকে এমন কি সে অন্য ধর্মের লোক হলেও। আর রোহিঙ্গারাতো মুসলমান। আমরা মুসলমান হয়ে মুসলমানদের পাশে দাড়াতে পারছিনা কেন? আর যদি নাই পারি তাহলে বাংলাদেশের পররাস্ট্রমন্ত্রনালয় এর মাধ্যমে জাতিসংঘের সংষ্লিষ্ট দপ্তরকে দিয়ে তো রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিজদেশে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা তো যেতে পারে তাইনা? ১৯৭১সালে ভারত যদি আমাদেরকে আশ্রয় ও প্রশিক্ষন না দিত তাহলে কি আমরা আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারতাম্?