আরবি নয়, ’গণশৌচাগার ম্যাটারস’

আইরিন সুলতানাআইরিন সুলতানা
Published : 9 May 2015, 07:39 PM
Updated : 9 May 2015, 07:39 PM

গত এক-দু'দিন ধরে ফেসবুকে একটি ভিডিও খুব শেয়ার হচ্ছে এবং আলোচিত হচ্ছে। ভিডিওটি কবে নির্মিত হয়েছে তা নিশ্চিত নই, তবে দুই মিনিটের এই ভিডিওর শেষ ফুটেজে মিনিস্ট্রি অফ রিলিজিয়াস এ্যাফেয়ার্স তথা ধর্ম মন্ত্রণালয় লেখা দেখে বোঝা গেল এই ভিডিওটি সরকারের অনুমতিতেই হয়েছে। ভিডিওটির কয়েকটি ফুটেজে ধর্মমন্ত্রীকে বক্তব্য রাখতেও দেখা গেছে। ফুটপাতে প্রস্রাব বন্ধে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের '১০০% সমাধানের নিশ্চয়তা' ক্যাম্পেইন হচ্ছে এই ছোট প্রামাণ্যচিত্রটি।

প্রস্রাবের দুর্গন্ধে ঢাকা শহরের এমনকি প্রধান সড়ক সংলগ্ন ফুটপাত থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলেন পথচারিরা। বাসস্ট্যান্ডগুলোতে বাসের অপেক্ষারত যাত্রীরা সড়কের যান চলাচলের অংশেই লাইন ধরে দাঁড়ান। এর একটি কারণ হচ্ছে, বাসস্ট্যাণ্ড সংলগ্ন ফুটপাত থেকে আসা প্রস্রাব এবং এর দুর্গন্ধ। শহরের প্রায় সবগুলো ফুটপাত টাইলস যুক্ত হলেও, ফুটপাত পরিচ্ছন্ন রাখতে বাধা হয়ে উঠেছে পথচারিদের এই প্রস্রাব বদভ্যাস।

https://www.youtube.com/watch?v=FEBwrydjvc0

সমস্যাটি একদিন-দু'দিনের নয়। ঢাকায় নাগরিক চলাচল যত বেড়েছে, ফুটপাতে প্রস্রাবের দুর্গন্ধ তত বেড়েছে। কী কারণ হতে পারে এর? খুব স্বাভাবিকভাবে ব্যক্তির আচরণগত অশিক্ষা একটি বড় কারণ।

অন্যদিকে সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়গুলোর সাধারণ শৌচাগারগুলোও পরিচ্ছন্ন নয়। নতুন ও আধুনিক শপিং মলগুলোতে নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক শৌচাগারগুলো পরিচ্ছন্ন হলেও, সাধারণ বিপণী বিতানগুলোর শৌচাগারে যাওয়ার কথা অন্তত কোন নারীর পক্ষে ভাবা কঠিন।

এর চেয়েও ভয়ঙ্কর তথ্যটি হলো, দেড়-দুই কোটির জনবসতির ঢাকায়, যেখানে প্রতিদিন প্রায় অর্ধ কোটি মানুষের চলাচল ঘটে, সেখানে উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মিলিয়ে  মাত্র ৬০-৭০টি শৌচাগার (পাবলিক টয়লেট) রয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরে ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার ব্যবস্থা চালু হয়েছে। পথে, ব্যস্ততম জমায়েতের আশেপাশে এসব 'মোবাইল টয়লেট'গুলো দেখা যায়। তবে এগুলোর সংখ্যাও হাতে গোনা। সেক্ষেত্রে পরিসংখ্যান দাঁড়াচ্ছে যে, ঢাকা শহরের প্রতি দেড় লাখ নাগরিকের জন্য শৌচাগার রয়েছে মাত্র একটি।

পরিসংখ্যান আর বাস্তবের মধ্যকার ফারাক আরো ভয়াবহ। বিভিন্ন সংবাদ পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অধিকাংশ পাবলিক টয়লেটই ব্যবহার অনুপযোগী। কোনটি অস্বাস্থ্যকর, কোনটিতে পানি থাকে না। কোনটি একেবারে বন্ধ রয়েছে। বাস্তবতা এও যে, ঢাকা শহরে নাকি মোটে পাঁচটির মত পাবলিক টয়লেট কোনভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। পাবলিক টয়লেটহীন নগরীতে পথচারীদের অধিকাংশই তাই ফুটপাতকেই বেছে নিচ্ছেন 'হালকা' হতে। ফলাফল নাক চেপে চলতে হচ্ছে সকলকে। এর সমাধান কী?

ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে ফুটপাতে প্রস্রাব বন্ধের  সমাধান তুলে ধরা হয়েছে উল্লেখিত ভিডিওচিত্রে। ইংরেজি ভাষায় নির্মিত এবং সাবটাইটেলযুক্ত ভিডিওগ্রাফিটি কারিগরি দিক দিয়ে সুনির্মিত বলা চলে। কিছু তথ্যও রয়েছে।

যেমন- ৯০.৪% মুসলিম জনগোষ্ঠীর দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। ঢাকা হচ্ছে মসজিদের শহর। দশ হাজার মসজিদ রয়েছে এই ঐতিহ্যবাহী শহরে। এইসব তথ্যের সাথে একটি বিশেষ তথ্য এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই।

ভিডিওটিতে বলা হয়েছে, আরবি এদেশের মানুষের 'সিক্রেট' ভাষা। অবশ্য সাথে এও যুক্ত করা হয়েছে যে, এ ভাষাটি যদিও অনেকেই বোঝে না। এই 'সিক্রেট' ভাষা এবং 'আরবি' না বোঝাকে ব্যবহার করেই ধর্ম মন্ত্রণালয় ফুটপাতকে প্রস্রাবমুক্ত করার সমাধান দিয়েছে।

শহরের অনেক ফুটপাত সংলগ্ন দেয়ালে লেখা থাকে 'এখানে প্রস্রাব করা নিষেধ'। দেখা যায়, ঠিক সেই দেয়ালে ঘেঁষেই উন্মুক্ত প্রস্রাবকার্য জারি থাকে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সমাধান হচ্ছে, যেহেতু 'অবোধগম্য'  আরবি ভাষার প্রতি আমাদের অন্ধ শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে, তাই দেয়ালে বাংলার পরিবর্তে আরবিতে লেখা হবে একই বাণী।

ভিডিওটিতে দেখানো হলো, দেয়াল রঙ করে মুছে দেয়া হলো বাংলা। বাংলার বদলে লেখা হলো আরবি। আরবির কার্যকারিতাও দেখানো হল ভিডিওটিতে। প্রস্রাব করতে বসা লোকগুলো দেয়ালে আরবি দেখে দেয়ালকে সালাম করে প্রস্রাব না করেই উঠে চলে যাচ্ছে। ধর্ম মন্ত্রণালয় একে সফলতা হিসেবে দেখছে।

এই উদ্যোগটিকে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ে আরো অনেকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন। এদের মধ্যে সচেতন, যুক্তিবাদী, দেশপ্রেমের ধ্বজাধারীরাও রয়েছেন। তারা বলছেন, এভাবেই হবে পরিবর্তন। তারা বলছেন, এমন চমৎকার উদ্যোগেই ফুটপাতে প্রস্রাবকার্য বন্ধ করা সম্ভব।

কিন্তু ভিডিওটি সুক্ষ্মভাবে দেখলে একজন বিবেচনাবোধ সম্পন্ন নাগরিকের পক্ষে উদ্যোগটিকে সাধুবাদ জানানো সম্ভব নয়। এমনকি আরবি লেখনির দেয়াল সংলগ্ন সকল ফুটপাত ইতিমধ্যে প্রস্রাবমুক্ত হয়ে গেছে, এমন দলিলপত্র হাতে পেলেও উদ্যোগটিকে সমর্থন করা অসম্ভব। এর কারণগুলো বলছি,

ধর্ম মন্ত্রণালয় কেবল ৯০.৪% মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে না। খুবই ভাল কথা যে 'ঢাকা মসজিদের শহর'। কিন্তু প্রস্রাব করতে সকলে মসজিদে যাবে, এমন ধারণা মাননীয় ধর্মমন্ত্রী কেন প্রতিষ্ঠা করতে চান? তাছাড়া, এ দেশের হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান পথচারিরা কি প্রস্রাব করে না? মনে হচ্ছে, রাষ্ট্র হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানদেরও প্রস্রাব কার্য সম্পাদনে মসজিদে যেতে বাধ্য করতে চায়।  (মসজিদ কি তখন পাবলিক টয়লেট হয়ে উঠবে না?)

