মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বিশ্বজিত অবরোধ সমর্থক হোক বা না হোক, যে দলীয় উশৃংখলতার রক্তাক্ত নগ্ন উন্মাদনা এ জাতিকে দেখতে হল, তার দায়ভার কেবল বিএনপি-জামাতের উপর না দিয়ে নিজেও এই দায়ভার গ্রহণের মত নৈতিক হয়ে উঠুন আপনি। বিশ্বজিতের মুখোমুখি দাঁড়ানোর মত বিবেচক হয়ে উঠুন আপনি। আর দলীয় সন্ত্রাসীদের এক্ষুণি কারাগারে নিক্ষেপের মত সাহসী নেতা ওঠে উঠুন আপনি।
অববোধকারীদের, হরতাল সমর্থকদের, বিএনপি-জামাত-শিবির পন্থীদের ঠেকানোর এ কোন রাষ্ট্রিয় অবকাঠামোগত পদ্ধতি হতে পারে না। রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোকে এভাবে ভুল পথে চালিত হতে দেবেন না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! জাতিকে সঠিক-বেঠিক বেছে নিতে অক্ষম করে দেবেন না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আমাদের ন্যায়-অন্যায়ের অবস্থানগত ফাড়াক কমে আসছে দ্রুত! জাতিকে এভাবে লজ্জিত হতে দেবেন না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!
আমরা আজ জানতে পারলাম, চাপাতি হাতের খুনিদের নাম জানা গেছে। ফুটেজ দেখে সনাক্ত করা গেছে। ওদের ঠিকানা জানা গেছে। আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে গ্রেফতার করা হবে খুনিদের। ডিজিটাল বাংলাদেশে আমরা যেভাবে আপডেট জানলাম খুনিরাও তো সেভাবেই জানল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, খুনিরা এখন আগামি এক সপ্তাহ পর্যন্ত পুলিশের নিকট নিজেদের সোপর্দ করার জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকবে তো?
মন্ত্রীর কথার আর পুলিশের কথার বৈসাদৃশ্য কানে বাজছে বারবার। মন্ত্রী ৮ জন খুনি ধৃত হয়েছে জানালেন, আর পুলিশ জানাচ্ছে কেবল মাত্র উপাত্ত সংগৃহিত হয়েছে, গ্রেফতারের প্রস্তুতি চলছে। একজন নিরপরাধ তরুণ রাজনীতির বলি হয়েছে, রাজনীতিবিদদের বক্তব্যে দায়িত্ববোধ কবে হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দা-ছুরি-চাপাতি হাতের এইসব উন্মাদগ্রস্ত যুবকেরা যদি বহিস্কৃত ছাত্রলীগ হয় তো সেই বহিস্কারের প্রমাণ জাতিকে জানানোর মত সৎ কি হতে পারে আওয়ামী লীগ? ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করার আদালতের নির্দেশনা পালিত হওয়ার নিশ্চয়তা কি আপনার মন্ত্রী পরিষদ দেবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী? আমরা কি পাব উপযুক্ত বিচারের নিশ্চয়তা? নাকি এই ঘটনাও ফাইলের নীচে চাপা পড়ে ধুলো জমে যাবে? নাকি এই হত্যার জন্য জাতিকে মাঝে মাঝে, নিয়ম করে কালো ব্যানার হাতে শাহবাগ কিংবা প্রেস ক্লাব মোড়ে দাঁড়াতে হবে বিচারের দাবিতে?
পরিশেষে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পুরো জাতি আজ বিব্রত, লজ্জিত, প্রতিটি নাগরিকের কাছে যাওয়া সম্ভবপর নয়, কিন্তু বিশ্বজিতের আতংকে বিমূঢ়, মুষড়ে পড়া পরিবারের মাঝে আপনার উপস্থিতি কি অসম্ভব পর?
হৃদয়ে বাংলাদেশ বলেছেনঃ
সাবাস!!
আইরিন সুলতানা বলেছেনঃ
যাদের কল্যাণে পুরো ঘটনাচিত্র দেখার সুযোগ ঘটল, তাদের জন্য সামান্য কিছু কথা –
কথা দিচ্ছি, তোমার নখদর্পন থেকে চুলের ডগা অব্দি দৃশ্যমান
অস্থি-শিরা-ধমনী-মেদ-চর্মের পুংখানুপুঙ্খ ধারণ করে নেব
আলোছায়ার স্থিরচিত্রে
জাতি দেখুক, একটা মৃত শরীর কতটা জীবন্ত অনুভূত হয়
হাই রেজুলেশন ফ্রেমে
কথা দিচ্ছি, তোমার ভয়ার্ত মুখে আটকে যাবে চলমানচিত্রের ফোকাস
আর্তনাদ বন্দি হবে ডিজিটাল ফরম্যাটে
জাতি দেখুক, বাঁচার আকুতিতে কতগুলো বলিরেখা ফুটে ওঠে মুখে
জাতি শুনুক তোমার কাকুতি
একদম ’নয়েজ ফ্রি’
তবেই না একটা বিভৎস মৃত্যুর ‘লাইভ’ চিত্রায়ন জাতিকে নাড়া দেবে!
———————————-
(১৩.১২.১২/ রাত ১২:১৩)
নীলকন্ঠ বলেছেনঃ
আপনাকে বুঝতে হবে, পরিস্থিতি বুঝতে হবে, প্রায়োরিটি ইনডেক্স বুঝতে হবে।
খুনীরাতো আর দেশ থেকে পালিয়ে যাচ্ছেনা। অতএব, যদি প্রয়োজন হয় তবে তাদেরকে ধরা যাবে। এই মূহুর্তে খুনীদের বায়োডাটায় বিরোধীদলের সীল ছাপ্পর মারা হচ্ছে। আগের কাজ আগে করতে দিন।
দেশে কি বিশ্বজিতদের অভাব পড়ছে যে এক বিশ্বজিতের জন্য কেঁদে কেটে বৈরাগী হতে হবে?
আইরিন সুলতানা বলেছেনঃ
যারা সেদিন কুপিয়ে হত্যা করল অবলীলায় – মাহফুজুর রহমান (নাহিদ), ইমদাদুল হক, রফিকুল ইসলাম (শাকিল), মীর মো. নুরে আলম, (লিমন), ওবাইদুল কাদের এবং সাইফুল ইসলাম। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র!!!
জিনিয়া বলেছেনঃ
আইরিন, কী বলে যে তোমাকে ধন্যবাদ দেব!!!মাথার ভিতর ঘুরপাক করা কথাগুলো কী চমত্কারভাবেই না তুমি ভাষা দিলে!!!
প্রধানমন্ত্রী দায় স্বীকার করে বিশ্বজিতের বাবা-মার কাছে যাক..এ আমাদের সকলের চাওয়া..এতে তিনি ভোটের ব্যবসায় এ যাত্রা জিতে যাবেন সে ব্যাপারে আমরা তাকে নিশ্চিন্ত করতে পারি..
আইরিন সুলতানা বলেছেনঃ
এই খুনিরা ছাত্রলীগের বহিস্কৃত কর্মী, এর একটি প্রমাণপত্র জাতিকে দেখানো গেলে দলীয় স্বচ্ছতা রক্ষিত হবে, সরকারের আন্তরিকতা নিশ্চিত হবে ….শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মত কথা, ধোঁয়াশাচ্ছন্ন বক্তৃতা শুনতে চাইনা এ বিষয়ে যেমনটা বলেছেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ – ‘ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারীরাই বিশ্বজিতের হত্যাকারী’
এবং সত্যটা হল – বিশ্বজিত হত্যাকাণ্ড: চিহ্নিতরা গ্রেপ্তার হয়নি
সত্য কথক বলেছেনঃ
আইরিন আপা, আপনার কথাগুলো প্রতিটি অক্ষরে অক্ষরে সত্যি।
যৌক্তিক বিবেচনাবোধে অসঙ্গগতিগুলো কত সহজেই না ধরে ফেললেন।
এই সাহসী পোষ্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আইরিন সুলতানা বলেছেনঃ
বিশ্বজিত হত্যা: ৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা জগন্নাথের
বাংলা, দর্শন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান পাঠ শেষে একেকজন খুনিতে রূপান্তরিত হল!