বাংলা গানের বদলে হিন্দি গান শুনলে '১৯৫২' মনে করে দেশপ্রেমিদের চোখে-নাকে-মুখে অশ্রু একাকার হয়। অথচ এই ভিডিও'তে বাংলা মুছে ফেলে আরবি লেখার দৃশ্যটি কত সহজভাবে গ্রহণ করছেন তাদের অনেকে। দেয়ালে বাংলা লেখা মুছে আরবি লেখার দৃশ্যটিকে বিশেষায়িত করা হলো 'ল্যাংগুয়েজ ম্যাটারস' শিরোনামে।

আরবি আমাদের ভাষা নয়। আরবি আমাদের বর্ণমালা নয়। তথাপি এদেশের মুসলিমরা কাগজের কোনায় আরবি লেখা দেখলেও সেটাকে সালাম করে।  সকল ভাষার প্রতি সম্মান দেখানো ভাল। কিন্তু না বুঝে কেবল আরবি লেখা থাকলে সালাম করা হলো এ দেশের মানুষের ধর্মীয় অন্ধত্ব। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ছিল মানুষকে এসব অশিক্ষা থেকে বের করে শিক্ষিত, সচেতন করা, তার বদলে মানুষের সেই অজ্ঞতাকে ব্যবহার করে 'সমাধানের' নামে মূলত একটি মশকরা করলো! মানুষের এই ধর্মীয় গোঁড়ামিকে প্রশ্রয় দেয়া তো কোনো 'তথাকথিত অসাম্প্রদায়িক' রাষ্ট্রের দায়িত্ব নয়।

একটা কথা না বললেই না। বাংলা ভাষা মুছে দিয়ে সেখানে আরবি লেখার এই প্রবণতা শুরু হলে আপনার-আমার চোখে ভাল লাগবে তো? দেয়াল যখন ভরে যাবে আরবি ভাষায়, গালিতে-অগালিতে, তখন আমার-আপনার 'বাংলাদেশ' 'বাংলা' 'বাঙালিয়ানা' কোথায় থাকবে?

আরবিতে কি জোকস লেখা থাকতে পারে না? আরবিতে ভাষাতে কি গালি থাকতে পারে না? আরবি অক্ষরে জিহাদি বাণী থাকতে পারে না? আরবিতে কি জঙ্গিবাদী বার্তা থাকতে পারে না? ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নতুন এই উদ্যোগের অন্তরালে আরবি দেয়াল লিখন পদ্ধতি অনুসরণ করে বিভিন্ন আরবি লিখনে দেয়ালগুলো ভরে উঠতে শুরু করতে পারে। জঙ্গি সংগঠনগুলোর প্রচারণা চলতে পারে। সকল আরবি লেখনি যে 'এখানে প্রস্রাব করা নিষেধ' বাণী নয়, সেটার পার্থক্য নিরূপণ করার মত আরবি জ্ঞান ক'জন সাধারণ মানুষের রয়েছে?

ধর্ম মন্ত্রণালয় নিশ্চয়ই ওয়াকিবহাল যে, সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে বিদেশি ভাষার যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে হাইকোর্টের রুল রয়েছে। আরবিও একটি বিদেশি ভাষা। কেবলমাত্র 'মুসলিম' দোহাই দিয়ে বাংলা মুছে আরবি লিখন এ কারণেও গ্রহণযোগ্য দৃশ্য নয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি বক্তব্য বাংলাদেশ-ভারত দু'দেশের পত্রিকাতেই শিরোনাম হয়েছিল। মোদী দ্ব্যার্থহীন কণ্ঠে বলেছিলেন, 'আগে শৌচালয়, পরে দেবালয়'। মোদী সরকারের প্রথম বাজেটে তিনি মেয়েদের জন্য ৬ লাখ ৫০ হাজার শৌচালয় তৈরি সম্পন্ন করারও তথ্য দেন।