বিপ্লব সরকার বলেছেনঃ
প্রিয় লেখক, বাংলাদেশের প্রতিটি আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ও বিক্ষুব্ধ মানুষের মনের কথাই বলেছেন আপনি।
কিন্তু আফসোস, আমরা আত্মমর্যাবান নাগরিক হয়ে উঠার যতোই প্রাণান্তকর চেষ্টা করিনা কেন, রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন অথবা রাষ্ট্রক্ষমতালিপ্সু দলগুলো কখনোই আমাদের আত্মমর্যাদাশীল জাতি হয়ে উঠতে দিবে না। কারণ তারা নিজেরাই তা নয়। কারণ এরা অতি তুচ্ছ ও সাধারণ মেধা ও পশ্চাতপদ সংস্কৃতিধারণকারী।
আমাদের জান-মাল, মান-সম্মান ও বেঁচে থাকার সামান্য চাহিদা মেটানেরা জন্য পরিশ্রমী জীবন-যাপনে তাদের কোনো মানবিক দৃষ্টি নেই। তাই এই শাসক শ্রেণীর অপকর্মের বিরুদ্ধে আমরা যা বলছি, আমরা যা লিখছি আ বা আমরা যা প্রত্যাশা করছি- সবই নিস্ফল আবেদনমাত্র।
পথ একটা আছে, যদি আমরা সবাই সবগুলো হায়েনার দলগুলোকে নির্মূল করার সংগ্রামে মাঠে নামতে পারি। আসুন আমরা সেই লক্ষ্যে আমাদের লেখালেখি বা কার্যক্রম পরিচলানা করি। মানুষের সামগ্রিক মুক্তির সংগ্রামে নিজেদের বহু মূল্যবান সময় ও মস্তিষ্ককে ব্যবহার করি।
এছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ আছে বলে আমার জানা নেই।
mosta বলেছেনঃ
যৌক্তিক লেখা। সহমত
বাংগাল বলেছেনঃ
প্রিয় ব্লগার , লেখাটি নি:সন্দেহে হৃদয়গ্রাহী , এজন্য আপনি ধন্যবাদর্হ ।
আমি একটা যায়গায় মিলাতে পারছিনা । জানি সত্য কথা তেতো হয় ,তবু বলেই ফেলি …।
বিশ্বজিত হত্যার ঘটনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কেন আসবে ? এই ঘটনার সঙ্গে তিনি কিভাবে সম্পর্কযুক্ত ? যে দিনটির কারণে ঘটনা ঘটেছে তা কী প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আহুত ? বিশ্বজিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেননা , হত্যাকারীদের ভুল টার্গেট হয়ে তাকে জীবন দিতে হয়েছে । কিন্তু না জেনে হত্যা করেছে বলে ওদের কোনও সাফাই চলবেনা , ওরা নৃশংস খুনী । খুনীদের শাস্তি চাই ।
ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি যাদের কারণে বা যাদের ডাকে সেই দিনটি বা সেই পরিস্থিতিটি সৃষ্টি হয়েছে তারাই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটাতে ঘটকের ভূমিকা রেখেছেন । এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর দায় খুজলে অচলাবস্থা সৃষ্টিকারী বিএনপি-জামাতি অপচেষ্টাকে প্রশ্রয় দেওয়া হয় ।
নৃশংস ভাবে বিশ্বজিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আপনার অনুভূতিকে সম্মান জানাই । ভাল থাকুন ।
আইরিন সুলতানা বলেছেনঃ
ভাবনায় জায়গাটা এরকম করে নেই আমরা, যিনি অভিভাবকত্ব নেন, যিনি নেতৃত্ব নেন, তার উপর সফলতার দায়িত্ব যেমন আসে, ব্যর্থতার দায়িত্বও আসে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এভাবেই সম্পৃক্ত। তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সম্পৃক্ত। আবার আওয়ামী লীগ প্রধান হিসেবেও সম্পৃক্ত।
সমসাময়িক অসংখ্য ইস্যু আছে, যার সাথে সাধারণ জনগণ আর সরকারের একটা পরস্পর বিরোধী অবস্থান রয়েছে। জনগণ থেকে সরকারের প্রতি চাপ আছে, প্রত্যাশা আছে, দাবি আছে। সেটা টিপাইমুখী বাঁধ হোক, কনকোফিলিপস চুক্তি হোক, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড হোক, ফুলবাড়িয়া হোক, সীমান্ত হত্যা ইস্যু হোক, ফেলানি হত্যা ইস্যু হোক …. এই সবক’টি ইস্যুকেই ব্যবহার করার চেষ্টা চালিয়েছে জামাত, পাবলিক সেন্টিমেন্টকে পুঁজি করে। … আগামিতেও চালাবে … কিন্তু তাই বলে এইসব ইস্যুতে প্রতিবাদ থেকে থাকবে না … জামাতকে রুখতে যার উপর নির্ভর করব, তিনি যদিও অন্যায় করেন, তাহলে সেটাই বরং জামাতকে প্রশ্রয় দেয়ার পথ করে দিচ্ছে… বাকি প্রতিবাদ তো প্রতিবাদের পথেই আছে… সেখানে না জামাত প্রশ্রয় পায়, না আর কোন অন্যায় …
সূত্র: বিশ্বজিত হত্যা: গ্রেপ্তার নিয়ে বিভ্রান্তি কাটেনি
বর্তমানের সংবাদগুলো নিশ্চয়ই পড়েছেন, বিশ্বজিতের খুনিদের সংখ্যা নিয়ে কত ধরনের স্টেটমেন্ট … সেটা আবার সরকারি মুখপাত্র থেকেও … এটা কি লজ্জাকর নয়? এটা তো দায়িত্বহীনতাও …
খুনিরা ছাত্রলীগ না হলে, কেউ তাদের জোরপূর্বক ছাত্রলীগ বানাতে চাইছে না, আর তাই বহিষ্কারের প্রমাণটি প্রকাশ করা জরুরী।
প্রধানমন্ত্রী, সামান্য উদার ভাবনায় চালিত হয়ে বর্তমানের অসুস্থ রাজনীতির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে বিশ্বজিতের পরিবারের পাশে একবার দর্শন করলে, খুনিদের ধরার বিষয়টি আরো নিশ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হবে।
মাহি জামান বলেছেনঃ
অরণ্যে রোদন……………।
তবু ধন্যবাদ লেখককে এমন দুঃসাহসী একটি লেখার জন্য। দুই নেত্রীর উপর এভাবে ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করা হলে তারা বদলাতে বাধ্য।
হৃদয়ে বাংলাদেশ বলেছেনঃ
প্রধানমন্ত্রী যে এখনো চুপ করে থাকতে পারছেন, তাতে আমি আপ্লুত। অবশ্য হাছান মাহমুদ আর প্রেসসচিবের বক্তব্যের পরে তিনি হয়তো জবান খুলবেন।
আর খালেদা জিয়াতো “বান্ধা ছালার দাম লাখ টাকা”, ভেতরে কি আছে তাতো আর কেউ জানেনা!
জনতার মতামত বলেছেনঃ
নিরপেক্ষতা এমন পর্যায়ে পৌছে গেছে যে, যে কোন অঘটন ঘটলে স্বয়ং প্রধামন্ত্রীকে দ্বায়-দ্বায়িত্ব স্বীকার করতে হবে। কারণ তিনি তো প্রধানমন্ত্রী, তাই না? এটা কি বাংলাদেশ? নাকি পৃথিবীর বাইরের কোন দেশ? ওবামারা এরকম দ্বায় স্বীকার করে?
আমরা চাই বিশ্বজিৎ হত্যার সঠিক বিচার হউক। কিন্তু একজন হিন্দু সম্প্রদায়ের সন্তানকে মেরে, সরকার দলীয় লোকদের দোষারোপ করে, কারা ভোটের ব্যবসায় এগোতে চায় তা জনগণ জানে।
হৃদয়ে বাংলাদেশ বলেছেনঃ
@ জনতার মতামত, আপনার মন্তব্যটি সত্য, একটি খুনের দায় ও কেন প্রধানমন্ত্রীকে নিতে হয় তা আমরা জানিনা। তবে, একথাও সত্য, প্রধানমন্ত্রী অহরহ নিজেই বিভিন্ন সমস্যার দায় নিয়ে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন। সেক্ষেত্রে তাঁর ভক্তকুল অর্থাৎ মন্ত্রীসভার সদস্যরা হুল্লোড় দিয়ে উঠেন, সমস্যাটি বা বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নিজেই দেখছেন। বাস্তব সত্য এই, এরূপ দায় নেয়া একটি সমস্যারও সমাধান হয়নি। বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী সর্বরোগহর বা সকল কিছুর শেষ কথা। এমনটি তো আর পৃথিবীর কোথাও নেই।
আইরিন সুলতানা বাংলাদেশের জনগনের মতোই জেনেছেন মন্ত্রী-ফন্ত্রীদের কাছে বলে লাভ নেই। দায়তো প্রধানমন্ত্রীই নেবেন, কাজেই সরাসরি তাঁর কাছে আবেদন-নিবেদন করলে যদি কিছু হয়। তাই আমি এখানে আইরিন সুলতানার কোন দোষ দেখছিনা।
ধন্যবাদ।
জনতার মতামত বলেছেনঃ
শ্রদ্বাভাজন, হৃদয়ে বাংলাদেশ- ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আমি আইরিন সুলতানার দোষ দিচ্ছি না। দোষটা হলো প্রগতিশীলমনা একটা গোষ্ঠী মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের হয়েও সরকারের কাছ থেকে অতিমানবীয় কিছু পাওয়ার আশায় এমন সব মন্তব্য করে যাচ্ছেন যাহা দেখে রাজাকার গোষ্ঠীরা মিটমিটিয়ে হাসে। এই নিরপেক্ষতাবাদীরা কেউ কেউ কোন বিদেশী এনজিও অথবা মানবাধিকার সংগঠন অথবা দূর্ণীতির সূচক গণণাকারী সংস্থার সদস্য। আবার কেউ কেউ ঐ সুশীল তকমাদারীদের কথা শুনে অনুকরণ করছে মাত্র। সরকারের বিরোধীতা করতে করতে তারা ভূলে যান অতীতের স্মৃতি এবং ভবিষ্যত।