স্যানিটেশন ভারতেও গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। পাবলিক টয়লেট এবং স্বাস্থ্য সচেতনতাকে ভারতে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়। খোলা স্থানে প্রাকৃতিক কার্য সম্পাদনের মত ঘটনা ভারতে প্রচুর পরিমাণে ঘটে। সেক্ষেত্রে তারা কী ধরনের সমাধান পথ বেছে নিয়েছে? ভারতের নদীয়া জেলায় খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগকে 'সামাজিক অপরাধ'  হিসেবে চিহ্নিতকরণের ক্যাম্পেইন শুরু করা হয়েছে। এমনকি বিশেষ কমিটি করে কারা খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করছে, তাদের উপর নজরদারি ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ যে নিন্দনীয় ও লজ্জাকর এমন বার্তা দিতেই কর্তৃপক্ষ উদ্যোগি।  উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করলে সরকারি সুবিধা রহিত করার প্রস্তাবনাও দেয়া হয়েছে। কলকাতা নগরে 'পে এন্ড ইউজ' শৌচালয়গুলোর ব্যবহার বাড়াতে শৌচালয়গুলোর উপরে রেস্তোরা, সন্নিকটে সিনেমা হল, দর্শনীয় বাগানের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের, বিশেষত গ্রামাঞ্চলের, পারিবারিক স্যানিটেশন প্রকল্পগুলো সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সফল হয়েছে। বিপরীতে ঢাকা শহরে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ ও রক্ষনাবেক্ষণ নিয়ে সরকারি উদ্যোগহীনতা ফুটপাতে ও যত্রতত্র প্রস্রাবচিত্রকে উৎসাহিত করছে। যেহেতু সরকারি পর্যায় থেকে স্বাস্থ্যসম্মত পাবলিক টয়লেট নেই, তাই সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনগুলো সফলতার মুখ দেখবে না।

মসজিদের টয়লেট দেখিয়ে গণশৌচালয় এর প্রয়োজনীয়তা অনুচ্চারিত রাখা অনুচিৎ। ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রদ্বয়ের উচিৎ মোদী সরকারের মতো শৌচালয় নির্মাণকে প্রাধান্য দেয়া। একই সাথে প্রয়োজনে সিসিটিভির মাধ্যমে  ফুটপাতে নজরদারি এবং জরিমানা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিতে পারেন দু'জন নবনির্বাচিত মেয়র।  কিন্তু আগে শৌচাগার, পরে নজরদারি।

রাস্তায় প্রস্রাব মূলত পুরুষেরা করে। নারীরা নয়। কিন্তু স্বাস্থসম্মত পাবলিক টয়লেট না থাকায় নারীরাও পড়ছেন সংকটে। এমনকি অধিকাংশ সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়ের টয়লেটগুলোও নারীদের জন্য সুবিধাজনক নয়। সমস্যাটি কেবল ফুটপাতে প্রস্রাব কার্য নয়। সমস্যাটি হচ্ছে নারী ও পুরুষের জন্য পাবলিক টয়লেটহীনতা। সমস্যাটি নারী ও পুরুষের স্বাস্থ্যগতও।

ভিডিওটি থেকে বোঝা যায়, সমস্যা নিয়ে কোন গভীর গবেষণা হয়নি। কোনো ফিজিবিল্যাটি স্টাডি হয়নি, অপরাপর মন্ত্রনালয় বা প্রশাসনিক দপ্তরগুলোর সাথেও মতবিনিময় হয়নি। জনমত জরিপ তো দূরকথা!  মসজিদের পরিসংখ্যানের চেয়ে, ঢাকা নগরীর গণশৌচাগার পরিসংখ্যান এই ভিডিওচিত্রে যুক্ত করাটা আবশ্যিক ছিল। বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, খুবই অনুর্বর মস্তিষ্কপ্রসুত এই সিদ্ধান্ত।

বস্তুত ধর্ম মন্ত্রণালয়ের 'আরবি  উদ্যোগ' নিয়ে নির্মিত এই ভিডিওটি রাষ্ট্রীয়ভাবে মুসলিম ধর্মমত প্রচারে কার্যকরি হলেও, 'অসাম্প্রদায়িক' রাষ্ট্রের এ ধরনের উদ্যোগ সাধুবাদযোগ্য নয়, বরং উদ্বেগজনক। রাষ্ট্রকে বুঝতে হবে, ফুটপাতে প্রস্রাবের দুর্গন্ধ সমস্যা সমাধানে 'আরবি 'নয়, 'গণশৌচাগার ম্যাটারস'।